, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান লন্ডনে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ সভার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫ নেতা কারাগারে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সিসিকের শোভাযাত্রা এসওএস চিলড্রেন্স ভিলেজ বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তা কর্মসূচী প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান রাতে গ্রেপ্তার, দুপুরে জামিন সিলেট জেলা শ্রমিকলীগ নেতা জাকারিয়ার সিলেটে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সিলেট সদর উপজেলার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জমি বিরোধের জেরে সিলেটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, অব্যাহত থাকবে ৫ দিন
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

জুমাতুল বিদা : ফজিলত থেকে বঞ্চিত না হতে সিলেটে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল

জুমাতুল বিদা। রমজান মাসের শেষ জুমা। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পবিত্র রমজান মাসের শেষ জুমার দিন হিসেবে বিশেষ মর্যাদা রাখে। মুসল্লিরা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা, দোয়া ও ইবাদতে মগ্ন হয়ে শান্তি ও কল্যাণের কামনা করছেন।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) শেষ জুমা সিলেটেও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভে ও অধিক পুণ্যের আশায় মসজিদে হাজির হন।

জুমার নামাজ শেষে দু’হাত তুলে প্রার্থনা করেন মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেদের পাপ মোচনের জন্য তওবা করে ক্ষমা চান। দোয়া করেন সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে।

রোজায় বিদায় লগ্নে জুমাতুল বিদা উপলক্ষে মসজিদে মসজিদে ছিল মানুষের ঢল। ফজিলত থেকে বঞ্চিত না হতে সিলেটের শাহজালাল (র:) মাজার মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি বরাবরের ন্যায় লক্ষ্যণীয় ছিল।

এছাড়াও শাহপরাণ (রহ.), সিলেট বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, সিলেট কালেক্টর মসজিদ, কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদ, হাওয়াপাড়া জামে মসজিদ, আম্বরখানা জামে মসজিদ, খোজার খলা জামে মসজিদসহ সিলেটের প্রতিটি মসজিদে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে দেশ-জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি, উন্নতি ও কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন দরগাহ মসজিদের ইমাম।

জুমাতুল বিদা উপলক্ষে সিলেটের শাহজালাল (র.) কোরআন থেকে তেলাওয়াত, নফল নামাজ, তাসবিহ-তাহলিলে মসগুল ছিলেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে মাজার জিয়ারত করে দান-খয়রাতের করেন অধিক সওয়াবের আশায়।

ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, দিবসসমূহের মধ্যে জুমাতুল বিদা সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। রমজানের প্রতিটি দিন তার আগের দিন অপেক্ষা শ্রেয়তর এবং অধিক ফজিলতপূর্ণ। তাই রমজানের শেষ জুমা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যমণ্ডিত। কেননা, জুমাতুল বিদার মাহাত্ম অত্যধিক। রমজান মাসের সর্বোত্তম দিবস হলো জুমাতুল বিদা।

বুজুর্গদের মতে, এই দিনটি মুসলমানদের কাছে বিশেষ তাৎপর্য। এইদিনে আল্লাহর নবী হযরত দাউদ (আ:) এর পুত্র হযরত সুলাইমান (আ:) জেরুজালেম নগরী প্রতিষ্ঠা করেন।

আল্লাহর মহিমা তুলে ধরতে তিনি সেখানে মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদ আল-আকসা পুনর্নির্মাণ করেন। মক্কার মসজিদে হারাম, মদিনার মসজিদে নববীর পর মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হচ্ছে এই বায়তুল মোকাদ্দাস বা মসজিদ আল-আকসা।

প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবারে বিশ্বের মুসলমানরা ইসরাইলের কবল থেকে বায়তুল মোকাদ্দাসকে মুক্ত করার জন্য নতুন শপথ নিয়ে থাকেন। এজন্য রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে আল কুদস দিবসও বলা হয়।

এদিনে বিশ্বের মুসলমানরা মুসলিম উম্মার ঐক্য, তাদের উন্নয়ন, আল কুদসের মুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে বিশেষ প্রার্থনা করে থাকেন।

জনপ্রিয়

প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান

জুমাতুল বিদা : ফজিলত থেকে বঞ্চিত না হতে সিলেটে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

জুমাতুল বিদা। রমজান মাসের শেষ জুমা। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পবিত্র রমজান মাসের শেষ জুমার দিন হিসেবে বিশেষ মর্যাদা রাখে। মুসল্লিরা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা, দোয়া ও ইবাদতে মগ্ন হয়ে শান্তি ও কল্যাণের কামনা করছেন।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) শেষ জুমা সিলেটেও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভে ও অধিক পুণ্যের আশায় মসজিদে হাজির হন।

জুমার নামাজ শেষে দু’হাত তুলে প্রার্থনা করেন মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেদের পাপ মোচনের জন্য তওবা করে ক্ষমা চান। দোয়া করেন সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে।

রোজায় বিদায় লগ্নে জুমাতুল বিদা উপলক্ষে মসজিদে মসজিদে ছিল মানুষের ঢল। ফজিলত থেকে বঞ্চিত না হতে সিলেটের শাহজালাল (র:) মাজার মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি বরাবরের ন্যায় লক্ষ্যণীয় ছিল।

এছাড়াও শাহপরাণ (রহ.), সিলেট বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, সিলেট কালেক্টর মসজিদ, কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদ, হাওয়াপাড়া জামে মসজিদ, আম্বরখানা জামে মসজিদ, খোজার খলা জামে মসজিদসহ সিলেটের প্রতিটি মসজিদে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে দেশ-জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি, উন্নতি ও কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন দরগাহ মসজিদের ইমাম।

জুমাতুল বিদা উপলক্ষে সিলেটের শাহজালাল (র.) কোরআন থেকে তেলাওয়াত, নফল নামাজ, তাসবিহ-তাহলিলে মসগুল ছিলেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে মাজার জিয়ারত করে দান-খয়রাতের করেন অধিক সওয়াবের আশায়।

ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, দিবসসমূহের মধ্যে জুমাতুল বিদা সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। রমজানের প্রতিটি দিন তার আগের দিন অপেক্ষা শ্রেয়তর এবং অধিক ফজিলতপূর্ণ। তাই রমজানের শেষ জুমা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যমণ্ডিত। কেননা, জুমাতুল বিদার মাহাত্ম অত্যধিক। রমজান মাসের সর্বোত্তম দিবস হলো জুমাতুল বিদা।

বুজুর্গদের মতে, এই দিনটি মুসলমানদের কাছে বিশেষ তাৎপর্য। এইদিনে আল্লাহর নবী হযরত দাউদ (আ:) এর পুত্র হযরত সুলাইমান (আ:) জেরুজালেম নগরী প্রতিষ্ঠা করেন।

আল্লাহর মহিমা তুলে ধরতে তিনি সেখানে মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদ আল-আকসা পুনর্নির্মাণ করেন। মক্কার মসজিদে হারাম, মদিনার মসজিদে নববীর পর মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হচ্ছে এই বায়তুল মোকাদ্দাস বা মসজিদ আল-আকসা।

প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবারে বিশ্বের মুসলমানরা ইসরাইলের কবল থেকে বায়তুল মোকাদ্দাসকে মুক্ত করার জন্য নতুন শপথ নিয়ে থাকেন। এজন্য রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে আল কুদস দিবসও বলা হয়।

এদিনে বিশ্বের মুসলমানরা মুসলিম উম্মার ঐক্য, তাদের উন্নয়ন, আল কুদসের মুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে বিশেষ প্রার্থনা করে থাকেন।