গুম-খুন ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা আহ্বায়ক কমিটির তিন নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একই কমিটির যুগ্ম সংগঠক।
বুধবার দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিট্রন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে মামলাটি করার পর বিচারক ছগির আহমেদ তদন্তের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. ওয়াহিদুর রহমান।
মামলার আসামিরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক সালমান আহমদ খুরশেদ, যুগ্ম সদস্য সচিব ফখরুল হাসান ও রেদোয়ান মুন্সি।
আর মামলাটির বাদী কমিটির যুগ্ম সংগঠক সুমাইয়া আক্তার।
বুধবার রাতে সুমাইয়া বলেন, আমি কমিটির আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ার পর থেকেই তারা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। আমার সঙ্গে গ্রুপ কলে খারাপ ব্যবহার করার পর, আমি ৮ মে কোতোয়ালি থানায় জিডি করি।
তিনি বলেন, তারপর ১০ মে বিকালে আমি আমার অফিসে যাওয়ার সময় সিলেট নগরীর ক্বিন ব্রীজ এলাকার সারদা হলের সামনে আসামিরা আমার কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তারা আমাকে গুম-খুন ও ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে।
এসব অভিযোগে তিনি মামলা করেছেন বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ নেত্রী।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে যেসব অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলোর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার আমরা তিনজন জড়িত না।
‘তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে’ মামলাটি করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, মামলার বাদী মিডিয়া কমিটির মুখপাত্র হতে চেয়েছিলেন, তিনি হতে পারেননি।
মামলার অপর আসামি রেদোয়ান মুন্সিকে বাদীর ‘বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেদোয়ান মুন্সি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির কেউ না। তার সঙ্গে সুমাইয়ার ঝামেলা থাকতে পারে, আমরা তিনজন এই বিষয়ে কিছু জানি না।
তবে রেদোয়ান মুন্সির সঙ্গে এ ধরনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন সুমাইয়া আক্তার।