, রবিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাস চালক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিলেটের ৩ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ জুলাই বৈষম্যহীন দেশ গড়ার চেতনা : খান মো. রেজা-উন-নবী ‘সিলেট নগরীকে পর্যায়ক্রমে ভিক্ষুক মুক্ত করা হবে’ সিলেটে পুলিশের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ আফজল মিয়ার ইন্তেকাল : বিভিন্ন মহলের শোক সিলেট-চারখাই-শেওলা চারলেন প্রকল্প বাতিলের ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবেনা : ড. মো: এনামুল হক চৌধুরী বিশ্বনাথে এসএসসি ও দাখিল কৃতি শিক্ষার্থীকে ছাত্র মজলিসের সংবর্ধনা তারেক রহমানকে নিয়ে নাদেলের কটুক্তির প্রতিবাদে সিলেট জুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় গোলাপগঞ্জে মাদকসহ একই পরিবারের ৪ জনসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার জকিগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

ভাঙচুর-লুটের ঘটনায় সিলেটে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার ২৫ জন

সরাইল বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে সিলেট নগরে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ইশতিয়াক নূর চৌধুরী জিহান নামের একজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে, গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার জিহান নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুবিদ বাজার এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান চৌধুরীর ছেলে।

কোতোয়ালী মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৭ এপ্রিল) ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচির সুযোগে দরগাহ গেট এলাকায় ‘বাটা’র একটি আউটলেটে হামলা ও ভাঙচুর চালায় কিছু দুর্বৃত্ত।

এ সময় অন্যরা যখন ভাঙচুরে ব্যস্ত তখন জুতা লুটপাট শুরু করে জিহান। তার ব্যাগে ভরে জুতা লুট করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এসএমপি’র কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বাসস-কে বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও বিভিন্ন ভিডিও দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, জিহানই প্রথম জুতা লুট করা শুরু করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নগরীর এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে, সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।’

তিনি আরও জানান, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বাটা কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার ও নগরের মিরবক্সটুলাস্থ কেএফসি ভবনের রয়েল মার্ক হোটেল কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

এই ঘটনায় প্রথম দিন ১৪ জন ও পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি জিয়াউল হক বলেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। তবে সবগুলো প্রতিষ্ঠানে হামলার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও পর্যালোচনা করেই আসামিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করে পুলিশ।

জনপ্রিয়

বাস চালক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিলেটের ৩ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ

ভাঙচুর-লুটের ঘটনায় সিলেটে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার ২৫ জন

প্রকাশের সময় : ০১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

সরাইল বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে সিলেট নগরে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ইশতিয়াক নূর চৌধুরী জিহান নামের একজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে, গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার জিহান নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুবিদ বাজার এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান চৌধুরীর ছেলে।

কোতোয়ালী মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৭ এপ্রিল) ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচির সুযোগে দরগাহ গেট এলাকায় ‘বাটা’র একটি আউটলেটে হামলা ও ভাঙচুর চালায় কিছু দুর্বৃত্ত।

এ সময় অন্যরা যখন ভাঙচুরে ব্যস্ত তখন জুতা লুটপাট শুরু করে জিহান। তার ব্যাগে ভরে জুতা লুট করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এসএমপি’র কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বাসস-কে বলেন, ‘ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও বিভিন্ন ভিডিও দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, জিহানই প্রথম জুতা লুট করা শুরু করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নগরীর এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে, সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।’

তিনি আরও জানান, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বাটা কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার ও নগরের মিরবক্সটুলাস্থ কেএফসি ভবনের রয়েল মার্ক হোটেল কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

এই ঘটনায় প্রথম দিন ১৪ জন ও পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি জিয়াউল হক বলেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। তবে সবগুলো প্রতিষ্ঠানে হামলার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও পর্যালোচনা করেই আসামিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করে পুলিশ।