, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গুমের ডকুমেন্টারির শ্যুটিংয়ের জন্যে সিলেটে বিএনপির সালাউদ্দিন বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন ডাক্তার জহির সিলেট জেলা যুবদল নেতাকে দেখতে হাসপাতালে এম এ মালিক জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া ফ্যাসিবাদ নির্মূল হবে না: সিলেটে খেলাফত মজলিসের গণমিছিল বিশ্বনাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান লুনার রক্তের ঋণ পরিশোধের জন্য জাতি পরবর্তী সরকারের জন্য অপেক্ষা করবেনা : এডভোকেট জুবায়ের সিলেটে কিশোর গ্যাং লিডার বুলেট মামুন ২ সহযোগীসহ গ্রেফতার যুদ্ধবিরতি কার্যকর : থেমেছে ইসরাইলি হামলা, দলে দলে ঘরে ফিরছেন গাজার মানুষ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ১৮-২০ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছাতে হয় : সংবাদ সম্মেলনে আরিফুল হক  জনগণের সেবা সহজীকরণের উদ্দেশ্যে ‘জিনিয়া অ্যাপ’ চালু করা হয়েছে : আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী, পিপিএম

সুনামগঞ্জে কাঁচা মরিচে আগুন! কেজি প্রতি দাম বেড়ে ৪০০ টাকা

সুনামগঞ্জে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও ছিল অর্ধেক দামে। হঠাৎ করে এভাবে দ্বিগুণ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

খুচরা বিক্রেতারা দাবি করছেন, পাইকারি পর্যায় থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। অন্যদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে। দুই পক্ষের বক্তব্যের গরমিলে বাজারে সিন্ডিকেটের আভাস মিলছে।

শহরের পুরানবাজারের খুচরা বিক্রেতা রাশেদ মিয়া ও হাসননগরের মোক্তার হোসেন খুচরা পর্যায়ে ৫০০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করছেন। তাদের দাবি, পাইকারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ট্রেডার্স থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে কিনে আনতে হয়েছে। তবে তারা কেউই কেনাবেচার মেমো দেখাতে পারেননি।

অভিযুক্ত পাইকারি ব্যবসায়ী, মোহাম্মদ আলী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আজমল হোসেন অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, তিনি পাইকারিতে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করছেন। অনেকেই আমার দোকান থেকে মাল না কিনেও নাম ব্যবহার করে দাম বাড়ানোর অজুহাত দেখাচ্ছেন।

জেলার কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া বলেন, মালের মানভেদে দামের পার্থক্য থাকতেই পারে। এজন্য কারও কাছে ৪০০ আবার কারও কাছে আরও বেশি দাম পড়তে পারে।

ভোক্তাদের অভিযোগ, বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। দ্রুত এ সংকট দূর করতে প্রশাসনিক সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।

শহরের নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগেও ২০ টাকায় ১০০ গ্রাম মরিচ কিনেছি এখন সেই টাকায় অর্ধেকও পাওয়া যায় না। বিষয়টা খতিয়ে দেখা উচিত।

শনিবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুধু কাঁচা মরিচ নয়, অন্যান্য সবজির দামও চড়া। শীম ১৮০-২০০ টাকা, টমেটো ১২০-১৪০, বেগুন ১২০, লাউ ৮০-১০০, ঝিঙ্গা ৮০, মুলা ৭০, বরবটি ৬০-৮০, শসা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা ক্রেতা আবদুল কাদের বলেন, বাজারে নিয়মিত নজরদারি থাকলে এভাবে অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়তো না। অন্যদিকে শহরের আব্দুস সামাদ লেনের বাসিন্দা তানভীর আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীরা অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন। এটা বন্ধ করা জরুরি।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আরিফুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। দ্রুত সবজি বাজারে অভিযান চালাবো।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুনজিত কুমার চন্দ জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি নিয়মিত মনিটরিং চালানো হবে। সিন্ডিকেট করে অস্বাভাবিক দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

জনপ্রিয়

গুমের ডকুমেন্টারির শ্যুটিংয়ের জন্যে সিলেটে বিএনপির সালাউদ্দিন

সুনামগঞ্জে কাঁচা মরিচে আগুন! কেজি প্রতি দাম বেড়ে ৪০০ টাকা

প্রকাশের সময় : ০৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

সুনামগঞ্জে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও ছিল অর্ধেক দামে। হঠাৎ করে এভাবে দ্বিগুণ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

খুচরা বিক্রেতারা দাবি করছেন, পাইকারি পর্যায় থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। অন্যদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে। দুই পক্ষের বক্তব্যের গরমিলে বাজারে সিন্ডিকেটের আভাস মিলছে।

শহরের পুরানবাজারের খুচরা বিক্রেতা রাশেদ মিয়া ও হাসননগরের মোক্তার হোসেন খুচরা পর্যায়ে ৫০০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করছেন। তাদের দাবি, পাইকারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী ট্রেডার্স থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে কিনে আনতে হয়েছে। তবে তারা কেউই কেনাবেচার মেমো দেখাতে পারেননি।

অভিযুক্ত পাইকারি ব্যবসায়ী, মোহাম্মদ আলী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আজমল হোসেন অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, তিনি পাইকারিতে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করছেন। অনেকেই আমার দোকান থেকে মাল না কিনেও নাম ব্যবহার করে দাম বাড়ানোর অজুহাত দেখাচ্ছেন।

জেলার কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া বলেন, মালের মানভেদে দামের পার্থক্য থাকতেই পারে। এজন্য কারও কাছে ৪০০ আবার কারও কাছে আরও বেশি দাম পড়তে পারে।

ভোক্তাদের অভিযোগ, বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। দ্রুত এ সংকট দূর করতে প্রশাসনিক সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।

শহরের নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগেও ২০ টাকায় ১০০ গ্রাম মরিচ কিনেছি এখন সেই টাকায় অর্ধেকও পাওয়া যায় না। বিষয়টা খতিয়ে দেখা উচিত।

শনিবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুধু কাঁচা মরিচ নয়, অন্যান্য সবজির দামও চড়া। শীম ১৮০-২০০ টাকা, টমেটো ১২০-১৪০, বেগুন ১২০, লাউ ৮০-১০০, ঝিঙ্গা ৮০, মুলা ৭০, বরবটি ৬০-৮০, শসা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা ক্রেতা আবদুল কাদের বলেন, বাজারে নিয়মিত নজরদারি থাকলে এভাবে অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়তো না। অন্যদিকে শহরের আব্দুস সামাদ লেনের বাসিন্দা তানভীর আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীরা অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন। এটা বন্ধ করা জরুরি।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আরিফুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। দ্রুত সবজি বাজারে অভিযান চালাবো।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুনজিত কুমার চন্দ জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি নিয়মিত মনিটরিং চালানো হবে। সিন্ডিকেট করে অস্বাভাবিক দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।