, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান লন্ডনে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ সভার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫ নেতা কারাগারে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সিসিকের শোভাযাত্রা এসওএস চিলড্রেন্স ভিলেজ বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তা কর্মসূচী প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান রাতে গ্রেপ্তার, দুপুরে জামিন সিলেট জেলা শ্রমিকলীগ নেতা জাকারিয়ার সিলেটে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সিলেট সদর উপজেলার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জমি বিরোধের জেরে সিলেটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, অব্যাহত থাকবে ৫ দিন
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

ভাঙচুর-লুটের ঘটনায় সিলেটে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার ২৫ জন

সরাইল বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে সিলেট নগরে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ইশতিয়াক নূর চৌধুরী জিহান নামের একজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে, গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার জিহান নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুবিদ বাজার এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান চৌধুরীর ছেলে।

কোতোয়ালী মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৭ এপ্রিল) ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচির সুযোগে দরগাহ গেট এলাকায় ‘বাটা’র একটি আউটলেটে হামলা ও ভাঙচুর চালায় কিছু দুর্বৃত্ত।

এ সময় অন্যরা যখন ভাঙচুরে ব্যস্ত তখন জুতা লুটপাট শুরু করে জিহান। তার ব্যাগে ভরে জুতা লুট করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এসএমপি’র কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বাসস-কে বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও বিভিন্ন ভিডিও দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, জিহানই প্রথম জুতা লুট করা শুরু করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নগরীর এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে, সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।’

তিনি আরও জানান, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বাটা কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার ও নগরের মিরবক্সটুলাস্থ কেএফসি ভবনের রয়েল মার্ক হোটেল কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

এই ঘটনায় প্রথম দিন ১৪ জন ও পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি জিয়াউল হক বলেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। তবে সবগুলো প্রতিষ্ঠানে হামলার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও পর্যালোচনা করেই আসামিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করে পুলিশ।

জনপ্রিয়

প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান

ভাঙচুর-লুটের ঘটনায় সিলেটে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার ২৫ জন

প্রকাশের সময় : ০১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

সরাইল বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে সিলেট নগরে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ইশতিয়াক নূর চৌধুরী জিহান নামের একজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে, গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার জিহান নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুবিদ বাজার এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান চৌধুরীর ছেলে।

কোতোয়ালী মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৭ এপ্রিল) ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচির সুযোগে দরগাহ গেট এলাকায় ‘বাটা’র একটি আউটলেটে হামলা ও ভাঙচুর চালায় কিছু দুর্বৃত্ত।

এ সময় অন্যরা যখন ভাঙচুরে ব্যস্ত তখন জুতা লুটপাট শুরু করে জিহান। তার ব্যাগে ভরে জুতা লুট করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এসএমপি’র কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বাসস-কে বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও বিভিন্ন ভিডিও দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, জিহানই প্রথম জুতা লুট করা শুরু করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নগরীর এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে, সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।’

তিনি আরও জানান, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বাটা কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার ও নগরের মিরবক্সটুলাস্থ কেএফসি ভবনের রয়েল মার্ক হোটেল কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

এই ঘটনায় প্রথম দিন ১৪ জন ও পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি জিয়াউল হক বলেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। তবে সবগুলো প্রতিষ্ঠানে হামলার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও পর্যালোচনা করেই আসামিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করে পুলিশ।