, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে ঘর থেকে তুলে নিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১ আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন উইমেন ফর উইমেন রাইটস’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে : এডভোকেট জেবুন নাহার সেলিম সিলেটে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রির দাবিতে সভা অনুষ্ঠিত আট দফা দাবিতে ১ নভেম্বর থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ সিলেটে অধ্যাপক ফজলুর রহমানের ‘ধর্মনিরপেক্ষ মুসলমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন সিলেটে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন বিশেষ কল্যাণ সভায় হাইওয়ে পুলিশের সেবার মানোন্নয়ন প্রত্যয়ে অঙ্গীকার

সিলেটে তরুণ আলেমের বস্তায় আদা চাষে ব্যাপক সাড়া

সিলেটের বালাগঞ্জে তরুন আলেম ক্বারী মো. লুৎফুর রহমান বস্তায় আদা চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তার এ আদা চাষ সিলেটের মধ্যে সর্ব বৃহৎ প্রকল্প। যা ইতিমধ্যে গোটা এলাকাজুড়ে নতুন আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আরেক তরুণ আলেম ও সমাজকর্মী মাওলানা তাজুল ইসলামের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় তার বিশাল জায়গা জুড়ে পড়ে থাকা জমিকে কাজে লাগানোর জন্যই বিশেষ পদ্ধতিতে আদা চাষ শুরু করেছেন লুৎফুর রহমান। তার এ প্রকল্পে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছে বালাগঞ্জ উপজেলা কৃষি দপ্তর।

সরেজমিনে দেখা যায়, বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুর ইউনিয়নের ইসলামপুর মোল্লাবাড়ীতে মোল্লা এগ্রোফার্মে বস্তায় আদা চাষ প্রকল্প ২০২৫ এর মাধ্যমে আনুমানিক এক একর জায়গায় ছয় হাজার বস্তায় বিশেষ পদ্ধতিতে আদা চাষ করা হয়েছে। বস্তায় আদা চাষের ফলে বন্যার পানি এবং নানা রোগবালাই থেকে রক্ষা পাবে আদার চারা।

প্রকল্পটির উদ্যোক্তা লুৎফুর রহমান জানান, তার এই ছয় হাজার বস্তায় বিশেষ পদ্ধতিতে আদা চাষ প্রকল্পটি সিলেটের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এখন পর্যন্ত সিলেটের কোথাও বিশেষ পদ্ধতিতে একসাথে ছয় হাজার বস্তায় কেউই আদা চাষ করেনি।
বিস্তীর্ণ জমিতে প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ৭০ গ্রাম আদার বীজ রোপণ করা হয়েছে। ভালো ফলন হলে ৮ থেকে ১০ মাসের মধ্যে প্রতি বস্তায় এক থেকে দেড় কেজি পরিমাণ আদা উৎপাদন হবে বলে করা হচ্ছে। পুরো জামির উৎপাদিত আদা প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে। ছয় হাজার বস্তা আদা চাষে প্রাথমিকভাবে ব্যয় হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা।

ক্বারী মো. লুৎফুর রহমানের এই প্রকল্পে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প ২০২৪-২৫ অর্থবছর এবং ফ্লাড রিকন্সট্রাকশন ইমারজেন্সি এসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট (ফ্রীপ) এর মাধ্যমে প্রায় ৬০ হাজার টাকা সমমূল্যের উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করেছে বালাগঞ্জ উপজেলা কৃষি দপ্তর।

বালাগঞ্জ উপজেলা কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, ক্বারী মো. লুৎফুর রহমানের এই প্রকল্পটি ছাড়াও বালাগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে আরও এক হাজার বস্তা করে প্রদর্শনী প্রকল্প করেছেন তারা।

এবার ফলন ভালো হলে আগামী প্রকল্পের পরিধি আরও বাড়াবেন বলে জানিয়েছেন ক্বারী মো. লুৎফুর রহমান।

