সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠী বন্ধুর সাথে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি গত শনিবার সকালে ঘটলেও বিষয়টি ধামাচাপার চেষ্টা করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
বুধবার সকালে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।
তারা হলেন নিদনপুর গ্রামের খছরুজ্জামানের ছেলে ইমরান আহমদ(২৩), খিলগ্রামের আব্দুল বাছিতের ছেলে তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের আজাদ আহমেদের ছেলে শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে শাকিল আহমদ (২১) এবং মনতৈল গ্রামের ফইজ আলীর ছেলে মুমিন আহমদ (২০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বারহাল এহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী শনিবার সকাল ১০টার দিকে সহপাঠী রাফির সঙ্গে শাহগলী বাজারের পরিত্যক্ত আদিল ব্রিকফিল্ড এলাকায় বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ যুবক তাদের গোপনে ছবি তোলে। এরপর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তিনজন মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বাকি দুজন এসময় সহযোগিতা করে।
মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না।
এদিকে, ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর বুধবার বিকেলে বারহাল এলাকায় পৃথক পৃথকভাবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জঘন্য এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং আসামিদের দ্রুতত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
জকিগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, শনিবার ঘটনাটি ঘটলেও ধামাচাপার চেষ্টা করা হয়। মঙ্গলবার রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভিকটিমকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং পরিবারকে মামলা করার পরামর্শ দিই। অভিযোগ করতে দেরি হওয়ায় আসামিরা আত্মগোপনে চলে গেছে।