সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্ধারিত সময়ের পর, উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
বুধবার (০২ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে মহাসড়কের দুইপাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ মিত্র চাকমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হরিপুর গ্যাসফিল্ড সেনাক্যাম্পের ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্ট ২৭ বীর ইউনিটের মেজর মাজহারুল ইসলাম।
এর আগে গত রোববার হরিপুর বাজারে ইজারাকৃত সীমানার বাইরে গড়ে উঠা গরু-মহিষের হাট উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও যৌথ বাহিনী। এর পর মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে সেনাবাহিনীর ২৭বীর ইউনিট দুপুরে মাইকিং করে হরিপুর বাজারে তামাবিল মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্হাপনা সমূহ মঙ্গলবার বিকাল ৪ ঘটিকার মধ্যে সরানোর নির্দেশনা প্রধান করে।
সেনাবাহিনীর মাইকিং করার সাথে সাথে স্হানীয় ব্যবসায়ীসহ অবৈধ স্হাপনার মালিকরা পন্য-সামগ্রী ও স্হাপনার সরঞ্জামাদি সরানো শুরু করে,কিন্তু সল্প সময়ে তা নিতে না পারায় প্রশাসন পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেয়।
বুধবার সকাল থেকে প্রশাসনের লোকজন সহ সড়ক ও জনপদ সিলেট বিভাগ ও সিলেট তামাবিল ছয় লেন প্রকল্পের কর্মকর্তা ও ভূমি অফিসে সার্ভেয়ারদের উপস্থিতিতে তাড়ুহাঁটি পয়েন্ট থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান বিরতিহীন ভাবে চলেছিলো।
এর আগে গত ২৬শে মার্চ রাতে সেনাবাহিনীর টহলটিম অভিযান চালিয়ে ভারতীয় অবৈধ গরু-মহিষ জব্দ করে ফিরে যাওয়ার সময় হরিপুর বাজারে চোরাকারবারিদের হামলার স্বীকার হয় সেনাবাহিনীর টহল টিম।
এরপর থেকে হরিপুর বাজারে অবৈধ চোরাকারবারসহ সকল অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্বে প্রশাসন কঠোর অবস্হানে যায়।
আজকের উচ্ছেদ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট তামাবিল মহাসড়ক ছয়লেন প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক ইকবাল হায়াৎ, সিলেট বিভাগ সড়ক ও জনপদের উপ- সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোলায়মান,উপ- সহকারী প্রকৌশলী শামীম আহমেদ,জৈন্তাপুর মডেল থানার উপ পরিদর্শক শংকর চন্দ্র দেব সহ জৈন্তাপুর ভুমি অফিসের কর্মকর্তা।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, তামাবিল মহাসড়ক জৈন্তাপুর,গোয়াইনঘাট পাশ্ববর্তী কানাইঘাট সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আগত পর্যটক ও দর্শনার্থীদের যাতায়াতের অন্যতম মহাসড়ক। বিগত কয়েক বছর ধরে মহাসড়কের পাশে এসব অবৈধ স্হাপনা বসানোর পাশাপাশি লেগুনা স্ট্যান্ড হওয়ার কারণে দীর্ঘ সময় হরিপুর বাজারে লম্বা যানজট লেগে থাকতো।
তিনি আরো বলে,ন হরিপুরের পর তামাবিল মহাসড়কের যানযট নিরোসনে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে উপজেলা প্রশাসন এবং এরকম অভিযান চলমান থাকবে।এ জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।