এ প্রসঙ্গে বালাগঞ্জ উপজেলা কৃষি দপ্তরের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘বালাগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে বস্তায় আদা চাষ প্রকল্পের সফলতা দেখলে আমরা এই প্রকল্পটি নিয়ে আরও বড় পরিসরে কাজ করবো।’

জনপ্রিয়

সিলেটে তরুণ আলেমের বস্তায় আদা চাষে ব্যাপক সাড়া

প্রকাশের সময় : ১২:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

সিলেটের বালাগঞ্জে তরুন আলেম ক্বারী মো. লুৎফুর রহমান বস্তায় আদা চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তার এ আদা চাষ সিলেটের মধ্যে সর্ব বৃহৎ প্রকল্প। যা ইতিমধ্যে গোটা এলাকাজুড়ে নতুন আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আরেক তরুণ আলেম ও সমাজকর্মী মাওলানা তাজুল ইসলামের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় তার বিশাল জায়গা জুড়ে পড়ে থাকা জমিকে কাজে লাগানোর জন্যই বিশেষ পদ্ধতিতে আদা চাষ শুরু করেছেন লুৎফুর রহমান। তার এ প্রকল্পে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করছে বালাগঞ্জ উপজেলা কৃষি দপ্তর।

সরেজমিনে দেখা যায়, বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুর ইউনিয়নের ইসলামপুর মোল্লাবাড়ীতে মোল্লা এগ্রোফার্মে বস্তায় আদা চাষ প্রকল্প ২০২৫ এর মাধ্যমে আনুমানিক এক একর জায়গায় ছয় হাজার বস্তায় বিশেষ পদ্ধতিতে আদা চাষ করা হয়েছে। বস্তায় আদা চাষের ফলে বন্যার পানি এবং নানা রোগবালাই থেকে রক্ষা পাবে আদার চারা।

প্রকল্পটির উদ্যোক্তা লুৎফুর রহমান জানান, তার এই ছয় হাজার বস্তায় বিশেষ পদ্ধতিতে আদা চাষ প্রকল্পটি সিলেটের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এখন পর্যন্ত সিলেটের কোথাও বিশেষ পদ্ধতিতে একসাথে ছয় হাজার বস্তায় কেউই আদা চাষ করেনি।
বিস্তীর্ণ জমিতে প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ৭০ গ্রাম আদার বীজ রোপণ করা হয়েছে। ভালো ফলন হলে ৮ থেকে ১০ মাসের মধ্যে প্রতি বস্তায় এক থেকে দেড় কেজি পরিমাণ আদা উৎপাদন হবে বলে করা হচ্ছে। পুরো জামির উৎপাদিত আদা প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে। ছয় হাজার বস্তা আদা চাষে প্রাথমিকভাবে ব্যয় হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা।

ক্বারী মো. লুৎফুর রহমানের এই প্রকল্পে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প ২০২৪-২৫ অর্থবছর এবং ফ্লাড রিকন্সট্রাকশন ইমারজেন্সি এসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট (ফ্রীপ) এর মাধ্যমে প্রায় ৬০ হাজার টাকা সমমূল্যের উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করেছে বালাগঞ্জ উপজেলা কৃষি দপ্তর।

বালাগঞ্জ উপজেলা কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, ক্বারী মো. লুৎফুর রহমানের এই প্রকল্পটি ছাড়াও বালাগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে আরও এক হাজার বস্তা করে প্রদর্শনী প্রকল্প করেছেন তারা।

এবার ফলন ভালো হলে আগামী প্রকল্পের পরিধি আরও বাড়াবেন বলে জানিয়েছেন ক্বারী মো. লুৎফুর রহমান।

এ প্রসঙ্গে বালাগঞ্জ উপজেলা কৃষি দপ্তরের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘বালাগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে বস্তায় আদা চাষ প্রকল্পের সফলতা দেখলে আমরা এই প্রকল্পটি নিয়ে আরও বড় পরিসরে কাজ করবো।’