, সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

ভারী বৃষ্টিতে বাড়ছে নদীর পানি, সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার শঙ্কা

সিলেট বিভাগের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) এর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

আজ সোমবার (৪ আগস্ট) সকালের বুলেটিনে কেন্দ্র জানায়, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বেশ কয়েকটি নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী তিন দিন এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের লাউড়েরগড় ও মহেশখলায় যথাক্রমে ১৫২ ও ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। একই সময়ে সিলেটের লালাখাল, লাতু, কানাইঘাট ও জাফলংয়ে ৫৭ থেকে ১১২ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে।

এ ছাড়া ভারতের মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও অতি ভারী বর্ষণ হওয়ায় উজান থেকে নতুন ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের ফলে লোভাছড়া, সারিগোয়াইন, জাদুকাটা ও সোমেশ্বরী নদীর পানি ক্রমাগত বাড়ছে। এর ফলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে হঠাৎ বন্যা বা জলাবদ্ধতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে সুরমা নদীর পানি আরও তিন দিন বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি আপাতত কমছে, তবে দুই দিনের মধ্যে তা আবার বাড়তে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জনপ্রিয়

ভারী বৃষ্টিতে বাড়ছে নদীর পানি, সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যার শঙ্কা

প্রকাশের সময় : ৩ ঘন্টা আগে

সিলেট বিভাগের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) এর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

আজ সোমবার (৪ আগস্ট) সকালের বুলেটিনে কেন্দ্র জানায়, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বেশ কয়েকটি নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী তিন দিন এ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের লাউড়েরগড় ও মহেশখলায় যথাক্রমে ১৫২ ও ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। একই সময়ে সিলেটের লালাখাল, লাতু, কানাইঘাট ও জাফলংয়ে ৫৭ থেকে ১১২ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে।

এ ছাড়া ভারতের মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও অতি ভারী বর্ষণ হওয়ায় উজান থেকে নতুন ঢল নামার সম্ভাবনা রয়েছে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের ফলে লোভাছড়া, সারিগোয়াইন, জাদুকাটা ও সোমেশ্বরী নদীর পানি ক্রমাগত বাড়ছে। এর ফলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে হঠাৎ বন্যা বা জলাবদ্ধতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এদিকে সুরমা নদীর পানি আরও তিন দিন বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি আপাতত কমছে, তবে দুই দিনের মধ্যে তা আবার বাড়তে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।