, বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১৪ বিশ্বনাথে নাগরিক সমাবেশ শুক্রবার, প্রধান অতিথি হুমায়ুন কবির নিয়োগে অনিয়ম সিকৃবির কর্মচারী অর্পনা কুমারী চাকরিচ্যুত সিলেটে অন্তঃস্বত্ত্বা প্রেমিকা, প্রেমিককে ধরতে পুলিশের শরণাপন্ন জুলাই গণভ্যূত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা জামায়াতের গণমিছিল সিলেটে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে বিক্ষোভ, আটক ৩ হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বিশ্বনাথে বিএনপির বিজয় মিছিল ৩৬ জুলাইয়ে সিলেটে শহীদদের স্মরণে ৩৬টি বৃক্ষরোপণ ভারী বৃষ্টিতে বাড়ছে নদীর পানি, সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার শঙ্কা বিমানবন্দরে সংবর্ধিত ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংবাদিক এমদাদ চৌধুরী দীপু
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

লন্ডনে ২য় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে বাবার নাম চান না সিলেটের আতাউর

লন্ডনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ টাওয়ার হিল মেমোরিয়াল থেকে নিজের বাবার নাম বাদ দেওয়ার ‘অনুরোধ’ জানিয়েছেন সিলেটের বাসিন্দা আতাউর রহমান।

সৌধে গিয়ে বাবার প্রতি সম্মান জানাতে গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের ভিসার আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দেয় ব্রিটিশ সরকার।

মূলত এ অভিমান থেকেই ৮৬ বছর বয়সী আতাউর বলছেন, যেহেতু আমাদের সম্মান জানানোর অধিকার নেই, তাই সেখানে আমার বাবার নাম থাকার কোনো যুক্তি নেই।

ব্রিটিশ সরকারকে বলব, স্মৃতিসৌধের পাশাপাশি যুদ্ধের কমনওয়েলথ সংক্রান্ত রেকর্ড থেকে আমার বাবার নাম স্থায়ীভাবে মুছে ফেলা হোক।

আতাউরের বাবার নাম এরশাদ আলী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি মিত্রবাহিনীর হয়ে মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত ছিলেন।

ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, ১৯৪৪ সালের ১৯ জুন মৃত্যু হয় এরশাদ আলীর। ওই দিন নেদারল্যান্ডসের কার্গো জাহাজে ছিলেন তিনি। একটি টর্পেডোর আঘাতে জাহাজটি ধ্বংস হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অবদানের জন্য এরশাদ আলী পাঁচটি পদক পেয়েছেন। এগুলো হলো- বার্মা স্টার, আটলান্টিক স্টার, ১৯৩৯-৪৫ স্টার, ১৯৩৯-৪৫ ওয়ার মেডাল ও ডাচ মোবিলাইজেশন ওয়ার ক্রস। টাওয়ার হিল মেমোরিয়ালে আরো অনেকের সঙ্গে এরশাদ আলীর নামও খোদাই করা আছে।

আতাউর রহমান বলেন, আমার বয়স যখন ছয় মাস, তখন বাবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তার আর বাড়ি ফেরা হয়নি।সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হল, আমি বাবাকে কখনো দেখিনি।

তিনি বলেন, আমার ছেলে সুহেল, সে তার দাদার মৃত্যুর ৭৫ বছর পর সব নথি সংগ্রহ করে। তিন বছর ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর সে তার দাদার স্বীকৃতি পায়।

আমি মনে করি, ভিসা কর্মকর্তা ইচ্ছা করে ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমি মনে করি, এটা মানবতাবিরোধী একটা অপরাধ।

আতাউর রহমান মনে করেন, ভিসা আবেদন নাকচ করার মাধ্যমে কেবল তার বাবাকে অপমান করা হয়নি; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সবাইকে অপমান করা হয়েছে।

জনপ্রিয়

সিলেটে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১৪

লন্ডনে ২য় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে বাবার নাম চান না সিলেটের আতাউর

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

লন্ডনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ টাওয়ার হিল মেমোরিয়াল থেকে নিজের বাবার নাম বাদ দেওয়ার ‘অনুরোধ’ জানিয়েছেন সিলেটের বাসিন্দা আতাউর রহমান।

সৌধে গিয়ে বাবার প্রতি সম্মান জানাতে গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের ভিসার আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দেয় ব্রিটিশ সরকার।

মূলত এ অভিমান থেকেই ৮৬ বছর বয়সী আতাউর বলছেন, যেহেতু আমাদের সম্মান জানানোর অধিকার নেই, তাই সেখানে আমার বাবার নাম থাকার কোনো যুক্তি নেই।

ব্রিটিশ সরকারকে বলব, স্মৃতিসৌধের পাশাপাশি যুদ্ধের কমনওয়েলথ সংক্রান্ত রেকর্ড থেকে আমার বাবার নাম স্থায়ীভাবে মুছে ফেলা হোক।

আতাউরের বাবার নাম এরশাদ আলী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি মিত্রবাহিনীর হয়ে মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত ছিলেন।

ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, ১৯৪৪ সালের ১৯ জুন মৃত্যু হয় এরশাদ আলীর। ওই দিন নেদারল্যান্ডসের কার্গো জাহাজে ছিলেন তিনি। একটি টর্পেডোর আঘাতে জাহাজটি ধ্বংস হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অবদানের জন্য এরশাদ আলী পাঁচটি পদক পেয়েছেন। এগুলো হলো- বার্মা স্টার, আটলান্টিক স্টার, ১৯৩৯-৪৫ স্টার, ১৯৩৯-৪৫ ওয়ার মেডাল ও ডাচ মোবিলাইজেশন ওয়ার ক্রস। টাওয়ার হিল মেমোরিয়ালে আরো অনেকের সঙ্গে এরশাদ আলীর নামও খোদাই করা আছে।

আতাউর রহমান বলেন, আমার বয়স যখন ছয় মাস, তখন বাবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তার আর বাড়ি ফেরা হয়নি।সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হল, আমি বাবাকে কখনো দেখিনি।

তিনি বলেন, আমার ছেলে সুহেল, সে তার দাদার মৃত্যুর ৭৫ বছর পর সব নথি সংগ্রহ করে। তিন বছর ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর সে তার দাদার স্বীকৃতি পায়।

আমি মনে করি, ভিসা কর্মকর্তা ইচ্ছা করে ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমি মনে করি, এটা মানবতাবিরোধী একটা অপরাধ।

আতাউর রহমান মনে করেন, ভিসা আবেদন নাকচ করার মাধ্যমে কেবল তার বাবাকে অপমান করা হয়নি; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সবাইকে অপমান করা হয়েছে।