, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
তারুণ্যের শক্তি আগামীর অভিভাবক – তারেক রহমান সিলেটে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত : আক্রান্ত দুইজন ‘সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না’ সাংবাদিকদের কল্যাণে ‘বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব ওয়েল ফেয়ার ফান্ড’ গঠনের উদ্যোগ গোয়াইনঘাট প্রবাসী সমাজ কল্যাণ পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত সিলেটে ছড়িয়ে পড়েছে চর্মরোগ স্ক্যাবিস, আক্রান্ত শিশুরা বেশি সালুটিকর-গোয়াইনঘাট রাস্তা সংস্কার কাজে ধীরগতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন সিলেটে মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে যুবক নিহত  বাবাহীন ২৪ বছর : বাবার শূন্যতা প্রতিনিয়ত অনুভব করি ওসমানীনগরে প্রবাসীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবদল নেতাকে বহিষ্কার
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

ঈদ মিছিলে মূর্তি কারা আনল, ধর্ম অবমাননার দায়ে আইনের আওতায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ : ধর্ম উপদেষ্টা 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আয়োজনে মোগল আমলের কায়দায় ঈদ আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মিছিলে মূর্তি কারা আনল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা লিখেছেন, ঈদ মিছিলে মূর্তি কারা আনল, কারা বৈধতা দিল (অগোচরে ষড়যন্ত্র) সবাইকে ধর্ম অবমাননার দায়ে আইনের আওতায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ!

হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই সবচেয়ে কঠোর শাস্তি সেই ব্যক্তির হবে, যে মূর্তি তৈরি করে।’ (বুখারি: ৫৯৫০, মুসলিম: ২১০৯) রাসূল (সা.) নিজ হাতে কাবাঘর থেকে সব মূর্তি অপসারণ করেছিলেন, যা প্রমাণ করে যে মূর্তি বা ভাস্কর্যের কোনো স্থান ইসলামে নেই, পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন।

এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত শেষে বাণিজ্য মেলার পুরোনো মাঠ থেকে শুরু হয় ঈদ আনন্দ মিছিল। ব্যান্ডদলের বাদ্যবাজনার তালে তালে নেচে-গেয়ে হইহুল্লোড় করে আনন্দমুখর পরিবেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করে এই মিছিলে। ঈদের শুভেচ্ছা ও সচেতনতার বার্তাসংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানুষ ‘ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক’ বলে আনন্দধ্বনি তোলে।

মিছিলের অগ্রভাগে দুই সারিতে ছিল আটটি সুসজ্জিত ঘোড়া। আরও ছিল ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি, মোগল ও সুলতানি আমলের ইতিহাসসংবলিত ১০টি পাপেট শো। আনন্দ মিছিল থেকে ন্যায্য ঢাকা শহর গড়ার বার্তা দেওয়া হয়। মিছিলটি খামারবাড়ি মোড় হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে এসে শেষ হয়।

ঈদ আনন্দ মিছিল শেষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে একটি সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। উন্মুক্ত মঞ্চে জাসাসের শিল্পীরা ঈদের দর্শকপ্রিয় গান ‘রমজানের ওই রোজার শেষে এল খুশির ঈদ’ গানটি পরিবেশন করেন। এর পর ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম, দেখা পাইলাম না’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’র মতো জনপ্রিয় গানগুলো শিল্পীরা পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এ সময় সাধারণ মানুষদের সেমাই ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

জনপ্রিয়

তারুণ্যের শক্তি আগামীর অভিভাবক – তারেক রহমান

ঈদ মিছিলে মূর্তি কারা আনল, ধর্ম অবমাননার দায়ে আইনের আওতায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ : ধর্ম উপদেষ্টা 

প্রকাশের সময় : ০৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আয়োজনে মোগল আমলের কায়দায় ঈদ আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মিছিলে মূর্তি কারা আনল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা লিখেছেন, ঈদ মিছিলে মূর্তি কারা আনল, কারা বৈধতা দিল (অগোচরে ষড়যন্ত্র) সবাইকে ধর্ম অবমাননার দায়ে আইনের আওতায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ!

হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই সবচেয়ে কঠোর শাস্তি সেই ব্যক্তির হবে, যে মূর্তি তৈরি করে।’ (বুখারি: ৫৯৫০, মুসলিম: ২১০৯) রাসূল (সা.) নিজ হাতে কাবাঘর থেকে সব মূর্তি অপসারণ করেছিলেন, যা প্রমাণ করে যে মূর্তি বা ভাস্কর্যের কোনো স্থান ইসলামে নেই, পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন।

এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত শেষে বাণিজ্য মেলার পুরোনো মাঠ থেকে শুরু হয় ঈদ আনন্দ মিছিল। ব্যান্ডদলের বাদ্যবাজনার তালে তালে নেচে-গেয়ে হইহুল্লোড় করে আনন্দমুখর পরিবেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করে এই মিছিলে। ঈদের শুভেচ্ছা ও সচেতনতার বার্তাসংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানুষ ‘ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক’ বলে আনন্দধ্বনি তোলে।

মিছিলের অগ্রভাগে দুই সারিতে ছিল আটটি সুসজ্জিত ঘোড়া। আরও ছিল ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি, মোগল ও সুলতানি আমলের ইতিহাসসংবলিত ১০টি পাপেট শো। আনন্দ মিছিল থেকে ন্যায্য ঢাকা শহর গড়ার বার্তা দেওয়া হয়। মিছিলটি খামারবাড়ি মোড় হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে এসে শেষ হয়।

ঈদ আনন্দ মিছিল শেষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে একটি সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। উন্মুক্ত মঞ্চে জাসাসের শিল্পীরা ঈদের দর্শকপ্রিয় গান ‘রমজানের ওই রোজার শেষে এল খুশির ঈদ’ গানটি পরিবেশন করেন। এর পর ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম, দেখা পাইলাম না’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’র মতো জনপ্রিয় গানগুলো শিল্পীরা পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এ সময় সাধারণ মানুষদের সেমাই ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।