, রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লালাবাজারে পাপড়ি রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন : জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ইলিয়াস আবেগে লুনা, নতুন ইতিহাস গড়তে তৎপর হুমায়ুন চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই বাণিজ্যিক আদালতের প্রস্তাব : সিলেটে প্রধান বিচারপতি পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের কর্মকর্তাদের সেবার মনোবৃত্তি নিয়ে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মামলা আতঙ্কে ঘর ছাড়া কোম্পানীগঞ্জের প্রায় কয়েক হাজার শ্রমিক-ব্যবসায়ী-রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ‘ইমাম-মোয়াজ্জিনগণ মানুষকে সঠিক পথ দেখান, অথচ তারাই সব চাইতে বেশি অবহেলিত’ ইলিয়াস আলীর শেষ পরিণতি ঘটে জিয়াউলের ‘কিলিং স্কোয়াডের’ হাতে সিলেটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার সিলেটে পাথর ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে অস্ত্র-মদ উদ্ধার, আটক ৪ লালাবাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা : আসামী ৮০, আটক ২
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সিলেটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার

সিলেটের পাথর কোয়ারি ও পর্যটনকেন্দ্র থেকে লুট হওয়া প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর সদর উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব পাথর উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সাদাপাথরসহ সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে লুট করা পাথর উদ্ধারে গত বুধবার রাত থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। এরই অংশ হিসেবে চতুর্থ দিনের মতো শনিবার সদর উপজেলায় অভিযান চলে। সদর উপজেলার ধোপাগুল ও মহালদিক এলাকায় যৌথ বাহিনীর দুটি অভিযান শুরু হয়। এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকার মামুনুর রশীদ। তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। এর মধ্যে ধোপাগুল এলাকা থেকে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট ও মহালদিক এলাকা থেকে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়। ক্রাশার মেশিনের সামনে স্তূপাকারে এসব পাথর ছিল। এর বাইরে বিভিন্ন রাস্তা ও বাড়ির পাশে মাটি ও বালু দিয়েও এসব পাথর ঢেকে রাখা হয়েছিল। কেউ কেউ ত্রিপল দিয়েও এসব পাথর ঢেকে রেখেছিল। এ বিষয়ে ইউএনও খোশনূর রুবাইয়াৎ বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। এখানে আরও কিছু স্থানে পাথর লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সেসব উদ্ধারেও অভিযান চলছে। এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশনা দেয় সরকার। স্থানীয় সূত্র বলছে, এরপর থেকে স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন চলতো। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সিলেটের সব কটি কোয়ারির নিয়ন্ত্রণ নেন একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েক হাজার পাথরশ্রমিক প্রকাশ্যে পাথর উত্তোলন শুরু করে। অবাধে লুটপাটের কারণে কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা, ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি, সংরক্ষিত বাঙ্কার এলাকা এবং গোয়াইনঘাটের জাফলং এলাকা অনেকটাই পাথরশূন্য হয়ে পড়ে। সর্বশেষ গত চার মাস ধরে সাদা পাথর এলাকায় পাথর উত্তোলন শুরু হয়। এক সপ্তাহের লুটপাটে সাদাপাথর এলাকা প্রায় পাথরশূন্য হয়ে যায়।

জনপ্রিয়

লালাবাজারে পাপড়ি রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন : জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ

সিলেটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ৮ ঘন্টা আগে

সিলেটের পাথর কোয়ারি ও পর্যটনকেন্দ্র থেকে লুট হওয়া প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর সদর উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব পাথর উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সাদাপাথরসহ সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে লুট করা পাথর উদ্ধারে গত বুধবার রাত থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। এরই অংশ হিসেবে চতুর্থ দিনের মতো শনিবার সদর উপজেলায় অভিযান চলে। সদর উপজেলার ধোপাগুল ও মহালদিক এলাকায় যৌথ বাহিনীর দুটি অভিযান শুরু হয়। এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকার মামুনুর রশীদ। তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। এর মধ্যে ধোপাগুল এলাকা থেকে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট ও মহালদিক এলাকা থেকে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়। ক্রাশার মেশিনের সামনে স্তূপাকারে এসব পাথর ছিল। এর বাইরে বিভিন্ন রাস্তা ও বাড়ির পাশে মাটি ও বালু দিয়েও এসব পাথর ঢেকে রাখা হয়েছিল। কেউ কেউ ত্রিপল দিয়েও এসব পাথর ঢেকে রেখেছিল। এ বিষয়ে ইউএনও খোশনূর রুবাইয়াৎ বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। এখানে আরও কিছু স্থানে পাথর লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সেসব উদ্ধারেও অভিযান চলছে। এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশনা দেয় সরকার। স্থানীয় সূত্র বলছে, এরপর থেকে স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন চলতো। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সিলেটের সব কটি কোয়ারির নিয়ন্ত্রণ নেন একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েক হাজার পাথরশ্রমিক প্রকাশ্যে পাথর উত্তোলন শুরু করে। অবাধে লুটপাটের কারণে কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা, ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি, সংরক্ষিত বাঙ্কার এলাকা এবং গোয়াইনঘাটের জাফলং এলাকা অনেকটাই পাথরশূন্য হয়ে পড়ে। সর্বশেষ গত চার মাস ধরে সাদা পাথর এলাকায় পাথর উত্তোলন শুরু হয়। এক সপ্তাহের লুটপাটে সাদাপাথর এলাকা প্রায় পাথরশূন্য হয়ে যায়।