, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুনামগঞ্জে এক শিশুর ছুরিকাঘাতে আরেক শিশু নিহত সিলেটে কমেছে চাহিদা ও উৎপাদন : কুরবানীর জন্য প্রস্তুত ৩ লাখ ৮ হাজার ৮১৫টি পশু বৃহৎ জনগোষ্ঠির কল্যাণ ও কর্মসংস্থান বিবেচনায় ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটান : মো: জয়নাল আবেদীন সিলেটে আইনজীবী হত্যায় ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড বিশ্বনাথে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ৮ দিন পর থানায় অভিযোগ  সিলেটে বিভিন্ন দাবিতে আদালতপাড়ায় দুই ঘন্টার কর্মবিরতি নিজের সন্তান হত্যা কোন রাষ্ট্র ও সরকারের কাজ হতে পারেনা : বিভাগীয় কমিশনার সিলেটে তিন দফা দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালন পেট্রোলিয়াম অ্যাসোসিয়েশন সিলেটের সভায় অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি ওসমানীনগরে গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ল ধান কাটার মেশিন 
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সিলেটে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কলেজছাত্রী স্বর্ণা দাস, প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা

দুটো অকেজো কিডনি নিয়ে সিলেট নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে কলেজ ছাত্রী স্বর্ণা দাস।সে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের মনোহর পুর গ্রামের প্রদীপ দাসের বড় মেয়ে। বিকল কিডনি নিয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে সদা হাস্যোজ্বল মেধাবী ছাত্রী।

পাশেই তার মা দাড়িয়ে করছেন বিলাপ। বিধাতার কাছে প্রার্থনা করছেন মেয়ের জীবন।

সে বালাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ২য় বর্ষের মেধাবী ছাত্রী। সবসময় হাস্যোজ্বল ছোট্ট স্বর্ণা দাস বাবা-মায়ের খুব আদরের মেয়ে। ছিল দু-চোখ ভরা স্বপ্ন, যেন বড় হয়ে মানুষের সেবা করবে। কৃতিত্বের সাথে নিয়মিত পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছিলো।কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! জীবনের শুরুতেই ভালো-মন্দ বুঝে উঠার আগেই এই প্রাণচঞ্চল ছোট্ট স্বর্নার শরীরে ধীরে ধীরে দানা বাঁধতে শুরু করে একটি জটিল রোগ। এক সময় তার দুটো কিডনি বিকল হয়ে যায়। এই মেধাবী শিক্ষার্থী এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে!
যে সময়ে তার বই-খাতা নিয়ে পড়ে থাকার কথা;সে কিনা এখন হাসপাতালের বেডে অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। এ যেন ভাবতে অবাক লাগে। সবার আদরের অমায়িক মেয়েটির আজ ঠাঁই হল হাসপাতালের বিছানায়।

অশ্রুসিক্ত চোখ দু’টি শুধু ফ্যাল ফ্যাল তাকিয়ে বার বার বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে। মেয়ের এহেন অসহায়ত্ব ও করুণ অবস্থা দেখে বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এখন রাজ্যের হতাশায় এক প্রকার মানষিক বিপর্যস্ত। তাদের একমাত্র মেয়েকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতাল,ডাক্তার এই চেম্বার থেকে ওই চেম্বারে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট হাতে দৌড়াদৌড়িতে হাঁপিয়ে গিয়ে একপ্রকার তারাও কাহিল হয়ে গেছেন।

স্বর্ণা দাসের বাবা প্রদীপ দাস সহায় সম্বল সব শেষ করেছেন মেয়ের চিকিৎসার জন্য। স্বর্ণা দাসের করুন অবস্থা দেখে কিছু মানবিক মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। মানুষের সহযোগীতা ও ধার কর্জ করে ইতোমধ্যে প্রায় সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত মেয়ের চিকিৎসায় খরচ করে ফেলেছেন। তারপর ও সুস্থ হয়নি কলেজ ছাত্রী স্বর্ণা দাস।

স্বর্ণা দাসের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় পর্যায়ে তাই অতিদ্রুত তাকে জরুরি ভিত্তিতে ভর্তি করেন সিলেট মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে। ও ঝুকিপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল অপারেশন ও চিকিৎসায় আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডাক্তারগণ ও হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

