, সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে জোড়া খুনের মামলার রায়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড সিলেটে ফের বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ : ৪ জন শনাক্ত বাস চালক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিলেটের ৩ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ জুলাই বৈষম্যহীন দেশ গড়ার চেতনা : খান মো. রেজা-উন-নবী ‘সিলেট নগরীকে পর্যায়ক্রমে ভিক্ষুক মুক্ত করা হবে’ সিলেটে পুলিশের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ আফজল মিয়ার ইন্তেকাল : বিভিন্ন মহলের শোক সিলেট-চারখাই-শেওলা চারলেন প্রকল্প বাতিলের ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবেনা : ড. মো: এনামুল হক চৌধুরী বিশ্বনাথে এসএসসি ও দাখিল কৃতি শিক্ষার্থীকে ছাত্র মজলিসের সংবর্ধনা তারেক রহমানকে নিয়ে নাদেলের কটুক্তির প্রতিবাদে সিলেট জুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতিতে সিলেটে পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিকরা

সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা লোড-আনলোড পয়েন্টের ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন রবিবার শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত হচ্ছে।

২৮ জুন শনিবার ভোর ৬টা থেকে ভোলাগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, জাফলং, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর এলাকার লোড-আনলোড পয়েন্ট এলাকায় পরিবহন মালিক-শ্রমিক, ব্যববসায়ী, বেলচা শ্রমিক, বালু শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেন। ভোর থেকে কোন গাড়িতে লোড-আনলোড করেননি মালিক-শ্রমিকরা। সকালে জাফলং বল্লাঘাট পয়েন্টে মালিক-শ্রমিকরা জড়ো হয়ে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা করেন। দেশের অন্যান্য পাথর কোয়ারি ইতিপূর্বে খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু নানা আবেদন নিবেদন দেন-দরবারের পরও সিলেটে পাথর কোয়ারী খুলে দেয়া হচ্ছেনা। বরং আগুনে ঘি ঢেলেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সিলেটের আর কোনো পাথর কোয়ারি খুলে দেয়া হবেনা, সম্প্রতি সিলেট সফরে এসে দেওয়া তার এমন ঘোষণার পর সংশ্লিষ্টরা প্রতিবাদী হয়ে উঠেন। লাগাতার কঠোর আন্দোলন শুরু করেন পাথরখাত সংশ্লিষ্ট মালিক, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর মারাত্মক সমস্যায় পড়েন কোয়ারির মালিক শ্রমিকসহ প্রায় ২০ লাখ মানুষ। এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়ে সিলেটের সার্বিক অর্থনীতিতে। কোয়ারি মালিক, পরিবহণ মালিক-শ্রমিক ও কোয়ারি শ্রমিকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হন। তার বারবার সরকারের সঙ্গে দেন-দরবার আবেদন নিবেদন করতে থাকেন। চলতি বছরের জানুয়ারির দিকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের কোয়ারিগুলো খুলে দিলেও সিলেটের ব্যাপারে বন্ধের সিদ্ধান্তই বহাল রাখা হয়। এতে এখাতের সাথে জড়িতদের মধ্যে হতাশা আরও বাড়তে থাকে। এরপর আন্দোলনের পরিকল্পনা করতে থাকে পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কল্যাণ ঐক্য পরিষদ। সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সম্প্রতি এক সমাবেশে ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ তাদের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিন ধাপের এ আন্দোলনের প্রথম ধাপের কোয়ারি ও লোড-আনলোড পয়েন্টে ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতি চলছে এখন।

শনিবার সকাল ৬টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। চলবে সোমবার ভোর পর্যন্ত। পাথর কোয়ারি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতা শাব্বির আহমদ ফয়েজ জানান, ৪৮ ঘন্টা কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। আশা করছি সফলভাবে শেষ হবে। এরপর আমাদের আরও কঠোর কর্মসূচি আছে। সোমবার সকাল থেকে ৪৮ ঘন্টার জন্য শুরু হবে পণ্য পরিবহনে কর্মবিরতি। তারপর শুরু হবে আরও বড় কর্মসূচি। সেটা হচ্ছে অনিদিষ্টকালের জন্য পণ্য ও গণপরিবহনে কর্মবিরতি।

জনপ্রিয়

সিলেটে জোড়া খুনের মামলার রায়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতিতে সিলেটে পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিকরা

প্রকাশের সময় : ০২:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা লোড-আনলোড পয়েন্টের ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন রবিবার শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত হচ্ছে।

২৮ জুন শনিবার ভোর ৬টা থেকে ভোলাগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, জাফলং, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর এলাকার লোড-আনলোড পয়েন্ট এলাকায় পরিবহন মালিক-শ্রমিক, ব্যববসায়ী, বেলচা শ্রমিক, বালু শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেন। ভোর থেকে কোন গাড়িতে লোড-আনলোড করেননি মালিক-শ্রমিকরা। সকালে জাফলং বল্লাঘাট পয়েন্টে মালিক-শ্রমিকরা জড়ো হয়ে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা করেন। দেশের অন্যান্য পাথর কোয়ারি ইতিপূর্বে খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু নানা আবেদন নিবেদন দেন-দরবারের পরও সিলেটে পাথর কোয়ারী খুলে দেয়া হচ্ছেনা। বরং আগুনে ঘি ঢেলেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সিলেটের আর কোনো পাথর কোয়ারি খুলে দেয়া হবেনা, সম্প্রতি সিলেট সফরে এসে দেওয়া তার এমন ঘোষণার পর সংশ্লিষ্টরা প্রতিবাদী হয়ে উঠেন। লাগাতার কঠোর আন্দোলন শুরু করেন পাথরখাত সংশ্লিষ্ট মালিক, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর মারাত্মক সমস্যায় পড়েন কোয়ারির মালিক শ্রমিকসহ প্রায় ২০ লাখ মানুষ। এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়ে সিলেটের সার্বিক অর্থনীতিতে। কোয়ারি মালিক, পরিবহণ মালিক-শ্রমিক ও কোয়ারি শ্রমিকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হন। তার বারবার সরকারের সঙ্গে দেন-দরবার আবেদন নিবেদন করতে থাকেন। চলতি বছরের জানুয়ারির দিকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের কোয়ারিগুলো খুলে দিলেও সিলেটের ব্যাপারে বন্ধের সিদ্ধান্তই বহাল রাখা হয়। এতে এখাতের সাথে জড়িতদের মধ্যে হতাশা আরও বাড়তে থাকে। এরপর আন্দোলনের পরিকল্পনা করতে থাকে পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কল্যাণ ঐক্য পরিষদ। সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সম্প্রতি এক সমাবেশে ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ তাদের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিন ধাপের এ আন্দোলনের প্রথম ধাপের কোয়ারি ও লোড-আনলোড পয়েন্টে ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতি চলছে এখন।

শনিবার সকাল ৬টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। চলবে সোমবার ভোর পর্যন্ত। পাথর কোয়ারি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতা শাব্বির আহমদ ফয়েজ জানান, ৪৮ ঘন্টা কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। আশা করছি সফলভাবে শেষ হবে। এরপর আমাদের আরও কঠোর কর্মসূচি আছে। সোমবার সকাল থেকে ৪৮ ঘন্টার জন্য শুরু হবে পণ্য পরিবহনে কর্মবিরতি। তারপর শুরু হবে আরও বড় কর্মসূচি। সেটা হচ্ছে অনিদিষ্টকালের জন্য পণ্য ও গণপরিবহনে কর্মবিরতি।