সিলেটের গোয়াইনঘাটে বাংলা টিভির প্রতিনিধি মো: দুলাল হোসেন রাজুসহ চার গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
জানা যায়, গত ১৭ মার্চ গোয়াইনঘাট উপজেলায় সংবাদ সংগ্রহ শেষে বাংলা টিভির প্রতিনিধি,মো.দুলাল হোসেন রাজু,নাগরিক টিভির প্রতিনিধি সালমান শাহ, আনন্দ টিভির প্রতিনিধি, মো.ইব্রাহিম আলী, জয় টিভির প্রতিনিধি মো.শাকিল আহমদ ও চ্যানেল এ ওয়ান’র প্রতিনিধি নাইম আহমদ গোয়াইনঘাট থানা থেকে দুইটি মোটরসাইকেল যোগে বাড়ী ফেরার পথে রাত ১১টার সময় জাফলং ব্রীজ সংলগ্ন বাজারে আসা মাত্র সন্ত্রাসী হুমায়ুন’র নের্তৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা সানোয়ার, সালাউদ্দিন, সুফিয়ানসহ অঞ্জাতনামা আরো ১৫/২০ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে নগদ অর্থ, মোটরসাইকেল, ক্যামেরা,ওয়ারলেস মাইক্রুফোনবুম্ব, মোবাইলসেটসহ অন্যান্য ডিভাইস সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এসময় স্থানীয়রা হামলায় আহত গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর সাংবাদিক দুলাল হোসেন রাজু’র মস্তিকের রক্তক্ষরণে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন রাজু’র সমস্ত শরীরে ভারী অস্ত্রের আঘাতের চিহ ও মাথার ডান পাশে দায়ের কোপের মারত্মক জখম ও রক্তক্ষরণের কারণে ভালো হতে অনেক সময় লাগবে তবে তার সিটিস্ক্রীন হয়েছে রিপোর্ট পেলে সঠিক বলা যাবে।অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরা চিকিৎসা শেষে সুস্থ রয়েছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক দুলাল হোসেন রাজুর ভাই মো.আকবর হোসেন,বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন,এতে ছৈলাখেল ৮ম খন্ড গ্রামের কথিত সাংবাদিক হুমায়ুন আহমদ এবং তার ৩ ছেলে সানোয়ার হোসেন, সালা উদ্দিন ও সুফিয়ান আহমদকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামক হিসাবে আছেন আরো ১৫ থেকে ২০ জন।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফাফেল আহমদ জানান, সাংবাদিকদের উপর হামলা ও ছিনিয়ে নেওয়া মোটরসাইকেল, ক্যামেরা, ওয়ারলেস মাইক্রুফোন, মোবাইলসেট উদ্ধারসহ জড়িতদের ধরতে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। মূলত হুমায়ুন ও তার ছেলে ছাত্রলীগ ক্যাডার সানোয়ার পূর্ব জাফলংয়ের ডিভিল হান্টের তালিকায় ৫৭/৫৮ রয়েছে। এই ডেভিলদের ধরতে র্যাব ও ডিবি পুলিশ কাজ করছে।
তবে সাংবাদিক হামলার চার দিন অতিবাহিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে না পারায় জনমনেনানা প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।
মূর্খ চাঁদাবাজ হুমায়ুনকে দ্রত গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাটের প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক নের্তৃবৃন্দরা।