, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন উইমেন ফর উইমেন রাইটস’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে : এডভোকেট জেবুন নাহার সেলিম সিলেটে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রির দাবিতে সভা অনুষ্ঠিত আট দফা দাবিতে ১ নভেম্বর থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ সিলেটে অধ্যাপক ফজলুর রহমানের ‘ধর্মনিরপেক্ষ মুসলমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন সিলেটে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন বিশেষ কল্যাণ সভায় হাইওয়ে পুলিশের সেবার মানোন্নয়ন প্রত্যয়ে অঙ্গীকার সিলেটে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের নিয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক পরামর্শ কর্মশালা ১৭ বছর বয়সে বিমানের পাইলট সিলেটের আহনাফ

২৭ মাসে ১১০ ভূকম্পন : ভূমিকম্পের ‘বিপজ্জনক জোন’ সিলেট

সিলেট ও এর আশপাশে ভূ-অভ্যন্তরে একাধিক ফল্ট সক্রিয় থাকায় সিলেটকে ভূমিকম্পের ‘বিপজ্জনক জোন’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভূমিকম্পের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে ভূমিকম্পের ১ নম্বর বিপজ্জনক জোন হওয়ায় সিলেটে সবসময় আতঙ্ক বিরাজ করে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২৭ মাসে দেশে ১১০টি ভূমিকম্পের অধিকাংশ সিলেটকে ঘিরে সংঘটিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কেউ মানতে রাজি নন বিল্ডিং কোড। নগরীর ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কার্যক্রম। আর ফায়ার সার্ভিস বলছে, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত।

জানা যায়, বাংলাদেশকে ভূকম্পনের তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জোন হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু স্থান যেমন: সিলেট, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার উল্লেখযোগ্য।

১৮৯৭ সালের ১২ জুন ভারতের আসামে হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ১ রিখটার স্কেল। প্রায় ১,৫৪২ লোক হতাহত এবং সম্পত্তির ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বিপুল ছিল। এছাড়া ১৮১৮ সালে শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৬ এবং ১৮২২ সালে সিলেটে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ১৫৪৮ থেকে ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত আরও সাতটি ভূমিকম্প হওয়ার ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।

সিলেট আবহাওয়া অফিস আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, ২০২৩ সাল থেকে চলতি মাসের ৫ মার্চ পর্যন্ত দেশে ১১০ ভূমিকম্পের রেকর্ড করেছে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় অঞ্চলে ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দেয়। তাই ভবন নির্মাণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিলেট বিভাগের উপপরিচালক (ভারপাপ্ত) মো. ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, ভূমিকম্পের আগাম পূর্বাভাস দেয়ার মতো কোনো প্রযুক্তি আবিষ্কার না হলেও ভূমিকম্প পরবর্তী জান-মাল রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান অভিযোগ করেন, সিলেট নগরীতে ভবন নির্মাণের সিটি করপোরেশন থেকে নকশা অনুমোদনের পর বিল্ডিং কোড মানছে কি মানছে না তা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করছেন না ভবনের মালিকরা। এ কারণে নির্মাণ তদারকি করাও সম্ভব হচ্ছে না।

২০১৯ সালে নগরীতে সরকারি-বেসরকারি ২৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। ভবনের বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও ভবনগুলোতে এখনও চলছে কার্যক্রম।

জনপ্রিয়

আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন

২৭ মাসে ১১০ ভূকম্পন : ভূমিকম্পের ‘বিপজ্জনক জোন’ সিলেট

প্রকাশের সময় : ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

সিলেট ও এর আশপাশে ভূ-অভ্যন্তরে একাধিক ফল্ট সক্রিয় থাকায় সিলেটকে ভূমিকম্পের ‘বিপজ্জনক জোন’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভূমিকম্পের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করে ভূমিকম্পের ১ নম্বর বিপজ্জনক জোন হওয়ায় সিলেটে সবসময় আতঙ্ক বিরাজ করে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২৭ মাসে দেশে ১১০টি ভূমিকম্পের অধিকাংশ সিলেটকে ঘিরে সংঘটিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কেউ মানতে রাজি নন বিল্ডিং কোড। নগরীর ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কার্যক্রম। আর ফায়ার সার্ভিস বলছে, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত।

জানা যায়, বাংলাদেশকে ভূকম্পনের তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জোন হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু কিছু স্থান যেমন: সিলেট, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার উল্লেখযোগ্য।

১৮৯৭ সালের ১২ জুন ভারতের আসামে হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ১ রিখটার স্কেল। প্রায় ১,৫৪২ লোক হতাহত এবং সম্পত্তির ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বিপুল ছিল। এছাড়া ১৮১৮ সালে শ্রীমঙ্গলে ৭ দশমিক ৬ এবং ১৮২২ সালে সিলেটে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ১৫৪৮ থেকে ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত আরও সাতটি ভূমিকম্প হওয়ার ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।

সিলেট আবহাওয়া অফিস আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, ২০২৩ সাল থেকে চলতি মাসের ৫ মার্চ পর্যন্ত দেশে ১১০ ভূমিকম্পের রেকর্ড করেছে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় অঞ্চলে ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দেয়। তাই ভবন নির্মাণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিলেট বিভাগের উপপরিচালক (ভারপাপ্ত) মো. ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, ভূমিকম্পের আগাম পূর্বাভাস দেয়ার মতো কোনো প্রযুক্তি আবিষ্কার না হলেও ভূমিকম্প পরবর্তী জান-মাল রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান অভিযোগ করেন, সিলেট নগরীতে ভবন নির্মাণের সিটি করপোরেশন থেকে নকশা অনুমোদনের পর বিল্ডিং কোড মানছে কি মানছে না তা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করছেন না ভবনের মালিকরা। এ কারণে নির্মাণ তদারকি করাও সম্ভব হচ্ছে না।

২০১৯ সালে নগরীতে সরকারি-বেসরকারি ২৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। ভবনের বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও ভবনগুলোতে এখনও চলছে কার্যক্রম।