, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন ডাক্তার জহির সিলেট জেলা যুবদল নেতাকে দেখতে হাসপাতালে এম এ মালিক জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া ফ্যাসিবাদ নির্মূল হবে না: সিলেটে খেলাফত মজলিসের গণমিছিল বিশ্বনাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান লুনার রক্তের ঋণ পরিশোধের জন্য জাতি পরবর্তী সরকারের জন্য অপেক্ষা করবেনা : এডভোকেট জুবায়ের সিলেটে কিশোর গ্যাং লিডার বুলেট মামুন ২ সহযোগীসহ গ্রেফতার যুদ্ধবিরতি কার্যকর : থেমেছে ইসরাইলি হামলা, দলে দলে ঘরে ফিরছেন গাজার মানুষ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ১৮-২০ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছাতে হয় : সংবাদ সম্মেলনে আরিফুল হক  জনগণের সেবা সহজীকরণের উদ্দেশ্যে ‘জিনিয়া অ্যাপ’ চালু করা হয়েছে : আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী, পিপিএম ঘুষি মেরে বিমানের মনিটর ভাঙলেন লন্ডন থেকে সিলেট ফেরা যাত্রী

সিলেট-৬ আসনে আলোচনায় সাবেক এমপি লেচুর মেয়ে আদিবা

সৈয়দা আদিবা হোসেন। বিএনপির দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য ড. সৈয়দ মকবুল হোসেনের (লেচু মিয়া) মেয়ে। সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে নেমে আলোচনায় আসেন তিনি।

তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জের অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। প্রতিদিনই তাকে দেখা যায় কখনো গ্রামের উঠান বৈঠকে, কখনো স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে, আবার কখনো বাজারে সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নিতে। বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি তিনি তুলে ধরছেন নিজস্ব উন্নয়ন পরিকল্পনা।

আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা, তরুণদের কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কথা বলছেন সবার সঙ্গে।

গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে তার পরিবারের নামে প্রতিষ্ঠিত পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, শিক্ষার মান উন্নয়ন, অবকাঠামো আধুনিকায়ন, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রবাসী কমিউনিটির সঙ্গে আরও শক্তিশালী যোগাযোগ তৈরি করবেন।

তৃণমূল বিএনপির নেতারা জানান, পিতার উত্তরসূরি হিসেবে রাজনীতিতে এসেছেন কন্যা সৈয়দা আদিবা। উচ্চশিক্ষিতা ও প্রগতিশীল এই নারী বাবার জনপ্রিয়তা ও নিজের রাজনৈতিক কর্মতৎপরতায় ইতিমধ্যো সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘একজন নারী হিসেবে আদিবা আপা আমাদের সাহস জোগাচ্ছেন। আমরা চাই তিনি এগিয়ে যান এবং নারীদের জন্য কাজ করুন।’

প্রবীণ ভোটার আসাদ উদ্দিনের ভাষায়, ‘তিনি (আদিবা) সৎ, শিক্ষিত ও পরিশ্রমী। এমন নেতৃত্ব পেলে আমাদের এলাকার অনেক উপকার হবে।’

গত ১৭ জুলাই লন্ডনের কিংস্টনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সৈয়দা আদিবা। সেখানে তিনি সিলেট-৬ থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

তারেক রহমান তাকে জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বজায় রাখা, এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখা এবং দলের রাজনীতিকে আরও গতিশীল করার পরামর্শ দেন।

৮ আগস্ট গোলাপগঞ্জ পৌরসভা অডিটরিয়ামে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উপজেলা শাখার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আদিবা বলেন, ‘সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মীকে পাশে নিয়ে আমি মাঠে থাকতে চাই। এই এলাকা ও জনগণের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা থাকবে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি হেলালুজ্জামান হেলাল, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নারী নেতৃত্বের উত্থান বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন বার্তা এবং সৈয়দা আদিবা সেই বার্তার প্রতীক। তিনি শুধু বাবার উত্তরাধিকার বহন করছেন না, বরং নিজস্ব দক্ষতা ও প্রগতিশীল চিন্তাধারার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করছেন।

জনপ্রিয়

বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন ডাক্তার জহির

সিলেট-৬ আসনে আলোচনায় সাবেক এমপি লেচুর মেয়ে আদিবা

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫

সৈয়দা আদিবা হোসেন। বিএনপির দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য ড. সৈয়দ মকবুল হোসেনের (লেচু মিয়া) মেয়ে। সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে নেমে আলোচনায় আসেন তিনি।

তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জের অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। প্রতিদিনই তাকে দেখা যায় কখনো গ্রামের উঠান বৈঠকে, কখনো স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে, আবার কখনো বাজারে সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নিতে। বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি তিনি তুলে ধরছেন নিজস্ব উন্নয়ন পরিকল্পনা।

আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা, তরুণদের কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কথা বলছেন সবার সঙ্গে।

গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে তার পরিবারের নামে প্রতিষ্ঠিত পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, শিক্ষার মান উন্নয়ন, অবকাঠামো আধুনিকায়ন, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রবাসী কমিউনিটির সঙ্গে আরও শক্তিশালী যোগাযোগ তৈরি করবেন।

তৃণমূল বিএনপির নেতারা জানান, পিতার উত্তরসূরি হিসেবে রাজনীতিতে এসেছেন কন্যা সৈয়দা আদিবা। উচ্চশিক্ষিতা ও প্রগতিশীল এই নারী বাবার জনপ্রিয়তা ও নিজের রাজনৈতিক কর্মতৎপরতায় ইতিমধ্যো সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘একজন নারী হিসেবে আদিবা আপা আমাদের সাহস জোগাচ্ছেন। আমরা চাই তিনি এগিয়ে যান এবং নারীদের জন্য কাজ করুন।’

প্রবীণ ভোটার আসাদ উদ্দিনের ভাষায়, ‘তিনি (আদিবা) সৎ, শিক্ষিত ও পরিশ্রমী। এমন নেতৃত্ব পেলে আমাদের এলাকার অনেক উপকার হবে।’

গত ১৭ জুলাই লন্ডনের কিংস্টনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সৈয়দা আদিবা। সেখানে তিনি সিলেট-৬ থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

তারেক রহমান তাকে জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বজায় রাখা, এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখা এবং দলের রাজনীতিকে আরও গতিশীল করার পরামর্শ দেন।

৮ আগস্ট গোলাপগঞ্জ পৌরসভা অডিটরিয়ামে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উপজেলা শাখার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আদিবা বলেন, ‘সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মীকে পাশে নিয়ে আমি মাঠে থাকতে চাই। এই এলাকা ও জনগণের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা থাকবে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি হেলালুজ্জামান হেলাল, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নারী নেতৃত্বের উত্থান বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন বার্তা এবং সৈয়দা আদিবা সেই বার্তার প্রতীক। তিনি শুধু বাবার উত্তরাধিকার বহন করছেন না, বরং নিজস্ব দক্ষতা ও প্রগতিশীল চিন্তাধারার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করছেন।