সিলেটে একদিনের ব্যবধানে আবারও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চত্বর এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশি চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রোববার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চত্বরের সামনে সার্জেন্ট পাংকুর নেতৃত্বে একটি চেকপোস্ট বসানো হয়। এ সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা বৈধ কাগজপত্র না থাকায় একটি ট্রাক আটক করেন। পরে স্থানীয় ট্রাক ও বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি মাহফুজসহ দুই বাস শ্রমিক ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তারা চেকপোস্টে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের লাঞ্ছিত করে আটক ট্রাকটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ সময় ডিউটিরত এসআই আব্দুল হামিদ, কনস্টেবল আজিজুর রহমান, দীপংকর হাজং, শহীদ আহমদ ও মাসেক মিয়া আহত হন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ জানান, দুপুরে উপজেলার সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ির কাগজপত্র তল্লাশি চলছিল। এ সময় পুলিশের ওপর হঠাৎ হামলা চালায় কিছু লোক। এতে তার পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে ওসি জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা মূলত উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল অদুদ আলফু মিয়ার অনুসারী। শনিবার তাকে সাদাপাথর লুটের মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশের আশঙ্কা, আলফু মিয়ার গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় তার অনুসারীরা এলাকায় নাশকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এ কারণে উপজেলায় একাধিক স্থানে নিরাপত্তা জোরদার ও চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়।
এদিকে গতকাল শনিবার সিলেট নগরীর সুরমা গেট এলাকায় শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন, এএসআই আব্দুল খালেকসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন। জনরোষ থেকে এক ব্যক্তিকে বাঁচাতে গেলে পুলিশ হামলার শিকার হয়।