, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সুনামগঞ্জে ৮ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭ জন

সুনামগঞ্জের সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জেলায় ৪১টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৪৭ জনের, আহত হয়েছেন শতাধিক। নিহতদের মধ্যে আছেন নবজাতক, স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী, সাধারণ যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিক।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও ট্রাফিক বিভাগের তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকও দুর্ঘটনার তালিকায় শীর্ষে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়কের অপ্রশস্ততা, ফিটনেসবিহীন যান, লাইসেন্সবিহীন চালক, অতিরিক্ত যাত্রী–পণ্য, ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং এবং ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ দুর্ঘটনার হার বাড়িয়ে তুলেছে।

গত বুধবার (৬ আগস্ট) সদর উপজেলার বাহাদুরপুরে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা গেছেন দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন। তাঁরা হলেন আফসানা জাহান খুশি (১৮), স্নেহা চক্রবর্তী (১৭) ও শফিকুল ইসলাম (৫৫)। আহত হয়েছেন দুজন। পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনার পর বাসচালককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

এর আগে ৩১ জুলাই সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের চেচান এলাকায় পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন আবু সালেক নামে এক যুবক। ২৪ জুলাই শান্তিগঞ্জে সিএনজি অটোরিকশা ও লেগুনার সংঘর্ষে প্রাণ যায় চার মাস বয়সী এক নবজাতকের।

সচেতনমহল বলছে, অবৈধ যান ও অদক্ষ চালকের দৌরাত্ম্য বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। অ্যাডভোকেট আমিরুল হক বলেন, যাত্রীরা নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাবে কি না তা নিয়েই সন্দিহান।

সুনামগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমদ অভিযোগ করেন, অনুমোদনহীন যানবাহন সড়ক দখল করে রেখেছে, অথচ ট্রাফিক বিভাগ কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো. হানিফ মিয়া বলেন, দুর্ঘটনা বেড়েছে, তবে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা ও অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।

সুনামগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো. হানিফ মিয়া স্বীকার করেন, দুর্ঘটনা বেড়েছে। তিনি বলেন, চালকদের সচেতনতা বাড়াতে কার্যক্রম চলছে। অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জনপ্রিয়

সিলেটের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জে ৮ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭ জন

প্রকাশের সময় : ৭ ঘন্টা আগে

সুনামগঞ্জের সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জেলায় ৪১টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৪৭ জনের, আহত হয়েছেন শতাধিক। নিহতদের মধ্যে আছেন নবজাতক, স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী, সাধারণ যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিক।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও ট্রাফিক বিভাগের তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকও দুর্ঘটনার তালিকায় শীর্ষে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়কের অপ্রশস্ততা, ফিটনেসবিহীন যান, লাইসেন্সবিহীন চালক, অতিরিক্ত যাত্রী–পণ্য, ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং এবং ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ দুর্ঘটনার হার বাড়িয়ে তুলেছে।

গত বুধবার (৬ আগস্ট) সদর উপজেলার বাহাদুরপুরে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা গেছেন দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন। তাঁরা হলেন আফসানা জাহান খুশি (১৮), স্নেহা চক্রবর্তী (১৭) ও শফিকুল ইসলাম (৫৫)। আহত হয়েছেন দুজন। পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনার পর বাসচালককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

এর আগে ৩১ জুলাই সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের চেচান এলাকায় পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন আবু সালেক নামে এক যুবক। ২৪ জুলাই শান্তিগঞ্জে সিএনজি অটোরিকশা ও লেগুনার সংঘর্ষে প্রাণ যায় চার মাস বয়সী এক নবজাতকের।

সচেতনমহল বলছে, অবৈধ যান ও অদক্ষ চালকের দৌরাত্ম্য বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। অ্যাডভোকেট আমিরুল হক বলেন, যাত্রীরা নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাবে কি না তা নিয়েই সন্দিহান।

সুনামগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমদ অভিযোগ করেন, অনুমোদনহীন যানবাহন সড়ক দখল করে রেখেছে, অথচ ট্রাফিক বিভাগ কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো. হানিফ মিয়া বলেন, দুর্ঘটনা বেড়েছে, তবে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা ও অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।

সুনামগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের টিআই মো. হানিফ মিয়া স্বীকার করেন, দুর্ঘটনা বেড়েছে। তিনি বলেন, চালকদের সচেতনতা বাড়াতে কার্যক্রম চলছে। অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।