, শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জকিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার ‘উদ্দেশ্যমূলক ভাবে এনসিপি নেতাদের নামে মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে’ সাদাপাথর লুটপাটের প্রমাণ ছাড়া দুদক প্রতিবেদন করলে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে : ফখরুল ইসলাম ‘উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের অন্যতম লক্ষ্য শিশু কল্যাণ’ সিলেট সুন্দর জেলায় পরিণত হবে : সারোয়ার আলম দুর্নীতিবাজদের যম সারোয়ার আলম সিলেট এসে পৌঁছেছেন নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম চন্ডিপুলে লাইসেন্স দেখতে চাওয়ায় সিসিক কর্মীর ওপর হামলা, তিনজন গ্রেপ্তার পাথর লুটকারী রাঘব বোয়ালদের আইনের আওতায় আনতে হবে : জৈন্তায় মুফতি আলী হাসান উসামা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রবেশে পদ নবম এবং চার স্তরের পদসোপান বাস্তবায়নের দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন

বিশ্বনাথে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (এপিপি) কামাল হোসেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাইফুল আলম, নজরুল, সদরুল, সিরাজ, জামাল, শাহিন, আব্দুল জলিল, ও আনোয়ার।

আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত সাতজন হলেন- ইলিয়াছ, আব্দুন নূর, জয়নাল, আশিক, আছকির, ফরিদ ও আকবর।

আদালতের পেশকার আল আমিন রানা বলেন, “আরও ১৭ আসামির দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় মোট ৩২ জন আসামির মধ্যে মামুনুর রশীদ পলাতক রয়েছেন।

বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান আসামি সাইফুল আটকের পর থেকে প্রায় পৌনে চার বছর ধরে কারাগারে আছেন।

মামলার নথিপত্র থেকে পেশকার রানা বলেন, ২০২১ সালের ১ মে বিশ্বনাথের চৈতননগর গ্রামের নজির উদ্দিনের ক্ষেতের জমি থেকে জোর করে রাস্তায় মাটি তুলতে চান যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম।

এ সময় তাকে বাধা দেন নজির উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন তার চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও ভাতিজা সুমেল মিয়াসহ স্বজনরা।

বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাইফুল আলমের বন্দুকের গুলিতে নিহত হন দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া সুমেল মিয়া। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন সুমেলের বাবা ও চাচাসহ চারজন।

ঘটনার পর সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ৩ মে বিশ্বনাথ থানায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।

চাঞ্চল্যকর এ মামলায় তৎকালীন বিশ্বনাথ থানার ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তী দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

মামলা চলাকালে আদালতে স্বাক্ষ্য দেন মোট ২৩ জন। পরে গত ১৩ জুলাই যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ জুলাই মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন বিচারক।

আদালতের এপিপি কামাল হোসেন বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় আটজনের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন ও বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

জনপ্রিয়

জকিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

বিশ্বনাথে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (এপিপি) কামাল হোসেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাইফুল আলম, নজরুল, সদরুল, সিরাজ, জামাল, শাহিন, আব্দুল জলিল, ও আনোয়ার।

আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত সাতজন হলেন- ইলিয়াছ, আব্দুন নূর, জয়নাল, আশিক, আছকির, ফরিদ ও আকবর।

আদালতের পেশকার আল আমিন রানা বলেন, “আরও ১৭ আসামির দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় মোট ৩২ জন আসামির মধ্যে মামুনুর রশীদ পলাতক রয়েছেন।

বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান আসামি সাইফুল আটকের পর থেকে প্রায় পৌনে চার বছর ধরে কারাগারে আছেন।

মামলার নথিপত্র থেকে পেশকার রানা বলেন, ২০২১ সালের ১ মে বিশ্বনাথের চৈতননগর গ্রামের নজির উদ্দিনের ক্ষেতের জমি থেকে জোর করে রাস্তায় মাটি তুলতে চান যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম।

এ সময় তাকে বাধা দেন নজির উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন তার চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও ভাতিজা সুমেল মিয়াসহ স্বজনরা।

বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাইফুল আলমের বন্দুকের গুলিতে নিহত হন দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া সুমেল মিয়া। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন সুমেলের বাবা ও চাচাসহ চারজন।

ঘটনার পর সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ৩ মে বিশ্বনাথ থানায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।

চাঞ্চল্যকর এ মামলায় তৎকালীন বিশ্বনাথ থানার ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তী দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

মামলা চলাকালে আদালতে স্বাক্ষ্য দেন মোট ২৩ জন। পরে গত ১৩ জুলাই যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ জুলাই মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন বিচারক।

আদালতের এপিপি কামাল হোসেন বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা মামলায় আটজনের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন ও বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।