, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মৌলভীবাজারে টাকা না পেয়ে বড় ভাইকে হত্যার অভিযোগ ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে সিলেটে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি এসআই আকবর ওসমানীনগরের এস ও এস চিলড্রেন্স ভিলেজে কম্পিউটার ইন্সট্রাক্টর পদে জরুরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মৌলভীবাজারে বিএনপির ব্যানারের নিচে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় যুবক গ্রেপ্তার সিলেটে ফের বেদখলে ফুটপাত বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম সিলেটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৫ সিলেটে নিখোঁজের ২৩ ঘন্টা পর বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার সিলেটে নৌপথে চাঁদাবাজি : র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার ৭ সিলেটে যুবদল কর্মী খুন, অভিযোগের তীর ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

সিলেটে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি এসআই আকবর

সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আলোচিত রায়হান উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি পুলিশের বহিস্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

হাইকোর্ট থেকে জামিনের আদেশ পেয়ে রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে বের হয়ে যান।

রায়গান হত্যাকালে এসআই আকবর বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই রায়হান ধরে আনেন ও নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ডেপুটি জেলার মনিরুল হাসান বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত হয়ে জামিনের কাগজ রোববার আমাদের কাছে পৌঁছায়। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিকেলেই আকবরকে মুক্তি দেওয়া হয়।’

কারাগার সূত্র জানায়, এসআই আকবর প্রথমে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ চালু হলে গত ২৫ মার্চ তাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়। মুক্তির আগ পর্যন্ত তিনি এখানেই ছিলেন।

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান উদ্দিনকে নির্যাতন করা হয়। পরদিন সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়েছিল।

এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রীর করা মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে। তারা ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আকবরকে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০২১ সালের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পিবিআই। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। অন্যরা হলেন সহকারী উপপরিদর্শক আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), সাময়িক বরখাস্ত এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)।

জনপ্রিয়

মৌলভীবাজারে টাকা না পেয়ে বড় ভাইকে হত্যার অভিযোগ ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে

সিলেটে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত রায়হান হত্যা মামলার প্রধান আসামি এসআই আকবর

প্রকাশের সময় : ৩ ঘন্টা আগে

সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আলোচিত রায়হান উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি পুলিশের বহিস্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

হাইকোর্ট থেকে জামিনের আদেশ পেয়ে রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে বের হয়ে যান।

রায়গান হত্যাকালে এসআই আকবর বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই রায়হান ধরে আনেন ও নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ডেপুটি জেলার মনিরুল হাসান বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত হয়ে জামিনের কাগজ রোববার আমাদের কাছে পৌঁছায়। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিকেলেই আকবরকে মুক্তি দেওয়া হয়।’

কারাগার সূত্র জানায়, এসআই আকবর প্রথমে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ চালু হলে গত ২৫ মার্চ তাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়। মুক্তির আগ পর্যন্ত তিনি এখানেই ছিলেন।

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান উদ্দিনকে নির্যাতন করা হয়। পরদিন সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়েছিল।

এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রীর করা মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে। তারা ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আকবরকে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০২১ সালের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পিবিআই। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। অন্যরা হলেন সহকারী উপপরিদর্শক আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), সাময়িক বরখাস্ত এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)।