, শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জকিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার ‘উদ্দেশ্যমূলক ভাবে এনসিপি নেতাদের নামে মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে’ সাদাপাথর লুটপাটের প্রমাণ ছাড়া দুদক প্রতিবেদন করলে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে : ফখরুল ইসলাম ‘উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের অন্যতম লক্ষ্য শিশু কল্যাণ’ সিলেট সুন্দর জেলায় পরিণত হবে : সারোয়ার আলম দুর্নীতিবাজদের যম সারোয়ার আলম সিলেট এসে পৌঁছেছেন নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম চন্ডিপুলে লাইসেন্স দেখতে চাওয়ায় সিসিক কর্মীর ওপর হামলা, তিনজন গ্রেপ্তার পাথর লুটকারী রাঘব বোয়ালদের আইনের আওতায় আনতে হবে : জৈন্তায় মুফতি আলী হাসান উসামা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রবেশে পদ নবম এবং চার স্তরের পদসোপান বাস্তবায়নের দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন

মাধবপুরের রাবার ড্যাম এখন দর্শনার্থীদের বিনোদনের কেন্দ্রে পরিণত

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী রাবার ড্যাম এখন দর্শানার্থীদের বিনোদনের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ঈদের সকাল থেকে সোনাই নদীর সবুজ শ্যামল তীরে দর্শানার্থীরা দলবেঁধে আসতে শুরু করে।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে মানুষের ভিড় আরো বাড়তে দেখা যায়। ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় আরো বেড়ে চলেছে। ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিকে কাজে লাগাতে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনের আগমন ঘটেছে রাবার ড্যামে।

রাবার ড্যামের কর্মকর্তারা বলছেন, চৌমুহনী রাবার ড্যামকে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা সৃষ্টি করে দিতে পারলে প্রতি বছর এখানে হাজারো দর্শানার্থীদের সমাগম ঘটবে। কিন্তু গত কযেক বছর ধরে ঈদ ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসে হাজার হাজার মানুষ সোনাই নদীর পাড়ে রাবার ড্যামে ভিড় করেন। সোনাই নদীর রাবার ড্যামটি অকোজো হয়ে পড়ায় এখন নদীতে পানি ধরে রাখা যাচ্ছেনা। যতটুকু পানি আছে তাতেই দর্শনার্থী খুশি।

চৌমুহনী রাবার ড্যাম সভাপতি সায়েদুর রহমান জানান, চৌমুহনী ও বহরায় সোনাই নদীর ওপড় প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৩ সালে রাবার দিয়ে বাধঁ তৈরি করা হয়। খরা মৌসুমে রাবার ফুলিয়ে নদীতে পানি জমাট করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে নদী তীরবর্তী ২০/২৫ টি গ্রামের কমপক্ষে ৫ হাজার কৃষক বোরো ধান সহ বিভিন্ন রবি শস্য ছাষাবাদ করে থাকে। এছাড়া রাবার বাধের কারনে নদীর পানি ফুলে পানিতে নদীতে ঢেউ খেলে।

এ সময় ঈদ ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস ছুটির দিনে নদীতে নেমে মানুষ সাঁতার কাটে। সুষ্ট ব্যবস্থাপনা করা গেলে এ খাত থেকে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব। কারন মাধবপুরে স্থানীয়ভাবে বিনোদনের জন্য এটি একটি ভাল জায়গা। আমরা এ ব্যাপারে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতা চাইব।

স্থানীয় চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুর রহমান সোহাগ বলেন, প্রতি বছর ঈদ ও নববর্ষে এবং জাতীয় দিবসে দর্শানার্থীদের পদচারণা রাবার ড্যাম নদী মুখরিত হয়ে উঠে। আগত এ সকল দর্শনার্থীরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ নদীর স্বচ্ছ জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠতে দেখা গেছে। নদীতে কেউ গোসল করছেন, কেউ ছবি তুলছেন, কেউ নৌকায় চড়ে নদীর ঢেউ উপভোগ করছেন,।মানুষের আগমনকে ঘিরে এখানে অনেক দোকানপাট গড়ে উঠে। তাই সরকারি সহযোগীতায় রাবার ড্যাম সোনাই নদীর পাড়ে কিছু গাছ,ফুলের চারা ও আরো কিছু অবকাঠামোগত কাজ করা হলে মানুষের পরিবেশ বান্ধব বিনোদনের জায়গা হত।

