, বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিশ্বনাথে নাগরিক সমাবেশ শুক্রবার, প্রধান অতিথি হুমায়ুন কবির নিয়োগে অনিয়ম সিকৃবির কর্মচারী অর্পনা কুমারী চাকরিচ্যুত সিলেটে অন্তঃস্বত্ত্বা প্রেমিকা, প্রেমিককে ধরতে পুলিশের শরণাপন্ন জুলাই গণভ্যূত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা জামায়াতের গণমিছিল সিলেটে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে বিক্ষোভ, আটক ৩ হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বিশ্বনাথে বিএনপির বিজয় মিছিল ৩৬ জুলাইয়ে সিলেটে শহীদদের স্মরণে ৩৬টি বৃক্ষরোপণ ভারী বৃষ্টিতে বাড়ছে নদীর পানি, সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার শঙ্কা বিমানবন্দরে সংবর্ধিত ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংবাদিক এমদাদ চৌধুরী দীপু জুলাই মাসে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ জন
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

মৌলভীবাজারে ভুল টার্গেটে খুন হন আইনজীবী সুজন, গ্রেপ্তার ৫

মৌলভীবাজারে ভাড়াটে খুনিরা মিসবাহ নামের এক নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করতে গিয়ে ভুলে আইনজীবী সুজন মিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন পরিকল্পনাকারী নজির মিয়া ওরফে মুজিব (২৫) এবং মো. আরিফ মিয়া (২৭), হোসাইন আহমদ (১৯), লক্ষণ নাইডু (২৩) ও আব্দুর রহিম (১৯)।

পুলিশ সুপার জানান, সদর উপজেলার কালিশপুর ইউনিয়নের নজিরের সঙ্গে প্রতিবেশী মিসবাহের পূর্বশত্রুতা ছিল। তাই অগ্রণী ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করা মিসবাহকে খুনের পরিকল্পনা করেন নজির। তিনি দুই বছর আগে চাঁদনীঘাট হোটেলে কাজ করার সময় দুধ ব্যবসায়ী লক্ষণের সঙ্গে পরিচিত হন। লক্ষণের মাধ্যমে মিসবাহকে খুনের জন্য টাকার বিনিময়ে লোক ভাড়া করেন নজির। সেই সঙ্গে খুনিদের মোবাইল ফোনে মিসবাহের ছবি পাঠান।

৬ এপ্রিল রাতে ভাড়াটে খুনিরা আইনজীবী সুজনকে দেখে মিসবাহ ভেবে নজিরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। পরে আব্দুর রহিমের মাধ্যমে উভয় পক্ষে ভিডিও কলে কথা হলে নজির খুনের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ পেয়ে মিসবাহ ভেবে সুজনকে হত্যা করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

৬ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে মৌলভীবাজার পৌরসভা কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে আইনজীবী সুজনের ওপর ১০-১২ জন অতর্কিত হামলা করেন। তাঁরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে সুজনকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় তাঁর ভাই এনামুল হক সুমন বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় ৮ এপ্রিল হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা অব্যাহত আছে। পলাতক হত্যাকারীদের পরিচয় উদ্‌ঘাটন করা হয়েছে, তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আসামি নজির মিয়ার কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছি। নজির মিয়াকে আটক করার পর মামলার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব ডিজিটাল প্রমাণ আমরা উদ্ধার করেছি।’

জনপ্রিয়

বিশ্বনাথে নাগরিক সমাবেশ শুক্রবার, প্রধান অতিথি হুমায়ুন কবির

মৌলভীবাজারে ভুল টার্গেটে খুন হন আইনজীবী সুজন, গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশের সময় : ০২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

মৌলভীবাজারে ভাড়াটে খুনিরা মিসবাহ নামের এক নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করতে গিয়ে ভুলে আইনজীবী সুজন মিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন পরিকল্পনাকারী নজির মিয়া ওরফে মুজিব (২৫) এবং মো. আরিফ মিয়া (২৭), হোসাইন আহমদ (১৯), লক্ষণ নাইডু (২৩) ও আব্দুর রহিম (১৯)।

পুলিশ সুপার জানান, সদর উপজেলার কালিশপুর ইউনিয়নের নজিরের সঙ্গে প্রতিবেশী মিসবাহের পূর্বশত্রুতা ছিল। তাই অগ্রণী ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করা মিসবাহকে খুনের পরিকল্পনা করেন নজির। তিনি দুই বছর আগে চাঁদনীঘাট হোটেলে কাজ করার সময় দুধ ব্যবসায়ী লক্ষণের সঙ্গে পরিচিত হন। লক্ষণের মাধ্যমে মিসবাহকে খুনের জন্য টাকার বিনিময়ে লোক ভাড়া করেন নজির। সেই সঙ্গে খুনিদের মোবাইল ফোনে মিসবাহের ছবি পাঠান।

৬ এপ্রিল রাতে ভাড়াটে খুনিরা আইনজীবী সুজনকে দেখে মিসবাহ ভেবে নজিরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। পরে আব্দুর রহিমের মাধ্যমে উভয় পক্ষে ভিডিও কলে কথা হলে নজির খুনের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ পেয়ে মিসবাহ ভেবে সুজনকে হত্যা করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

৬ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে মৌলভীবাজার পৌরসভা কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে আইনজীবী সুজনের ওপর ১০-১২ জন অতর্কিত হামলা করেন। তাঁরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে সুজনকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় তাঁর ভাই এনামুল হক সুমন বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় ৮ এপ্রিল হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা অব্যাহত আছে। পলাতক হত্যাকারীদের পরিচয় উদ্‌ঘাটন করা হয়েছে, তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আসামি নজির মিয়ার কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছি। নজির মিয়াকে আটক করার পর মামলার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব ডিজিটাল প্রমাণ আমরা উদ্ধার করেছি।’