, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে ঘর থেকে তুলে নিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১ আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন উইমেন ফর উইমেন রাইটস’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে : এডভোকেট জেবুন নাহার সেলিম সিলেটে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রির দাবিতে সভা অনুষ্ঠিত আট দফা দাবিতে ১ নভেম্বর থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ সিলেটে অধ্যাপক ফজলুর রহমানের ‘ধর্মনিরপেক্ষ মুসলমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন সিলেটে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন বিশেষ কল্যাণ সভায় হাইওয়ে পুলিশের সেবার মানোন্নয়ন প্রত্যয়ে অঙ্গীকার
রহস্য উদঘাটন

মৌলভীবাজারে ৫০০ টাকা চাওয়ায় গালমন্দ, ঘুমন্ত অবস্থায় বড় ভাইকে খুন করলো ছোট ভাই

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে বড় ভাইকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ৫০০ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা। এ ঘটনায় নিহতের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

তিনি বলেন, গত ৯ আগস্ট সকালে নিজ ঘরে গলাকাটা অবস্থায় ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহিম রাফির (২৬) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে গোপন সূত্র, তথ্যপ্রযুক্তি ও এলাকাবাসীর বক্তব্যের ভিত্তিতে নিহতের ছোট ভাই রানাকে (ছদ্মনাম, ১৬) সন্দেহভাজন হিসেবে ওই দিনই আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে বড় ভাইকে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, হত্যার আগের দিন রাতে রানা তার ভাই রাফির কাছে ৫০০ টাকা চান। টাকা না দিয়ে রাফি ছোট ভাইকে গালাগাল ও দুর্ব্যবহার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রানা পর দিন সকাল ৭টার দিকে মা-বাবা ও অন্যান্য সদস্যরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে খাটের নিচ থেকে ধারালো দা বের করে ঘুমন্ত রাফির ঘাড়ে উপর্যুপরি কোপ দেয়। এরপর দা ধুয়ে আবার খাটের নিচে রাখে এবং রক্তমাখা লুঙ্গিও সেখানে লুকিয়ে স্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে।

নোবেল চাকমা আরও বলেন, শুধু টাকা না দেওয়া নয়, দীর্ঘদিনের পারিবারিক অশান্তি ও বড় ভাইয়ের শাসনের প্রতিও ক্ষোভ ছিল রানার। রাফি পরিবারের অমতে প্রেম করে বিয়ে করায় ভাই ও স্ত্রীর মধ্যে টানাপোড়েন ছিল। যা রানার সঙ্গেও বিরোধ তৈরি করে। এসব ক্ষোভই শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়। পরে রানার ঘরের খাটের নিচ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা লুঙ্গি উদ্ধার করে পুলিশ।

জনপ্রিয়

রহস্য উদঘাটন

মৌলভীবাজারে ৫০০ টাকা চাওয়ায় গালমন্দ, ঘুমন্ত অবস্থায় বড় ভাইকে খুন করলো ছোট ভাই

প্রকাশের সময় : ০৫:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে বড় ভাইকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ৫০০ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা। এ ঘটনায় নিহতের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

তিনি বলেন, গত ৯ আগস্ট সকালে নিজ ঘরে গলাকাটা অবস্থায় ছাত্রদল নেতা আব্দুর রহিম রাফির (২৬) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে গোপন সূত্র, তথ্যপ্রযুক্তি ও এলাকাবাসীর বক্তব্যের ভিত্তিতে নিহতের ছোট ভাই রানাকে (ছদ্মনাম, ১৬) সন্দেহভাজন হিসেবে ওই দিনই আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে বড় ভাইকে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, হত্যার আগের দিন রাতে রানা তার ভাই রাফির কাছে ৫০০ টাকা চান। টাকা না দিয়ে রাফি ছোট ভাইকে গালাগাল ও দুর্ব্যবহার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রানা পর দিন সকাল ৭টার দিকে মা-বাবা ও অন্যান্য সদস্যরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে খাটের নিচ থেকে ধারালো দা বের করে ঘুমন্ত রাফির ঘাড়ে উপর্যুপরি কোপ দেয়। এরপর দা ধুয়ে আবার খাটের নিচে রাখে এবং রক্তমাখা লুঙ্গিও সেখানে লুকিয়ে স্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে।

নোবেল চাকমা আরও বলেন, শুধু টাকা না দেওয়া নয়, দীর্ঘদিনের পারিবারিক অশান্তি ও বড় ভাইয়ের শাসনের প্রতিও ক্ষোভ ছিল রানার। রাফি পরিবারের অমতে প্রেম করে বিয়ে করায় ভাই ও স্ত্রীর মধ্যে টানাপোড়েন ছিল। যা রানার সঙ্গেও বিরোধ তৈরি করে। এসব ক্ষোভই শেষ পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়। পরে রানার ঘরের খাটের নিচ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা লুঙ্গি উদ্ধার করে পুলিশ।