, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেট-হবিগঞ্জ রুটে চালু হচ্ছে এসি বাস সিলেট নগরের যে সড়কে গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিলো পুলিশ চট্টগ্রামে ছাত্রকে বলাৎকারের দায়ে মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড ডাক্তারী পেশা পৃথিবীর অন্যতম মহৎ ও মানবিক পেশা : ফখরুল ইসলাম মৌলভীবাজারে প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করায় প্রেমিক গ্রেপ্তার রাষ্ট্র ও জনগণের যে কোন প্রয়োজনে পুলিশ পাশে থাকবে :  এসএমপি কমিশনার সিলেট-ঢাকা ৬ লাইন মহাসড়ক কাজের দ্রুত অগ্রগতির ব্যাপারে প্রশাসন অত্যন্ত আন্তরিক : ইউএনও ঊর্মি রায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস খাদে পড়ে আহত ৩০ ইলিয়াস আলীকে কারা গুম করেছিল, ‘বের করা হয়েছে’ : ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটরের ঘোষণা সিলেটে ঘর থেকে তুলে নিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

সিলেটে নদ-নদীর পানি বাড়লেও নেই বন্যার শঙ্কা 

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। এদিকে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার আশঙ্কা কমছে। তবে বৃষ্টির পানি ও নিষ্কাশনব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, যা এখনো জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে রয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ছয়টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় আরও ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সকাল ১০টার পর থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমতে শুরু করেছে। আগামী কয়েক দিন সিলেটের আকাশ মেঘলা থাকলেও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়েছে, তবে কোনো পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। আজ সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার এবং কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে ৫ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

জাফলং পয়েন্টে পিয়াইন নদের পানি গতকালের তুলনায় কিছুটা কমেছে এবং বিপৎসীমার ৩ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গোয়াইনঘাট পয়েন্টে সারি ও গোয়াইন নদের পানিও কিছুটা বেড়েছে, তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

বৃষ্টির কারণে সিলেটে বন্যা দেখা না দিলেও নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণ, হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের প্রবেশপথ, কাজলশাহ, শাহজালাল উপশহর, চৌহাট্টা, শিবগঞ্জ, মেজরটিলা ও লিচুবাগান এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আজ সকাল ১০টার পর বৃষ্টি কম হওয়ায় পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে।

সিলেট নগরের কাজলশাহ এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ভারী বৃষ্টি হলেই বাসায় পানি ঢুকে পড়ে। আজ সকাল থেকে বৃষ্টি কমেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনের কাছে দাবি জানালেও কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বর্ষা মৌসুমের আগেই জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পরিচ্ছন্নসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। এই সমস্যা নিরসনে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় পানি দ্রুত নামানোর জন্য ড্রেনের ছিদ্র আরও বৃদ্ধি করা এবং ছিদ্রে লাগানো নেট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয়

সিলেট-হবিগঞ্জ রুটে চালু হচ্ছে এসি বাস

সিলেটে নদ-নদীর পানি বাড়লেও নেই বন্যার শঙ্কা 

প্রকাশের সময় : ০১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। এদিকে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার আশঙ্কা কমছে। তবে বৃষ্টির পানি ও নিষ্কাশনব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, যা এখনো জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে রয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ছয়টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় আরও ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সকাল ১০টার পর থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমতে শুরু করেছে। আগামী কয়েক দিন সিলেটের আকাশ মেঘলা থাকলেও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়েছে, তবে কোনো পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। আজ সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার এবং কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে ৫ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

জাফলং পয়েন্টে পিয়াইন নদের পানি গতকালের তুলনায় কিছুটা কমেছে এবং বিপৎসীমার ৩ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গোয়াইনঘাট পয়েন্টে সারি ও গোয়াইন নদের পানিও কিছুটা বেড়েছে, তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

বৃষ্টির কারণে সিলেটে বন্যা দেখা না দিলেও নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণ, হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের প্রবেশপথ, কাজলশাহ, শাহজালাল উপশহর, চৌহাট্টা, শিবগঞ্জ, মেজরটিলা ও লিচুবাগান এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। আজ সকাল ১০টার পর বৃষ্টি কম হওয়ায় পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে।

সিলেট নগরের কাজলশাহ এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ভারী বৃষ্টি হলেই বাসায় পানি ঢুকে পড়ে। আজ সকাল থেকে বৃষ্টি কমেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনের কাছে দাবি জানালেও কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বর্ষা মৌসুমের আগেই জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পরিচ্ছন্নসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। এই সমস্যা নিরসনে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় পানি দ্রুত নামানোর জন্য ড্রেনের ছিদ্র আরও বৃদ্ধি করা এবং ছিদ্রে লাগানো নেট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।