, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে ঘর থেকে তুলে নিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১ আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন উইমেন ফর উইমেন রাইটস’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে : এডভোকেট জেবুন নাহার সেলিম সিলেটে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রির দাবিতে সভা অনুষ্ঠিত আট দফা দাবিতে ১ নভেম্বর থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ সিলেটে অধ্যাপক ফজলুর রহমানের ‘ধর্মনিরপেক্ষ মুসলমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন সিলেটে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন বিশেষ কল্যাণ সভায় হাইওয়ে পুলিশের সেবার মানোন্নয়ন প্রত্যয়ে অঙ্গীকার

দুদকের মামলায় কারাগারে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বিলাল আহমদ চৌধুরী, সেকশন অফিসার বেলাল উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ, মো. রেদোয়ান, আব্দুল মজিদ ও তানভীর আহমদ। তারা সবাই দুদকের চার্জশিটভুক্ত আসামি।

দুদকের আইনজীবী লুৎফুল কিবরিয়া শামীম বলেন, “ছয় আসামি মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।”

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ২০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। অভিযোগ আমলে নিয়ে ইউজিসি ২০২৩ সালে তদন্ত করে। তদন্তে তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়।

পরে দুদকের সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয় নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল মামলা করে।

মামলায় তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরী ছাড়া আরো ৫৬ জন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।

জনপ্রিয়

দুদকের মামলায় কারাগারে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বিলাল আহমদ চৌধুরী, সেকশন অফিসার বেলাল উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ, মো. রেদোয়ান, আব্দুল মজিদ ও তানভীর আহমদ। তারা সবাই দুদকের চার্জশিটভুক্ত আসামি।

দুদকের আইনজীবী লুৎফুল কিবরিয়া শামীম বলেন, “ছয় আসামি মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।”

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ২০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। অভিযোগ আমলে নিয়ে ইউজিসি ২০২৩ সালে তদন্ত করে। তদন্তে তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়।

পরে দুদকের সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয় নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল মামলা করে।

মামলায় তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরী ছাড়া আরো ৫৬ জন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।