, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান লন্ডনে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ সভার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫ নেতা কারাগারে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সিসিকের শোভাযাত্রা এসওএস চিলড্রেন্স ভিলেজ বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তা কর্মসূচী প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান রাতে গ্রেপ্তার, দুপুরে জামিন সিলেট জেলা শ্রমিকলীগ নেতা জাকারিয়ার সিলেটে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সিলেট সদর উপজেলার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জমি বিরোধের জেরে সিলেটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, অব্যাহত থাকবে ৫ দিন
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

লালাবাজারে ১৫ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন, স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

সিলেট দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে যৌতূকের দাবিতে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ওই গৃহবধূর নাম রুহেনা বেগন। এঘটনায় অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী বর্তমানে তার বাবার বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছেন। স্বামীর নির্যাতনে আহত গৃহবধূ এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানায়। গত ১২ মার্চ রাত নয়টায় উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার হন রুহেনা। তিনি উপজেলার সিলাম ইউনিয়নের গোয়ালগাও গ্রামের মৃত মকবুল আলীর কন্যা।

আহত রুহেনার পরিবার জানায়, ২০১২ সালে লালাবাজার ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামের মৃত মসকন্দর আলীর পূত্র কয়েছ আহমদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রুহেনার। প্রবাসী হওয়া সত্বেও বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে মারধর করে স্বামী কয়েছ। বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে নিয়মিত চাপ দিতো প্রবাসী স্বামী। এরই ধারাবাহিকতায় গত জানুয়ারি মাসে রুহেনা বেগমকে তার বাবার বাড়ী থেকে ১৫ লক্ষ টাকা যৌতুক আনার কথা বলে অন্যথায় তাকে তালাক দেওয়ার হুমকি প্রদান করে এবং চলিত মাসের ১২ মার্চ পুনরায় যৌতুক এনে না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিন রাতে রুহেনার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায় স্বামী।

মারধরে গুরুত্বর হন রুহেনা। এরকম অবস্থায় রুহেনার অজান্তে গত ২০ জানুয়ারি একই ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামের মোঃ আলীর মেয়ে রুজিনা বেগমকে বিয়ে করে ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করে স্বামী নির্যাতক কয়েছ। অথচ কয়েছ রুহেনার সংসারে রয়েছে ১২ ও ৮ বছরের ২ টি সন্তান।

আহত গৃহবধূ রুহেনা বেগম বলেন, যৌতুকলোভী স্বামীর নির্যাতনে বাধ্য হয়ে আমার এবং সন্তানের আত্মরক্ষায় অভিযোগ দায়ের করেছি থানায়। অভিযোগ দায়েরের পর একটি প্রভাবশালীমহল অভিযোগ শেষ করার জন্য আমাকে এবং আমার পরিবারকে নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন। এ নিয়ে চরম শংকায় রয়েছি আমি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি আমি।

এব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী অভিযোগ দায়ের করেছেন, সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান তিনি।

সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব

জনপ্রিয়

প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান

লালাবাজারে ১৫ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন, স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

সিলেট দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে যৌতূকের দাবিতে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ওই গৃহবধূর নাম রুহেনা বেগন। এঘটনায় অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী বর্তমানে তার বাবার বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছেন। স্বামীর নির্যাতনে আহত গৃহবধূ এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানায়। গত ১২ মার্চ রাত নয়টায় উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার হন রুহেনা। তিনি উপজেলার সিলাম ইউনিয়নের গোয়ালগাও গ্রামের মৃত মকবুল আলীর কন্যা।

আহত রুহেনার পরিবার জানায়, ২০১২ সালে লালাবাজার ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামের মৃত মসকন্দর আলীর পূত্র কয়েছ আহমদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রুহেনার। প্রবাসী হওয়া সত্বেও বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে মারধর করে স্বামী কয়েছ। বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে নিয়মিত চাপ দিতো প্রবাসী স্বামী। এরই ধারাবাহিকতায় গত জানুয়ারি মাসে রুহেনা বেগমকে তার বাবার বাড়ী থেকে ১৫ লক্ষ টাকা যৌতুক আনার কথা বলে অন্যথায় তাকে তালাক দেওয়ার হুমকি প্রদান করে এবং চলিত মাসের ১২ মার্চ পুনরায় যৌতুক এনে না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিন রাতে রুহেনার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায় স্বামী।

মারধরে গুরুত্বর হন রুহেনা। এরকম অবস্থায় রুহেনার অজান্তে গত ২০ জানুয়ারি একই ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামের মোঃ আলীর মেয়ে রুজিনা বেগমকে বিয়ে করে ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করে স্বামী নির্যাতক কয়েছ। অথচ কয়েছ রুহেনার সংসারে রয়েছে ১২ ও ৮ বছরের ২ টি সন্তান।

আহত গৃহবধূ রুহেনা বেগম বলেন, যৌতুকলোভী স্বামীর নির্যাতনে বাধ্য হয়ে আমার এবং সন্তানের আত্মরক্ষায় অভিযোগ দায়ের করেছি থানায়। অভিযোগ দায়েরের পর একটি প্রভাবশালীমহল অভিযোগ শেষ করার জন্য আমাকে এবং আমার পরিবারকে নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন। এ নিয়ে চরম শংকায় রয়েছি আমি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি আমি।

এব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী অভিযোগ দায়ের করেছেন, সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান তিনি।

সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব