, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ওসমানীনগরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ২৬ বছর ধরে কাজ করছে : ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার সাদাপাথর লুটপাটে সিলেট জামায়াতের নিন্দা : জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্থি দাবি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে : সিলেট বিএনপি স্কলার্সহোম কলেজে বিজ্ঞানমেলা, অলিম্পিয়াড ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ইসলামী ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার কাউন্সিল সফলে প্রস্তুতি সভা শুক্রবার নজিরবিহীন লুটপাটে স্থবির সাদাপাথর, সৌন্দর্য ফেরাতে তৎপর প্রশাসন সিলেটের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার সিলেটে সাদা পাথর লুটপাট: অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার সুনামগঞ্জে ৮ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭ জন
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সুনামগঞ্জে গ্রেফতারের পর আ.লীগ নেতাকে ছাড়াতে থানায় হাজির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার 

সিলেটের সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেফতারের পর নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে দুলা মিয়া নামে এক আওয়ামীলীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়েছেন ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক।

গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে উপজলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বাদশাগঞ্জ বাজারের হানিফরের চায়ের দোকানর পেছন থেকে দুলা মিয়া নামক ওই নেতাকে গ্রেফতার করে ধর্মপাশা থানা পুলিশ। পরে রাত ২টায় তাকে ছাড়াতে থানায় উপস্থিত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ধর্মপাশা সার্কেল)আলী ফরিদ আহমেদ।

তিনি ১৫ মার্চ ২০২২ ইং বর্তমান কর্মস্থলে যোগদানের করেন পাতানো নির্বাচনে প্রভাব, উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব, ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রভাব। এখনো ফ্যাসিষ্ট প্রীথি ধরে রাখতে গিয়ে গ্রেফতারের পর থানা থেকে ছেড়ে দিতে নিজেই ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদ আহমেদ। সীমান্ত চোরাচালান অপরাধ প্রবণ দুটি থানা এলাকার দায়িত্বে বছরের পর বছর বহাল থাকায় আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতির আরো অবনতি , অপরাধী চক্র, চোরাকারবারিদের দ্যৌরাত্ব বেড়েছে ধাপে ধাপে। সম্প্রতি মহিষখলায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে দু,গ্রপের সংঘর্ষে এক ব্যাক্তি নিহত হওয়ার পর আলী ফরিদ মুছলেখায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনে সহযোগিতা করেন এবং মামলা করতে রাজী না হওয়ায় লাঞ্চিত করেন এক ব্যাক্তিকে।

গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে দুলা মিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। দুলা মিয়া ২০২২ সালের ১ম তার ফেসবুক আইডিডে সেলবরষ ইউনিয়ন যুবলীগর সাবেক সভাপতি ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগর সাধারণ সম্পাদক লেখা সম্বদ্ধ একটি পোস্টার পোস্ট করছিলেন। এই পোস্টারের সূত্র ধরে ডেভিল হান্ট অভিযানের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে ছাড়ানোর জন্য তার বড় ভাই সেলবরষ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তাহের উদ্দিন সোনা মিয়া ছুটে আসেন। পরে ওসিকে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে তার ভাই ওই আওয়ামীলীগ নেতাকে তার জিম্মায় ছাড়িয়ে নেন।

দুলা মিয়া বলেন, ওই পোস্টার আমার মেয়ের জামাই পোস্ট করেছিলো। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কমিটিতে আমার নাম প্রস্তাবনায় ছিলো। কিন্তু কমিটি অনুমোদিত নয় এবং ওইসব কমিটির কোন ভ্যালু নাই। উপজেলা বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দুলা মিয়া সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসন রতনের ক্যাডার হিসেবে এলাকায় পরিচিত। ফ্যাসিস্ট সরকাররে আমলে এলাকায় বিভিন্ন অন্যায় ও সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করেছে। কেন তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক ও পুলিশর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ধর্মপাশা থানার ওসি মো: এনামুল হক বলেন, দুলা মিয়ার নাম দলীয় কমিটিতে নাই। সে অসুস্থ থাকায় মুচলেকা নিয়ে তাকে তার বড় ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ধর্মপাশা সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ আহমেদ বলেন, দুলা মিয়ার একটি প্রতিপক্ষ জানিয়েছিল সে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বড় নেতা। পরে আমি নিজে থানায় গিয়ে যাচাই বাছাই করে দেখা যায় দুলা মিয়ার কোন কমিটিতে নাম নাই এবং সে হার্টের রাগী এজন্য থাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয়

ওসমানীনগরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

সুনামগঞ্জে গ্রেফতারের পর আ.লীগ নেতাকে ছাড়াতে থানায় হাজির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার 

প্রকাশের সময় : ০২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

সিলেটের সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেফতারের পর নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে দুলা মিয়া নামে এক আওয়ামীলীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়েছেন ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক।

গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে উপজলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বাদশাগঞ্জ বাজারের হানিফরের চায়ের দোকানর পেছন থেকে দুলা মিয়া নামক ওই নেতাকে গ্রেফতার করে ধর্মপাশা থানা পুলিশ। পরে রাত ২টায় তাকে ছাড়াতে থানায় উপস্থিত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ধর্মপাশা সার্কেল)আলী ফরিদ আহমেদ।

তিনি ১৫ মার্চ ২০২২ ইং বর্তমান কর্মস্থলে যোগদানের করেন পাতানো নির্বাচনে প্রভাব, উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব, ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রভাব। এখনো ফ্যাসিষ্ট প্রীথি ধরে রাখতে গিয়ে গ্রেফতারের পর থানা থেকে ছেড়ে দিতে নিজেই ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদ আহমেদ। সীমান্ত চোরাচালান অপরাধ প্রবণ দুটি থানা এলাকার দায়িত্বে বছরের পর বছর বহাল থাকায় আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতির আরো অবনতি , অপরাধী চক্র, চোরাকারবারিদের দ্যৌরাত্ব বেড়েছে ধাপে ধাপে। সম্প্রতি মহিষখলায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে দু,গ্রপের সংঘর্ষে এক ব্যাক্তি নিহত হওয়ার পর আলী ফরিদ মুছলেখায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনে সহযোগিতা করেন এবং মামলা করতে রাজী না হওয়ায় লাঞ্চিত করেন এক ব্যাক্তিকে।

গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে দুলা মিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। দুলা মিয়া ২০২২ সালের ১ম তার ফেসবুক আইডিডে সেলবরষ ইউনিয়ন যুবলীগর সাবেক সভাপতি ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগর সাধারণ সম্পাদক লেখা সম্বদ্ধ একটি পোস্টার পোস্ট করছিলেন। এই পোস্টারের সূত্র ধরে ডেভিল হান্ট অভিযানের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে ছাড়ানোর জন্য তার বড় ভাই সেলবরষ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তাহের উদ্দিন সোনা মিয়া ছুটে আসেন। পরে ওসিকে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে তার ভাই ওই আওয়ামীলীগ নেতাকে তার জিম্মায় ছাড়িয়ে নেন।

দুলা মিয়া বলেন, ওই পোস্টার আমার মেয়ের জামাই পোস্ট করেছিলো। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কমিটিতে আমার নাম প্রস্তাবনায় ছিলো। কিন্তু কমিটি অনুমোদিত নয় এবং ওইসব কমিটির কোন ভ্যালু নাই। উপজেলা বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দুলা মিয়া সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসন রতনের ক্যাডার হিসেবে এলাকায় পরিচিত। ফ্যাসিস্ট সরকাররে আমলে এলাকায় বিভিন্ন অন্যায় ও সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করেছে। কেন তাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক ও পুলিশর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ধর্মপাশা থানার ওসি মো: এনামুল হক বলেন, দুলা মিয়ার নাম দলীয় কমিটিতে নাই। সে অসুস্থ থাকায় মুচলেকা নিয়ে তাকে তার বড় ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ধর্মপাশা সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ আহমেদ বলেন, দুলা মিয়ার একটি প্রতিপক্ষ জানিয়েছিল সে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বড় নেতা। পরে আমি নিজে থানায় গিয়ে যাচাই বাছাই করে দেখা যায় দুলা মিয়ার কোন কমিটিতে নাম নাই এবং সে হার্টের রাগী এজন্য থাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।