মেধাবী ছাত্রী স্বর্ণা দাস, তার অসহায় বাবার একার পক্ষে এমন ব্যয়বহুল অপারেশনের টাকা বহন করা সম্ভবপর না হওয়ায় সমাজের বিত্তবান ও মানবিক মানুষ গুলোর প্রতি বাঁচার আকুতি জানিয়ে সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য বিনীত ভাবে আহ্বান জানিয়েছেন।

বিকাশ নং : 01733083716

জনপ্রিয়

সুনামগঞ্জে এক শিশুর ছুরিকাঘাতে আরেক শিশু নিহত

সিলেটে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কলেজছাত্রী স্বর্ণা দাস, প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

দুটো অকেজো কিডনি নিয়ে সিলেট নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে কলেজ ছাত্রী স্বর্ণা দাস।সে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের মনোহর পুর গ্রামের প্রদীপ দাসের বড় মেয়ে। বিকল কিডনি নিয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে সদা হাস্যোজ্বল মেধাবী ছাত্রী।

পাশেই তার মা দাড়িয়ে করছেন বিলাপ। বিধাতার কাছে প্রার্থনা করছেন মেয়ের জীবন।

সে বালাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ২য় বর্ষের মেধাবী ছাত্রী। সবসময় হাস্যোজ্বল ছোট্ট স্বর্ণা দাস বাবা-মায়ের খুব আদরের মেয়ে। ছিল দু-চোখ ভরা স্বপ্ন, যেন বড় হয়ে মানুষের সেবা করবে। কৃতিত্বের সাথে নিয়মিত পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছিলো।কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! জীবনের শুরুতেই ভালো-মন্দ বুঝে উঠার আগেই এই প্রাণচঞ্চল ছোট্ট স্বর্নার শরীরে ধীরে ধীরে দানা বাঁধতে শুরু করে একটি জটিল রোগ। এক সময় তার দুটো কিডনি বিকল হয়ে যায়। এই মেধাবী শিক্ষার্থী এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে!
যে সময়ে তার বই-খাতা নিয়ে পড়ে থাকার কথা;সে কিনা এখন হাসপাতালের বেডে অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। এ যেন ভাবতে অবাক লাগে। সবার আদরের অমায়িক মেয়েটির আজ ঠাঁই হল হাসপাতালের বিছানায়।

অশ্রুসিক্ত চোখ দু’টি শুধু ফ্যাল ফ্যাল তাকিয়ে বার বার বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে। মেয়ের এহেন অসহায়ত্ব ও করুণ অবস্থা দেখে বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এখন রাজ্যের হতাশায় এক প্রকার মানষিক বিপর্যস্ত। তাদের একমাত্র মেয়েকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতাল,ডাক্তার এই চেম্বার থেকে ওই চেম্বারে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট হাতে দৌড়াদৌড়িতে হাঁপিয়ে গিয়ে একপ্রকার তারাও কাহিল হয়ে গেছেন।

স্বর্ণা দাসের বাবা প্রদীপ দাস সহায় সম্বল সব শেষ করেছেন মেয়ের চিকিৎসার জন্য। স্বর্ণা দাসের করুন অবস্থা দেখে কিছু মানবিক মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। মানুষের সহযোগীতা ও ধার কর্জ করে ইতোমধ্যে প্রায় সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত মেয়ের চিকিৎসায় খরচ করে ফেলেছেন। তারপর ও সুস্থ হয়নি কলেজ ছাত্রী স্বর্ণা দাস।

স্বর্ণা দাসের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় পর্যায়ে তাই অতিদ্রুত তাকে জরুরি ভিত্তিতে ভর্তি করেন সিলেট মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে। ও ঝুকিপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল অপারেশন ও চিকিৎসায় আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডাক্তারগণ ও হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

মেধাবী ছাত্রী স্বর্ণা দাস, তার অসহায় বাবার একার পক্ষে এমন ব্যয়বহুল অপারেশনের টাকা বহন করা সম্ভবপর না হওয়ায় সমাজের বিত্তবান ও মানবিক মানুষ গুলোর প্রতি বাঁচার আকুতি জানিয়ে সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য বিনীত ভাবে আহ্বান জানিয়েছেন।

বিকাশ নং : 01733083716