সিলেটের জৈন্তাপুরের তামাবিল হাইওয়ে থানায় শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশেষ কল্যাণ সভা, যেখানে অংশ নেন থানার অফিসার ও সকল ফোর্স সদস্য। হাইওয়ে পুলিশের সদস্যদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, পেশাগত আচরণ, সেবার মান উন্নয়ন এবং দায়িত্ব পালনে নৈতিকতা জোরদারের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে থানার প্রাঙ্গণে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ হিসেবে একটি পেয়ারা গাছের চারা রোপণ করেন হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকার ডিআইজি (অপারেশনস-দক্ষিণ) জনাব রখফার সুলতানা খানম, পিপিএম (সেবা), পুলিশ সুপার জনাব মোঃ রেজাউল করিম, হাইওয়ে পুলিশ, সিলেট রিজিয়ন, এবং অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, তামাবিল হাইওয়ে থানা। এই প্রতীকী রোপণ কার্যক্রমের মাধ্যমে তাঁরা পরিবেশ সংরক্ষণ ও সবুজ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
পরে শুরু হয় বিশেষ কল্যাণ সভা। প্রধান অতিথি রখফার সুলতানা খানম তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের সড়ক নিরাপত্তা রক্ষা ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে হাইওয়ে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সততা, পেশাদারিত্ব ও মানবিক আচরণ বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করলে জনগণের আস্থা অর্জন করা সম্ভব।
বিশেষ অতিথি মোঃ রেজাউল করিম বলেন, হাইওয়ে পুলিশের প্রতিটি সদস্য যেন দায়িত্ব পালনের সময় সেবার মনোভাব ও নৈতিকতা বজায় রাখে, তবেই এই বাহিনী সত্যিকারের জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ, তামাবিল হাইওয়ে থানা, সিলেট। তিনি বলেন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ের প্রতিটি সদস্যের একনিষ্ঠতা ও দায়িত্বশীলতা অপরিহার্য। সভার সঞ্চালনা করেন এসআই বাতেন, যিনি দক্ষতার সঙ্গে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
তামাবিল হাইওয়ে থানা, হাইওয়ে পুলিশ, সিলেট রিজিয়নের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ বিশেষ কল্যাণ সভায় কর্মরত সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি, দায়িত্ববোধ জোরদার এবং সড়ক নিরাপত্তায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
সভা শেষে কর্মকর্তারা বলেন, সড়ক শুধু চলাচলের পথ নয়-এটি মানুষের জীবন ও নিরাপত্তার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। জনগণের সেবায় সততা, শৃঙ্খলা ও মানবিকতায় হাইওয়ে পুলিশ আগামীতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে হাইওয়ে পুলিশকে আরও সেবামুখী, জনবান্ধব ও দায়িত্বশীল বাহিনীতে পরিণত করবে-যা দেশের সড়ক নিরাপত্তায় নতুন আস্থার দিগন্ত উন্মোচন করবে।