, সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

বিমানবন্দরে সংবর্ধিত ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংবাদিক এমদাদ চৌধুরী দীপু

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উষ্ণ সংবর্ধনায় বরণ করা হয়েছে ফ্যাসিবাদীবিরোধী সাহসী সাংবাদিক এমদাদ চৌধুরী দীপুকে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরায় শনিবার (০২ আগস্ট) বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সিনিয়র সাংবাদিক, সহকর্মী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

দৈনিক প্রভাতবেলা সম্পাদক কবীর আহমদ সোহেলের সঞ্চালনায় বিমানবন্দরে তাতক্ষণিক সংর্ধনায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো চিপ আব্দুল কাদের তাপাদার, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়সনের সভাপতি নাজমুল কবীর পাভেল, নাগরিক আলেম সমাজের প্রধান সমন্বয়ক নোমান বিন আরমান, মোহনা টিভির সিলেট ব্যুরো সিপার আহমদ প্রমুখ।

সংবর্ধনার জবাব যুক্তরাষ্ট্রের টিবিএন টোয়েন্টিফোরের বিশেষ প্রতিনিধি এমদাদ চৌধুরী দীপু বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর শহিদদের রক্তভেজা দেশে, শহিদ সাংবাদিক আবু তুরাবের রক্তেভেজা মাটিতে পা রাখতে পেরে আমি আপ্লুত। দেশের মানুষ যেভাবে কাধে কাধ মিলিয়ে ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়েছেন, দেশ পুনর্গঠনেও একইরকম ঐক্যে ধরে রাখতে হবে। না হয় যেকোনো সময় পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

বিমানবন্দর থেকে নগরীরতে ফিরে একটি হোটেলে আগত অতিথি ও সাবেক সহকর্মীদের সঙ্গে আবারো মতবিনিময় মিলিত হন তিনি। এতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন আবাসন এসোসিয়েটের পরিচালক মো. খিজির আহমদ, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. গোলজার আহমদ, মো. আব্দুল মতিন, ব্যবসায়ী আব্দুল মুঈজ অহিদ, অনুপ্রাসের প্রোপ্রাইটর আবু আইয়ুব আনসারী, চ্যানেল নাইনের বাবর জোয়ার্দার, ঈসমাইল হোসেন, সেবুল আহমদ প্রমূখ।

প্রবাসে থেকেও হাসিনার জমিদারী শাসন ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অনলাইন-অফলাইনে সবসময় সরব ছিলেন সাংবাদিক দীপু। হাসিনার বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়িয়েছেন জাতিসংঘ ভবনের সামনে, জনমত তৈরী করতে চালিয়ে গেছেন নানা তৎপরতা। আওয়ামী রিজিমের বিরুদ্ধে অনলাইন প্রচারণাসহ নানামাত্রিক মননশীল ও বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ রয়েছে তাঁর।

এসব তৎপরতার কারণে আওয়ামী আমলের প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার চক্ষুশুলে পরিণত হয়েছিলেন সাংবাদিক দীপু। প্রবাসে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে কাজ করায় যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন সে তালিকায় তার নাম ছিলো গোয়েন্দাদের টপলিস্টে। একারণে দীর্ঘ প্রায় নয় বছর তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। তবুও ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে দেশমাতৃকার স্বাধীনতা রক্ষা, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে তিনি ছিলেন অটল, অবিচল।

দেশে অবস্থানকালে সাংবাদিক দীপু গণমাধ্যম, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন।

দৈনিক সিলেট সুরমার সাবেক নির্বাহী সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী দীপু যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় চ্যানেল টিবিএন টোয়েন্টিফোরের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়াও তিনি সিলেটের আবাসন শিল্পের বড় প্রতিষ্ঠান আবাসন এসোসিয়েটের পরিচালক। দেশে কর্মকালীন তিনি টেলিভিশন চ্যানেল, পত্রিকাসহ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমে পেশাদারিত্ব ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