বিজয়নগর ইসলাম পুর থেকে রাবার ড্যামে বেড়াতে আসা রফিকুল নামে একজন দর্শনার্থী বলেন,ঈদের ছুটি এসে পরিবার নিয়ে তিনি রাবার ড্যাম সোনাই নদী দেখতে এসেছেন। অনেক লোক বেশ ভালো লাগছে। এখানে আরো সুযোগ সুবিধা করে দিতে পারলে মানুষের আগমন আরো বেড়ে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহেদ বিন কাশেম জানান, চৌমুহনী রাবার ড্যামে অনেক দর্শানার্থীদের আগমন ঘটে।এটির পরিবেশসম্মত উন্নয়ন করতে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।

জনপ্রিয়

জকিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

মাধবপুরের রাবার ড্যাম এখন দর্শনার্থীদের বিনোদনের কেন্দ্রে পরিণত

প্রকাশের সময় : ১২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী রাবার ড্যাম এখন দর্শানার্থীদের বিনোদনের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ঈদের সকাল থেকে সোনাই নদীর সবুজ শ্যামল তীরে দর্শানার্থীরা দলবেঁধে আসতে শুরু করে।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে মানুষের ভিড় আরো বাড়তে দেখা যায়। ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় আরো বেড়ে চলেছে। ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিকে কাজে লাগাতে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনের আগমন ঘটেছে রাবার ড্যামে।

রাবার ড্যামের কর্মকর্তারা বলছেন, চৌমুহনী রাবার ড্যামকে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা সৃষ্টি করে দিতে পারলে প্রতি বছর এখানে হাজারো দর্শানার্থীদের সমাগম ঘটবে। কিন্তু গত কযেক বছর ধরে ঈদ ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসে হাজার হাজার মানুষ সোনাই নদীর পাড়ে রাবার ড্যামে ভিড় করেন। সোনাই নদীর রাবার ড্যামটি অকোজো হয়ে পড়ায় এখন নদীতে পানি ধরে রাখা যাচ্ছেনা। যতটুকু পানি আছে তাতেই দর্শনার্থী খুশি।

চৌমুহনী রাবার ড্যাম সভাপতি সায়েদুর রহমান জানান, চৌমুহনী ও বহরায় সোনাই নদীর ওপড় প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৩ সালে রাবার দিয়ে বাধঁ তৈরি করা হয়। খরা মৌসুমে রাবার ফুলিয়ে নদীতে পানি জমাট করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে নদী তীরবর্তী ২০/২৫ টি গ্রামের কমপক্ষে ৫ হাজার কৃষক বোরো ধান সহ বিভিন্ন রবি শস্য ছাষাবাদ করে থাকে। এছাড়া রাবার বাধের কারনে নদীর পানি ফুলে পানিতে নদীতে ঢেউ খেলে।

এ সময় ঈদ ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস ছুটির দিনে নদীতে নেমে মানুষ সাঁতার কাটে। সুষ্ট ব্যবস্থাপনা করা গেলে এ খাত থেকে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব। কারন মাধবপুরে স্থানীয়ভাবে বিনোদনের জন্য এটি একটি ভাল জায়গা। আমরা এ ব্যাপারে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতা চাইব।

স্থানীয় চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুর রহমান সোহাগ বলেন, প্রতি বছর ঈদ ও নববর্ষে এবং জাতীয় দিবসে দর্শানার্থীদের পদচারণা রাবার ড্যাম নদী মুখরিত হয়ে উঠে। আগত এ সকল দর্শনার্থীরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ নদীর স্বচ্ছ জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠতে দেখা গেছে। নদীতে কেউ গোসল করছেন, কেউ ছবি তুলছেন, কেউ নৌকায় চড়ে নদীর ঢেউ উপভোগ করছেন,।মানুষের আগমনকে ঘিরে এখানে অনেক দোকানপাট গড়ে উঠে। তাই সরকারি সহযোগীতায় রাবার ড্যাম সোনাই নদীর পাড়ে কিছু গাছ,ফুলের চারা ও আরো কিছু অবকাঠামোগত কাজ করা হলে মানুষের পরিবেশ বান্ধব বিনোদনের জায়গা হত।

বিজয়নগর ইসলাম পুর থেকে রাবার ড্যামে বেড়াতে আসা রফিকুল নামে একজন দর্শনার্থী বলেন,ঈদের ছুটি এসে পরিবার নিয়ে তিনি রাবার ড্যাম সোনাই নদী দেখতে এসেছেন। অনেক লোক বেশ ভালো লাগছে। এখানে আরো সুযোগ সুবিধা করে দিতে পারলে মানুষের আগমন আরো বেড়ে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহেদ বিন কাশেম জানান, চৌমুহনী রাবার ড্যামে অনেক দর্শানার্থীদের আগমন ঘটে।এটির পরিবেশসম্মত উন্নয়ন করতে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।