, বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিশ্বনাথে নাগরিক সমাবেশ শুক্রবার, প্রধান অতিথি হুমায়ুন কবির নিয়োগে অনিয়ম সিকৃবির কর্মচারী অর্পনা কুমারী চাকরিচ্যুত সিলেটে অন্তঃস্বত্ত্বা প্রেমিকা, প্রেমিককে ধরতে পুলিশের শরণাপন্ন জুলাই গণভ্যূত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা জামায়াতের গণমিছিল সিলেটে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে বিক্ষোভ, আটক ৩ হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বিশ্বনাথে বিএনপির বিজয় মিছিল ৩৬ জুলাইয়ে সিলেটে শহীদদের স্মরণে ৩৬টি বৃক্ষরোপণ ভারী বৃষ্টিতে বাড়ছে নদীর পানি, সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার শঙ্কা বিমানবন্দরে সংবর্ধিত ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংবাদিক এমদাদ চৌধুরী দীপু জুলাই মাসে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ জন
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

গ্রেপ্তার হওয়া সবগুলো বখাটে টাইপের : সিলেটের পুলিশ কমিশনার

সিলেটের পুলিশ কমিশনার বাটা ও কেএফসিতে ভাঙচুরের ঘটনায় সিলেটে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে পায়নি পুলিশ।

সিলেটের পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিমের ভাষায়, তারা সব ‘ফাও পার্টি’।

গাজায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও ধর্মঘট পালন করা হয়। এসব বিক্ষোভের মধেই কিছু মানুষ ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, পিৎজা হাট, বাটার মত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বিক্রয় কেন্দ্রে হামলা চালা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। পাশাপাশি কোমল পানীয় কোকাকোলা, সেভেন আপ রাখায় বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁয় হামলা করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মঙ্গলবার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ওই ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সারা দেশে ৫৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। চারটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত অন্যদের খোঁজে পুলিশের অভিযান চলছে।

এই ৫৬ জনের মধ্যে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কও চলছে।

সিলেটে গ্রেপ্তার ১৮ জনের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, এদের সেরকম কোনো গোষ্ঠীবদ্ধ বা রাজনৈতিক পরিচয় আমরা পাইনি। এরা সব ফাও পার্টি। একটা কিছু করে সুবিধা নিতে মিছিলে ঢুকে পড়েছিল।

সোমবারের ঘটনায় সিলেটে বাটার একটি বিক্রয়কেন্দ্র, কেএফসির একটি রেস্তোঁরাসহ পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়। এসব লুটপাটের কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে।

জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা ভিডিও ফুটেজ ধরে ধরে এদেরকে শনাক্ত করার কাজ করছি। ১৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে, আরও কাজ চলছে।

তাদের কেউ সংগঠিত করেছিল কি না এ প্রশ্নে পুলিশ কমিশনার বলছেন, আমরা এমন কিছু পাইনি। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে এরা সব সুবিধাবাদী শ্রেণির মানুষ। সবগুলো বখাটে টাইপের। কিছু সুবিধা নেওয়ার জন্য মিছিলে ঢুকে পড়ে এরা।

সেমবার দেশের অন্তত ছয় জেলায় ‘ইসরায়েলি পণ্য রাখা ও বিক্রি’ করার অভিযোগ তুলে ধরে ১৬টি রেস্তোরাঁ ও বিক্রয় কেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুরের খবর আসে।

কক্সবাজারে পাঁচটি, চট্টগ্রামে তিনটি, সিলেট পাঁচটি, গাজীপুরে চারটি, কুমিল্লায় একটি এবং বগুড়ায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

জনপ্রিয়

বিশ্বনাথে নাগরিক সমাবেশ শুক্রবার, প্রধান অতিথি হুমায়ুন কবির

গ্রেপ্তার হওয়া সবগুলো বখাটে টাইপের : সিলেটের পুলিশ কমিশনার

প্রকাশের সময় : ০২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

সিলেটের পুলিশ কমিশনার বাটা ও কেএফসিতে ভাঙচুরের ঘটনায় সিলেটে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে পায়নি পুলিশ।

সিলেটের পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিমের ভাষায়, তারা সব ‘ফাও পার্টি’।

গাজায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও ধর্মঘট পালন করা হয়। এসব বিক্ষোভের মধেই কিছু মানুষ ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, পিৎজা হাট, বাটার মত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বিক্রয় কেন্দ্রে হামলা চালা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। পাশাপাশি কোমল পানীয় কোকাকোলা, সেভেন আপ রাখায় বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁয় হামলা করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মঙ্গলবার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ওই ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সারা দেশে ৫৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। চারটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত অন্যদের খোঁজে পুলিশের অভিযান চলছে।

এই ৫৬ জনের মধ্যে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কও চলছে।

সিলেটে গ্রেপ্তার ১৮ জনের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, এদের সেরকম কোনো গোষ্ঠীবদ্ধ বা রাজনৈতিক পরিচয় আমরা পাইনি। এরা সব ফাও পার্টি। একটা কিছু করে সুবিধা নিতে মিছিলে ঢুকে পড়েছিল।

সোমবারের ঘটনায় সিলেটে বাটার একটি বিক্রয়কেন্দ্র, কেএফসির একটি রেস্তোঁরাসহ পাঁচটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়। এসব লুটপাটের কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে।

জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা ভিডিও ফুটেজ ধরে ধরে এদেরকে শনাক্ত করার কাজ করছি। ১৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে, আরও কাজ চলছে।

তাদের কেউ সংগঠিত করেছিল কি না এ প্রশ্নে পুলিশ কমিশনার বলছেন, আমরা এমন কিছু পাইনি। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে এরা সব সুবিধাবাদী শ্রেণির মানুষ। সবগুলো বখাটে টাইপের। কিছু সুবিধা নেওয়ার জন্য মিছিলে ঢুকে পড়ে এরা।

সেমবার দেশের অন্তত ছয় জেলায় ‘ইসরায়েলি পণ্য রাখা ও বিক্রি’ করার অভিযোগ তুলে ধরে ১৬টি রেস্তোরাঁ ও বিক্রয় কেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুরের খবর আসে।

কক্সবাজারে পাঁচটি, চট্টগ্রামে তিনটি, সিলেট পাঁচটি, গাজীপুরে চারটি, কুমিল্লায় একটি এবং বগুড়ায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।