, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান লন্ডনে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ সভার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫ নেতা কারাগারে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সিসিকের শোভাযাত্রা এসওএস চিলড্রেন্স ভিলেজ বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তা কর্মসূচী প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান রাতে গ্রেপ্তার, দুপুরে জামিন সিলেট জেলা শ্রমিকলীগ নেতা জাকারিয়ার সিলেটে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সিলেট সদর উপজেলার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জমি বিরোধের জেরে সিলেটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, অব্যাহত থাকবে ৫ দিন
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

ওসমানীনগরে সরকারি জায়গার গাছ কেটে নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা

সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে দাসপাড়া-গয়নাঘাট নামক খালের পাড় থেকে দীর্ঘদিন ধরে বেড়ে উঠা আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রায় ৩০টি গাছ কেটে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে গাছগুলো খালের পাড়ের জমির মালিক গ্রামতলা (দাসপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজি ইয়াওর মিয়ার নিকট থেকে ক্রয় করে গাছ কাটা শুরু করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাদল দেব। এঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুরাতন এসব গাছ কাটার কারণে পরিবেশ বিনষ্টসহ সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের গয়নাঘাটস্থ দাসপাড়া-গয়নাঘাট খালের পাড়ে সরকারি ভূমির উপর বেড়ে উঠে ইউক্লিপটাস, রেইন্ট্রি ও একাশি জাতের বড় প্রায় ৩০টি গাছ। সম্প্রতি খালের পাড়ে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক স্থানীয় গ্রামতলা (দাসপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজি ইয়াওর মিয়া আওয়ামীলীগ নেতা বাদল দেবের কাছে এই গাছগুলো বিক্রি করেন বলে বাদল দেব দাবি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা ছোট বেলায় এ খাল দিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলতে দেখেছি। খালটি যথাযথ কর্তৃপক্ষ পরিমাপ করলে এ গাছগুলো সরকারি ভূমিতেই পড়বে।

হাজি ইয়াওর মিয়ার শ্যালক আবেদুল বলেন, হাজি ইয়াওর মিয়া লন্ডন চলে গেছেন। তার কোন মোবাইল নাম্বারও আমার কাছে নেই। এ ব্যাপারে আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবো না।

বাদল দেব বলেন, আমরা ভূমি পরিমাপ করে ৩০টি গাছ কিনেছি। এ গাছ সরকারের জায়গায় পড়েনি। ব্যক্তি মালিকানার জেনেই আমি কিনেছি।

গোয়ালাবাজার ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহিন মিয়া বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না, ইউএনও স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন।

তাজপুর তহশিল অফিসের তহশিলদার হুসনে আরা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরকারি জায়গার গাছ কাটা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান

ওসমানীনগরে সরকারি জায়গার গাছ কেটে নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা

প্রকাশের সময় : ০৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে দাসপাড়া-গয়নাঘাট নামক খালের পাড় থেকে দীর্ঘদিন ধরে বেড়ে উঠা আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রায় ৩০টি গাছ কেটে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে গাছগুলো খালের পাড়ের জমির মালিক গ্রামতলা (দাসপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজি ইয়াওর মিয়ার নিকট থেকে ক্রয় করে গাছ কাটা শুরু করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাদল দেব। এঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুরাতন এসব গাছ কাটার কারণে পরিবেশ বিনষ্টসহ সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের গয়নাঘাটস্থ দাসপাড়া-গয়নাঘাট খালের পাড়ে সরকারি ভূমির উপর বেড়ে উঠে ইউক্লিপটাস, রেইন্ট্রি ও একাশি জাতের বড় প্রায় ৩০টি গাছ। সম্প্রতি খালের পাড়ে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক স্থানীয় গ্রামতলা (দাসপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজি ইয়াওর মিয়া আওয়ামীলীগ নেতা বাদল দেবের কাছে এই গাছগুলো বিক্রি করেন বলে বাদল দেব দাবি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা ছোট বেলায় এ খাল দিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলতে দেখেছি। খালটি যথাযথ কর্তৃপক্ষ পরিমাপ করলে এ গাছগুলো সরকারি ভূমিতেই পড়বে।

হাজি ইয়াওর মিয়ার শ্যালক আবেদুল বলেন, হাজি ইয়াওর মিয়া লন্ডন চলে গেছেন। তার কোন মোবাইল নাম্বারও আমার কাছে নেই। এ ব্যাপারে আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবো না।

বাদল দেব বলেন, আমরা ভূমি পরিমাপ করে ৩০টি গাছ কিনেছি। এ গাছ সরকারের জায়গায় পড়েনি। ব্যক্তি মালিকানার জেনেই আমি কিনেছি।

গোয়ালাবাজার ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহিন মিয়া বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না, ইউএনও স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন।

তাজপুর তহশিল অফিসের তহশিলদার হুসনে আরা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরকারি জায়গার গাছ কাটা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।