জনপ্রিয়

বিমানবন্দরে সংবর্ধিত ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংবাদিক এমদাদ চৌধুরী দীপু

প্রকাশের সময় : ৩ ঘন্টা আগে

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উষ্ণ সংবর্ধনায় বরণ করা হয়েছে ফ্যাসিবাদীবিরোধী সাহসী সাংবাদিক এমদাদ চৌধুরী দীপুকে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরায় শনিবার (০২ আগস্ট) বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সিনিয়র সাংবাদিক, সহকর্মী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

দৈনিক প্রভাতবেলা সম্পাদক কবীর আহমদ সোহেলের সঞ্চালনায় বিমানবন্দরে তাতক্ষণিক সংর্ধনায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো চিপ আব্দুল কাদের তাপাদার, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়সনের সভাপতি নাজমুল কবীর পাভেল, নাগরিক আলেম সমাজের প্রধান সমন্বয়ক নোমান বিন আরমান, মোহনা টিভির সিলেট ব্যুরো সিপার আহমদ প্রমুখ।

সংবর্ধনার জবাব যুক্তরাষ্ট্রের টিবিএন টোয়েন্টিফোরের বিশেষ প্রতিনিধি এমদাদ চৌধুরী দীপু বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর শহিদদের রক্তভেজা দেশে, শহিদ সাংবাদিক আবু তুরাবের রক্তেভেজা মাটিতে পা রাখতে পেরে আমি আপ্লুত। দেশের মানুষ যেভাবে কাধে কাধ মিলিয়ে ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়েছেন, দেশ পুনর্গঠনেও একইরকম ঐক্যে ধরে রাখতে হবে। না হয় যেকোনো সময় পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

বিমানবন্দর থেকে নগরীরতে ফিরে একটি হোটেলে আগত অতিথি ও সাবেক সহকর্মীদের সঙ্গে আবারো মতবিনিময় মিলিত হন তিনি। এতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন আবাসন এসোসিয়েটের পরিচালক মো. খিজির আহমদ, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. গোলজার আহমদ, মো. আব্দুল মতিন, ব্যবসায়ী আব্দুল মুঈজ অহিদ, অনুপ্রাসের প্রোপ্রাইটর আবু আইয়ুব আনসারী, চ্যানেল নাইনের বাবর জোয়ার্দার, ঈসমাইল হোসেন, সেবুল আহমদ প্রমূখ।

প্রবাসে থেকেও হাসিনার জমিদারী শাসন ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অনলাইন-অফলাইনে সবসময় সরব ছিলেন সাংবাদিক দীপু। হাসিনার বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়িয়েছেন জাতিসংঘ ভবনের সামনে, জনমত তৈরী করতে চালিয়ে গেছেন নানা তৎপরতা। আওয়ামী রিজিমের বিরুদ্ধে অনলাইন প্রচারণাসহ নানামাত্রিক মননশীল ও বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ রয়েছে তাঁর।

এসব তৎপরতার কারণে আওয়ামী আমলের প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার চক্ষুশুলে পরিণত হয়েছিলেন সাংবাদিক দীপু। প্রবাসে থেকে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে কাজ করায় যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন সে তালিকায় তার নাম ছিলো গোয়েন্দাদের টপলিস্টে। একারণে দীর্ঘ প্রায় নয় বছর তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। তবুও ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে দেশমাতৃকার স্বাধীনতা রক্ষা, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে তিনি ছিলেন অটল, অবিচল।

দেশে অবস্থানকালে সাংবাদিক দীপু গণমাধ্যম, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন।

দৈনিক সিলেট সুরমার সাবেক নির্বাহী সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী দীপু যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় চ্যানেল টিবিএন টোয়েন্টিফোরের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়াও তিনি সিলেটের আবাসন শিল্পের বড় প্রতিষ্ঠান আবাসন এসোসিয়েটের পরিচালক। দেশে কর্মকালীন তিনি টেলিভিশন চ্যানেল, পত্রিকাসহ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমে পেশাদারিত্ব ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।