, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন উইমেন ফর উইমেন রাইটস’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে : এডভোকেট জেবুন নাহার সেলিম সিলেটে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রির দাবিতে সভা অনুষ্ঠিত আট দফা দাবিতে ১ নভেম্বর থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ সিলেটে অধ্যাপক ফজলুর রহমানের ‘ধর্মনিরপেক্ষ মুসলমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন সিলেটে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন বিশেষ কল্যাণ সভায় হাইওয়ে পুলিশের সেবার মানোন্নয়ন প্রত্যয়ে অঙ্গীকার সিলেটে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের নিয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক পরামর্শ কর্মশালা ১৭ বছর বয়সে বিমানের পাইলট সিলেটের আহনাফ

প্রবাসীদের অনুদানে বিশ্বনাথে বাসিয়া নদীর উপর চলছে শরিষপুর সেতুর কাজ

সবার সহযোগিতায় এগিয়ে চলছে বিশ্বনাথের বাসিয়া নদীর উপর শরিষপুর সেতুর কাজ। বিশেষ করে প্রবাসীদের আর্থিক সহযোগিতায় সেতুর ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকী রয়েছে সেতুর স্টিলের সিট বসানোর কাজ। সিট বসানোর কাজ শেষ হলেই পূর্ণাঙ্গ রুপ লাভ করবে সেতুটি।

বাসিয়া নদীর উত্তরপাড়ে শরিষপুর গ্রামের ৪৫টি পরিবার বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের মানুষ বাশেঁর সাঁকো দিয়ে চলাচল করতেন। সেতু নির্মাণের জন্য গ্রামের লোকজন অনেক জনপ্রতিনিধির দ্বারে দ্বারে ঘুরেও তাদের স্বপ্ন পুরণ করতে পারেননি। কোন জনপ্রতিনিধিই পূরণ করেননি শরিষপুর গ্রামবাসির দাবি। এনিয়ে দু:খের শেষ নেই গ্রামবাসির।
জনপ্রতিনিধিদের আশা ছেড়ে গ্রামের লোকজন নিজেরাই উদ্যোগ নেন সেতু নির্মাণের। এতে সহযোগিতা করছেন প্রবাসীসহ বিত্তবানরা। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে চলছে সেতুর কাজ।

শনিবার সরেজমিনে শরিষপুর সেতু ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। স্টিল দিয়ে কাজ করানো হয়েছে রেলিংসহ নিছের কাজ। শুধু বাকী রয়েছে স্টিলের সিট বসানোর কাজ। ওই কাজ হলেই সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে।
শরিষপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. বাচ্ছু মিয়া বলেন, প্রবাসীদের অনুদানে আমাদের সেতুর কাজ চলছে। শুধু বাকী রয়েছে স্টিলের সিট বসানোর কাজ। কিন্তু আমাদের কাছে আর কোন অনুদানের টাকা না থাকায় সিট বসানোর কাজ করতে পারছিনা। এই কাজ সম্পন্ন করতে আরো ৩ লাখ টাকার প্রয়োজন। তিনি সকল প্রবাসীদের এগিয়ে এসে সেতুর কাজ সম্পন্ন করতে সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি আরো বলেন, প্রবাসীদের সহযোগিতায় সেতুর কাজ এ পর্যন্ত এগিয়ে এসেছে বাকী কাজ টুকু যাতে বন্দ না হয় সেদিকে সদয় দৃষ্টি রাখার বিশেষ অনুরোধ করেন সবার কাছে।
মো. নানু মিয়া বলেন, প্রবাসী ভাই-বোনের সহযোগিতায় শরিষপুর সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে। আমরা প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বাকী কাজটুকু সম্পন্ন করতে আপনারা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবেন। আমরা আশাবাদি।

জনপ্রিয়

আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন

প্রবাসীদের অনুদানে বিশ্বনাথে বাসিয়া নদীর উপর চলছে শরিষপুর সেতুর কাজ

প্রকাশের সময় : ০৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সবার সহযোগিতায় এগিয়ে চলছে বিশ্বনাথের বাসিয়া নদীর উপর শরিষপুর সেতুর কাজ। বিশেষ করে প্রবাসীদের আর্থিক সহযোগিতায় সেতুর ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকী রয়েছে সেতুর স্টিলের সিট বসানোর কাজ। সিট বসানোর কাজ শেষ হলেই পূর্ণাঙ্গ রুপ লাভ করবে সেতুটি।

বাসিয়া নদীর উত্তরপাড়ে শরিষপুর গ্রামের ৪৫টি পরিবার বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের মানুষ বাশেঁর সাঁকো দিয়ে চলাচল করতেন। সেতু নির্মাণের জন্য গ্রামের লোকজন অনেক জনপ্রতিনিধির দ্বারে দ্বারে ঘুরেও তাদের স্বপ্ন পুরণ করতে পারেননি। কোন জনপ্রতিনিধিই পূরণ করেননি শরিষপুর গ্রামবাসির দাবি। এনিয়ে দু:খের শেষ নেই গ্রামবাসির।
জনপ্রতিনিধিদের আশা ছেড়ে গ্রামের লোকজন নিজেরাই উদ্যোগ নেন সেতু নির্মাণের। এতে সহযোগিতা করছেন প্রবাসীসহ বিত্তবানরা। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে চলছে সেতুর কাজ।

শনিবার সরেজমিনে শরিষপুর সেতু ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। স্টিল দিয়ে কাজ করানো হয়েছে রেলিংসহ নিছের কাজ। শুধু বাকী রয়েছে স্টিলের সিট বসানোর কাজ। ওই কাজ হলেই সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে।
শরিষপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. বাচ্ছু মিয়া বলেন, প্রবাসীদের অনুদানে আমাদের সেতুর কাজ চলছে। শুধু বাকী রয়েছে স্টিলের সিট বসানোর কাজ। কিন্তু আমাদের কাছে আর কোন অনুদানের টাকা না থাকায় সিট বসানোর কাজ করতে পারছিনা। এই কাজ সম্পন্ন করতে আরো ৩ লাখ টাকার প্রয়োজন। তিনি সকল প্রবাসীদের এগিয়ে এসে সেতুর কাজ সম্পন্ন করতে সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি আরো বলেন, প্রবাসীদের সহযোগিতায় সেতুর কাজ এ পর্যন্ত এগিয়ে এসেছে বাকী কাজ টুকু যাতে বন্দ না হয় সেদিকে সদয় দৃষ্টি রাখার বিশেষ অনুরোধ করেন সবার কাছে।
মো. নানু মিয়া বলেন, প্রবাসী ভাই-বোনের সহযোগিতায় শরিষপুর সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে। আমরা প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বাকী কাজটুকু সম্পন্ন করতে আপনারা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবেন। আমরা আশাবাদি।