, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান লন্ডনে বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের বার্ষিক সাধারণ সভার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫ নেতা কারাগারে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সিসিকের শোভাযাত্রা এসওএস চিলড্রেন্স ভিলেজ বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তা কর্মসূচী প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান রাতে গ্রেপ্তার, দুপুরে জামিন সিলেট জেলা শ্রমিকলীগ নেতা জাকারিয়ার সিলেটে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি সিলেট সদর উপজেলার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জমি বিরোধের জেরে সিলেটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, অব্যাহত থাকবে ৫ দিন
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

দুদকের তদন্ত শুরু : ছাতকের মেয়রের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

সুনামগঞ্জের ছাতক পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরীর ও কাউন্সিলর ৭নং ওয়ার্ড তাপস চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা লুটপাট আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতি ভুয়া রেজুলেশনসহ রাস্তা উন্নয়নের নামে ব্যাপক আত্মসাত ও লুটপাটের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে।

গত ৫ আগস্ট থেকে পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী ও পৌর কাউন্সিলর তাপস চৌধুরী পলাতক থাকার পর একের পর এক রহস্য বের হয়ে আসছে।

আবুল কালাম চৌধুরী ও কাউন্সিলর তাপস চৌধুরীর বিরুদ্ধে তিন হাজার পাতার অনিয়মের লুটপাটের অভিযোগে ব্যাপক লুটপাটেব ঘটনায় সিলেটের দুদক তদন্ত শুরু করেছে।

এসব অনিয়মের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে একটি প্রভাবশালী চত্রু ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

১৯৯৮ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনটি মেয়াদে আওয়ামী লীগের মেয়র পদে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী গ্রুপিং রাজনীতির মাধ্যমে অবৈধ টাকা আর পেশিশক্তির প্রভাব খাটিয়ে প্রয়াত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের প্রশ্রয়ে এলাকায় গড়ে তোলেন নিজস্ব বলয়। নিয়ন্ত্রণে নেন লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কোম্পানি, সিলেট পাল্প অ্যান্ড পেপার মিল, ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, আকিজ প্লাস্টিক লিমিটেড।

নৌপথে ব্যাপক চাঁদাবাজিসহ নানা অরাজকতা। এতে তার সঙ্গী ভাই-ভাতিজা। বাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা, ব্যবসায়ী সমিতি ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পদগুলো ছিলেন তার পরিবার এবং সমর্থকদের দখলে।

কোম্পানিগুলোর স্থায়ী-অস্থায়ী জনবল নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্য ছিলেন আবুল কালাম চৌধুরী ও তার ভাইদের নিয়ন্ত্রণে। ফলে প্রকৃত ঠিকাদাররা ছিলেন বঞ্চিত। আবুল কালাম চৌধুরী পৌর মেয়র থাকাকালেও লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কোম্পানিতে কালাম অ্যান্ড কোং নামে শ্রমিক সরবরাহের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতেন।

তিনি পরিবেশের ক্ষতি করবেন না বলে পৌর মেয়র হিসেবে শপথ নিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কোম্পানিতে মাটি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন।

বিগত সরকারের কোনো দপ্তরই তাদের বিরুদ্ধে কখনো এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি পৌরসভার মেয়র থাকাকালে নির্মাণকাজ পরিদর্শনে গিয়ে পাথর-বালি হাতে নিয়ে কাজের মান যাচাই-বাছাইয়ের নামে সামান্য অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্টদের বকাঝকা করতেন।

তার অনুসারীরা এ ধরনের দুর্নীতিবিরোধী বক্তব্য ও তৎপরতা জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করতেন। তবে বাস্তবে একেবারেই উল্টো চরিত্রের ছিলেন আবুল কালাম চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে একাধিক পত্রিকার বিজ্ঞাপনের বিলসহ অনিয়ম-দুর্নীতি লুটপাটের মাধ্যমে অর্জন করেছেন অঢেল অর্থ-সম্পদ।

জনপ্রিয়

প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না : মৌলভীবাজারে ডা. শফিকুর রহমান

দুদকের তদন্ত শুরু : ছাতকের মেয়রের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

প্রকাশের সময় : ১২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

সুনামগঞ্জের ছাতক পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরীর ও কাউন্সিলর ৭নং ওয়ার্ড তাপস চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা লুটপাট আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতি ভুয়া রেজুলেশনসহ রাস্তা উন্নয়নের নামে ব্যাপক আত্মসাত ও লুটপাটের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে।

গত ৫ আগস্ট থেকে পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী ও পৌর কাউন্সিলর তাপস চৌধুরী পলাতক থাকার পর একের পর এক রহস্য বের হয়ে আসছে।

আবুল কালাম চৌধুরী ও কাউন্সিলর তাপস চৌধুরীর বিরুদ্ধে তিন হাজার পাতার অনিয়মের লুটপাটের অভিযোগে ব্যাপক লুটপাটেব ঘটনায় সিলেটের দুদক তদন্ত শুরু করেছে।

এসব অনিয়মের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে একটি প্রভাবশালী চত্রু ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

১৯৯৮ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনটি মেয়াদে আওয়ামী লীগের মেয়র পদে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী গ্রুপিং রাজনীতির মাধ্যমে অবৈধ টাকা আর পেশিশক্তির প্রভাব খাটিয়ে প্রয়াত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের প্রশ্রয়ে এলাকায় গড়ে তোলেন নিজস্ব বলয়। নিয়ন্ত্রণে নেন লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কোম্পানি, সিলেট পাল্প অ্যান্ড পেপার মিল, ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, আকিজ প্লাস্টিক লিমিটেড।

নৌপথে ব্যাপক চাঁদাবাজিসহ নানা অরাজকতা। এতে তার সঙ্গী ভাই-ভাতিজা। বাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা, ব্যবসায়ী সমিতি ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পদগুলো ছিলেন তার পরিবার এবং সমর্থকদের দখলে।

কোম্পানিগুলোর স্থায়ী-অস্থায়ী জনবল নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্য ছিলেন আবুল কালাম চৌধুরী ও তার ভাইদের নিয়ন্ত্রণে। ফলে প্রকৃত ঠিকাদাররা ছিলেন বঞ্চিত। আবুল কালাম চৌধুরী পৌর মেয়র থাকাকালেও লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কোম্পানিতে কালাম অ্যান্ড কোং নামে শ্রমিক সরবরাহের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতেন।

তিনি পরিবেশের ক্ষতি করবেন না বলে পৌর মেয়র হিসেবে শপথ নিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট কোম্পানিতে মাটি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন।

বিগত সরকারের কোনো দপ্তরই তাদের বিরুদ্ধে কখনো এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি পৌরসভার মেয়র থাকাকালে নির্মাণকাজ পরিদর্শনে গিয়ে পাথর-বালি হাতে নিয়ে কাজের মান যাচাই-বাছাইয়ের নামে সামান্য অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্টদের বকাঝকা করতেন।

তার অনুসারীরা এ ধরনের দুর্নীতিবিরোধী বক্তব্য ও তৎপরতা জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করতেন। তবে বাস্তবে একেবারেই উল্টো চরিত্রের ছিলেন আবুল কালাম চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে একাধিক পত্রিকার বিজ্ঞাপনের বিলসহ অনিয়ম-দুর্নীতি লুটপাটের মাধ্যমে অর্জন করেছেন অঢেল অর্থ-সম্পদ।