, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবক কারাগারে গুমের ডকুমেন্টারির শ্যুটিংয়ের জন্যে সিলেটে বিএনপির সালাউদ্দিন বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন ডাক্তার জহির সিলেট জেলা যুবদল নেতাকে দেখতে হাসপাতালে এম এ মালিক জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া ফ্যাসিবাদ নির্মূল হবে না: সিলেটে খেলাফত মজলিসের গণমিছিল বিশ্বনাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান লুনার রক্তের ঋণ পরিশোধের জন্য জাতি পরবর্তী সরকারের জন্য অপেক্ষা করবেনা : এডভোকেট জুবায়ের সিলেটে কিশোর গ্যাং লিডার বুলেট মামুন ২ সহযোগীসহ গ্রেফতার যুদ্ধবিরতি কার্যকর : থেমেছে ইসরাইলি হামলা, দলে দলে ঘরে ফিরছেন গাজার মানুষ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ১৮-২০ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছাতে হয় : সংবাদ সম্মেলনে আরিফুল হক 

ট্রাম্পের আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান

পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি জানিয়েছেন, ‘গুন্ডামি’ করে বেড়ানো শক্তিগুলোর আলোচনার আহ্বানটি সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নয়। এটি ইরানের ওপর তাদের প্রত্যাশা চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা। ইরান অবশ্যই তাদের প্রত্যাশা মেনে নেবে না

ট্রাম্প গত শুক্রবার দাবি করেন, তিনি ইরানের নেতৃত্বকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্রধর হওয়া ঠেকাতে দুটি পথ আছে। একটি হচ্ছে সামরিক পথ, অন্যটি হলো চুক্তি করা।

মার্কিন নেতার এমন মন্তব্যের একদিন পর শনিবার (৮ মার্চ) ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক থেকে খামেনি জোর দিয়ে বলেন, উৎপীড়নকারী শক্তিগুলো কেবল পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা করতে চায় না। তাদের জন্য আলোচনার মানে নতুন প্রত্যাশা আরোপের একটি পথ, বিশেষ করে ইরানের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক অবস্থান সম্পর্কে।

খামেনি বলেন, তারা জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি করার লক্ষ্য রাখছে যে, আলোচনার জন্য তাদের প্রস্তুতি সত্ত্বেও, আমরা কেন আলোচনায় অনিচ্ছুক। তবে তাদের আসল লক্ষ্য আলোচনা নয়, বরং আধিপত্য বিস্তার এবং চাপিয়ে দেওয়া।

২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মেয়াদে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সঙ্গে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বের করে নেন। এরপর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিসহ বিভিন্ন খাতে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পরও ট্রাম্প প্রথম মেয়াদের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের ধারা অব্যাহত রেখেছেন।

আয়াতুল্লাহ খামেনি চুক্তির অংশীদার ইউরোপীয় পক্ষগুলোরও সমালোচনা করেছেন। এসব ইউরোপীয় দেশ ইরানকে ‘চুক্তির অধীনে প্রতিশ্রুতি পালন না করার’ অভিযোগ তুলেছে।

তবে ইরানের নেতা বলেন, আপনি বলছেন ইরান তার পারমাণবিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। আচ্ছা, আপনি কি আপনার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন?

২০১৮ সালে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাওয়ার পর ইউরোপীয় পক্ষ – ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি তেহরানকে চুক্তির বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানায়। তারা ইরানকে অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ইউরোপীয়রা সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। এর পরও ইরান তার পারমাণবিক চুক্তির প্রতিশ্রুতি পুরো এক বছর বজায় রেখেছিল।

জনপ্রিয়

সিলেটে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবক কারাগারে

ট্রাম্পের আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান

প্রকাশের সময় : ০১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি জানিয়েছেন, ‘গুন্ডামি’ করে বেড়ানো শক্তিগুলোর আলোচনার আহ্বানটি সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নয়। এটি ইরানের ওপর তাদের প্রত্যাশা চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা। ইরান অবশ্যই তাদের প্রত্যাশা মেনে নেবে না

ট্রাম্প গত শুক্রবার দাবি করেন, তিনি ইরানের নেতৃত্বকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্রধর হওয়া ঠেকাতে দুটি পথ আছে। একটি হচ্ছে সামরিক পথ, অন্যটি হলো চুক্তি করা।

মার্কিন নেতার এমন মন্তব্যের একদিন পর শনিবার (৮ মার্চ) ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠক থেকে খামেনি জোর দিয়ে বলেন, উৎপীড়নকারী শক্তিগুলো কেবল পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা করতে চায় না। তাদের জন্য আলোচনার মানে নতুন প্রত্যাশা আরোপের একটি পথ, বিশেষ করে ইরানের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক অবস্থান সম্পর্কে।

খামেনি বলেন, তারা জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি করার লক্ষ্য রাখছে যে, আলোচনার জন্য তাদের প্রস্তুতি সত্ত্বেও, আমরা কেন আলোচনায় অনিচ্ছুক। তবে তাদের আসল লক্ষ্য আলোচনা নয়, বরং আধিপত্য বিস্তার এবং চাপিয়ে দেওয়া।

২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মেয়াদে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সঙ্গে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বের করে নেন। এরপর ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিসহ বিভিন্ন খাতে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পরও ট্রাম্প প্রথম মেয়াদের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের ধারা অব্যাহত রেখেছেন।

আয়াতুল্লাহ খামেনি চুক্তির অংশীদার ইউরোপীয় পক্ষগুলোরও সমালোচনা করেছেন। এসব ইউরোপীয় দেশ ইরানকে ‘চুক্তির অধীনে প্রতিশ্রুতি পালন না করার’ অভিযোগ তুলেছে।

তবে ইরানের নেতা বলেন, আপনি বলছেন ইরান তার পারমাণবিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। আচ্ছা, আপনি কি আপনার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন?

২০১৮ সালে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাওয়ার পর ইউরোপীয় পক্ষ – ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি তেহরানকে চুক্তির বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানায়। তারা ইরানকে অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ইউরোপীয়রা সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। এর পরও ইরান তার পারমাণবিক চুক্তির প্রতিশ্রুতি পুরো এক বছর বজায় রেখেছিল।