, সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাস চালক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিলেটের ৩ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ জুলাই বৈষম্যহীন দেশ গড়ার চেতনা : খান মো. রেজা-উন-নবী ‘সিলেট নগরীকে পর্যায়ক্রমে ভিক্ষুক মুক্ত করা হবে’ সিলেটে পুলিশের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ আফজল মিয়ার ইন্তেকাল : বিভিন্ন মহলের শোক সিলেট-চারখাই-শেওলা চারলেন প্রকল্প বাতিলের ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবেনা : ড. মো: এনামুল হক চৌধুরী বিশ্বনাথে এসএসসি ও দাখিল কৃতি শিক্ষার্থীকে ছাত্র মজলিসের সংবর্ধনা তারেক রহমানকে নিয়ে নাদেলের কটুক্তির প্রতিবাদে সিলেট জুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় গোলাপগঞ্জে মাদকসহ একই পরিবারের ৪ জনসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার জকিগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

১৩ মার্চ ‘আছিয়া দিবস’ পালনের প্রস্তাব জামায়াত আমিরের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান পাশবিক ধর্ষণের শিকার মাগুরার শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তিনি দিনটিকে (১৩ মার্চ) ‘আছিয়া দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাগুরায় বর্বর নির্যাতনের শিকার শিশু আছিয়া ইতিহাসের করুণ সাক্ষী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে সারা বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে চলে গেল (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আল্লাহ তা’আলা তাকে একান্ত প্রিয় হিসেবে কবুল করুন, আমিন। মহান রবের দরবারে দোআ করি তিনি যেন আছিয়ার পিতা-মাতাসহ আপনজন নির্বিশেষে বিবেকবান দেশবাসীকে এই শোক সহ্য করার তাওফিক দান করেন।

তিনি বলেন, আছিয়ার এ করুণ পরিণতি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আমাদের এ জনপদ শিশুদের জন্য কতটা অনিরাপদ। এই পাশবিক ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের সমাজে ও মস্তিষ্কে পচন ধরেছে। অবক্ষয় হয়েছে সামাজিক মূল্যবোধের। এ মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ এবং মস্তিষ্কের সংশোধন এখন একান্ত জরুরি। আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ বাংলাদেশকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে নিজ নিজ জায়গা থেকে সংশোধনের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর অংশ হিসেবে ১৩ মার্চ ‘আছিয়া দিবস’ পালন করা যেতে পারে। যার মূল উদ্দেশ্য হবে শিশুদের সুরক্ষায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি। এর মাধ্যমে এমন সমাজ বিনির্মাণ করতে হবে যেখানে শিশু, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষ থাকবে নিরাপদ।

তিনি আরও বলেন, মানুষ নামের যে পশুরা পাশবিক লালসা চরিতার্থ করতে গিয়ে নিষ্পাপ এ শিশুটির জীবনের আলো নিভিয়ে দিল আমি তাদের কঠিনতম ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। ধর্ষকদের এ শাস্তি সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। এমন শাস্তি কার্যকর করতে হবে যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যুগের পর যুগ।

তিনি আরও বলেন, আসুন ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে এবং সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই যাতে আর কোনো আছিয়াকে এভাবে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে না হয়।

এই পাশবিক ঘটনার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি প্রদান এবং সেই সঙ্গে নিহত শিশুটির পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জন্য আমি সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

জনপ্রিয়

বাস চালক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিলেটের ৩ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ

১৩ মার্চ ‘আছিয়া দিবস’ পালনের প্রস্তাব জামায়াত আমিরের

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান পাশবিক ধর্ষণের শিকার মাগুরার শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তিনি দিনটিকে (১৩ মার্চ) ‘আছিয়া দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাগুরায় বর্বর নির্যাতনের শিকার শিশু আছিয়া ইতিহাসের করুণ সাক্ষী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে সারা বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে চলে গেল (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আল্লাহ তা’আলা তাকে একান্ত প্রিয় হিসেবে কবুল করুন, আমিন। মহান রবের দরবারে দোআ করি তিনি যেন আছিয়ার পিতা-মাতাসহ আপনজন নির্বিশেষে বিবেকবান দেশবাসীকে এই শোক সহ্য করার তাওফিক দান করেন।

তিনি বলেন, আছিয়ার এ করুণ পরিণতি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আমাদের এ জনপদ শিশুদের জন্য কতটা অনিরাপদ। এই পাশবিক ঘটনা প্রমাণ করে আমাদের সমাজে ও মস্তিষ্কে পচন ধরেছে। অবক্ষয় হয়েছে সামাজিক মূল্যবোধের। এ মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ এবং মস্তিষ্কের সংশোধন এখন একান্ত জরুরি। আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ বাংলাদেশকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে নিজ নিজ জায়গা থেকে সংশোধনের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর অংশ হিসেবে ১৩ মার্চ ‘আছিয়া দিবস’ পালন করা যেতে পারে। যার মূল উদ্দেশ্য হবে শিশুদের সুরক্ষায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি। এর মাধ্যমে এমন সমাজ বিনির্মাণ করতে হবে যেখানে শিশু, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব মানুষ থাকবে নিরাপদ।

তিনি আরও বলেন, মানুষ নামের যে পশুরা পাশবিক লালসা চরিতার্থ করতে গিয়ে নিষ্পাপ এ শিশুটির জীবনের আলো নিভিয়ে দিল আমি তাদের কঠিনতম ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। ধর্ষকদের এ শাস্তি সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। এমন শাস্তি কার্যকর করতে হবে যা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যুগের পর যুগ।

তিনি আরও বলেন, আসুন ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে এবং সাংগঠনিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই যাতে আর কোনো আছিয়াকে এভাবে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে না হয়।

এই পাশবিক ঘটনার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি প্রদান এবং সেই সঙ্গে নিহত শিশুটির পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জন্য আমি সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।