সিলেট নগরীর ক্বিন ব্রিজ এলাকায় ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদের ঘড়িঘরের পাশে জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প নির্মাণ কাজ স্থগিত করেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার নির্মাণকাজ আপাতত স্থগিত রাখার কথা সাংবাদিকদের জানান।
সিলেট নগরীর সুরমা নদীর পাড় আর সারদা হলের মাঝখানে শহরের জিরো পয়েন্ট। তার ঠিক ১০০ মিটারের মধ্যেই আলী আমজদের ঘড়ির অবস্থান। ক্বিন ব্রিজ পার হয়ে শহরের উত্তর অংশের ঠিক প্রবেশমুখে এটি দাঁড়িয়ে আছে ১৮৭৪ সাল থেকে।
জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা, নির্মিতব্য স্মৃতিফলক অপসারণে ঐতিহ্যপ্রেমীদের স্মারকলিপি প্রদান ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর জুলাই স্মৃতিফলক নির্মাণকাজ স্থগিত করার ঘোষণা এল।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে এবং স্বারকলিপিও দেওয়া হয়েছে তাই আপাতত নির্মাণকাজ স্থগিত রাখা হয়েছে।
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। স্মৃতিফলক কোথায় নির্মাণ করা যায়, কমিটির সবার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করা হবে।
সোমবার দেড়শ’ বছরের পুরনো আলী আমজদের ঘড়িঘরের পাশে নির্মিত স্থাপনা অপসারণের দাবিতে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন, পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের-পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
এ সময় পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের পক্ষে শাহ মোস্তফা জামান, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা সিলেটের সদস্যসচিব আব্দুল করিম কিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের প্রধান পরিচালক শামসুল বাসিত শেরো এবং সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের বেলায়েত হোসেন লিমন উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট নগরে চারজন শহীদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণের কাজ গত জুলাই মাসে শুরু হয়; শেষ হওয়ার কথা রয়েছে অগাস্ট মাসে। স্মৃতিফলক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৭৫ টাকা।