সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেছেন, সম্প্রতি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথরের পাথর লুটকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি হচ্ছে। কাজ চলছে সতর্ককতার সাথে। যাতে প্রকৃত দোষীদের নাম তালিকায় আসে এবং নির্দোষ মানুষ হয়রানির শিকার না হন। তালিকা তৈরির পর তা প্রকাশ করা হবে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদকিদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিলেটে চোরাচালান ও খনিজ সম্পদ রক্ষায় জনবল বাড়ানো হচ্ছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবির আরও তিনটি ব্যাটালিয়ন স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এরমধ্যে একটি ব্যাটালিয়ন স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়াও পুলিশের জনবলও বাড়ানো হচ্ছে। আমরা এখানে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া আরও ক্যাম্প এবং চেকপোস্টও বসানো হবে।
সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগীতার বিষয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে রাষ্ট্রের এই সম্পদ তসরুফের সাথে যারা জড়িত বা যারা চুরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে যেমন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তেমনি এই সম্পদ সুরক্ষায় আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, গত ৮ জুলাই আমরা ইজারা নিয়ে কথা বলেছি। পাথর চুরি নিয়ে ডিকছু বলা হয়নি। পাথর চোরদের উৎসাতি করার মতো কিছু আমি বলিনি। তেমন কিছু কেউ বললে বা ছড়ালে সেটা ভুল ম্যাসেজ।
লুটকারিদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে গোয়েন্দা বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে কাজ চলছে। যাতে প্রকৃত লুটপাটকারীদের নাম তালিকায় প্রকাশ হয় এবং নিরপরাধ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে লক্ষ্য রেখে কাজ হচ্ছে। সেজন্য একটু সময় দেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।