সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নানের ছেলে রায়হান মিয়া তার বোন রুমি বেগমের রহস্যজনক মৃত্যুর ন্যায়বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে রায়হান মিয়ার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রায়হান মিয়া জানান, তার বোন রুমি বেগম (৩২) এর সঙ্গে ওসমানীনগর উপজেলার ভেরাখাল গহরপুর গ্রামের মিন্টু মিয়া (৪০)-এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মিন্টু মিয়া ও তার পরিবার রুমির প্রতি নানা অজুহাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত এবং যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করত।
রায়হান মিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার বোনের ওপর নির্যাতন চলতে থাকে। আমরা একাধিকবার বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু মিন্টু মিয়া ও তার পরিবার আচরণ পরিবর্তন করেনি।
তিনি অভিযোগ করেন, গত ৫ই অক্টোবর ২০২৪ রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে আমার বোন রুমি বেগমকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয় এবং পরে রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এমন নাটক সাজানো হয়।
রায়হান মিয়া আরও জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমি ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানাই। পরে ওসমানীনগর থানা থেকে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সিলেট জজকোর্টে অপরাধ দমন আইনের ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। বরং আসামিপক্ষ আমাদের পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে।
অন্যদিকে, ঘটনার সব অভিযোগ অস্বীকার করে মিন্টু মিয়ার চাচাতো ভাই মিজান মিয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, রুমি দীর্ঘদিন বিভিন্ন রোগে ভুগছিল। অসুস্থতার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। রুমির বাপের বাড়ির লোকজন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রায়হান মিয়া তিন দফা দাবি জানান, রুমি বেগম হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হোক। ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
রায়হান মিয়া বলেন,আমরা আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখি। প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের আবেদন— আমার বোনের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হোক।