, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

বাবার মৃত্যুতে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর পরিবারের পক্ষ থেকে এতিমখানায় খাবার পরিবেশন

সিনিয়র সচিব পদ মর্যাদায় মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বরেণ্য সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাবা আলহাজ্ব আব্দুল মোছাউয়ীর আনসারীর মৃত্যুতে পরিবারের পক্ষ থেকে নানা সেবামুখি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে রোববার (১১ মে) সিলেট নগরীর ৩৮ নং ওয়ার্ডের নাজিরেরগাও শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া এর এতিমখানায় এতিমদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে।

এতিমখানা সংলগ্ন মসজিদে জোহরের নামাজ শেষে মরহুম পীরাজাদা আব্দুল মোছাউয়ীর রুহের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে মরহুমের পুত্র মুশফিকুল ফজল আনসারী পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন মরহুমের ছোট ছেলে বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার এবং যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসে কমর্রত আবু সাঈদ আনসারী।

মরহুমের জামাতা সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক সেলিম আউয়ালের উপস্থাপনায় মোনাজাত পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মুশফিকুল ফজল আনসারী আব্দুল মোছাউয়ীর স্মৃতিচারণ করে এতিমদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমিও আজ থেকে এতিমের দলভুক্ত এবং এতিমরাই আমার স্বজন। আমার বাবা অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। তিনি ব্যক্তগত জীবনে আমাদের সমাজে মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী যে প্রচলিত নানা লৌকিকতা বিদ্যমান, সেই সব কর্মকান্ড এড়িয়ে চলতেন। আমরাও তাঁর মৃত্যুর পর গতানুগতিক লৌকিকতাপূর্ণ কুলখানি অনুষ্ঠানে যাইনি।

মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, আমাদের পরিবার এতিমখানার মতো কিছু দাতব্য প্রতিষ্ঠান বেছে নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে যেগুলোতে সেবা ও সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তিনি তাঁর বাবার রুহের মাগফেরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়া চান। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এতিমদের সাথে এক সঙ্গে দুপুরের খাবার খান রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।

পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেডক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতালের পরিচালক নজমুল হোসেন এফসিএমএ, ইউসিবিএল-র সিনিয়র এভিপি আবদুর রহমান আব্বাসী, সাবেক টি-গার্ডেন ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন,একাত্তর টিভির সিলেট ব্যুরো চিফ মুহিত দিদার, জামেয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা লুৎফর রহমান হুমায়দি, শাবিপ্রবি কর্মকর্তা জুবায়ের ফজল আনসারী প্রমুখ।

জনপ্রিয়

সিলেটের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

বাবার মৃত্যুতে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর পরিবারের পক্ষ থেকে এতিমখানায় খাবার পরিবেশন

প্রকাশের সময় : ০৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

সিনিয়র সচিব পদ মর্যাদায় মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বরেণ্য সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাবা আলহাজ্ব আব্দুল মোছাউয়ীর আনসারীর মৃত্যুতে পরিবারের পক্ষ থেকে নানা সেবামুখি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এর অংশ হিসেবে রোববার (১১ মে) সিলেট নগরীর ৩৮ নং ওয়ার্ডের নাজিরেরগাও শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া এর এতিমখানায় এতিমদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে।

এতিমখানা সংলগ্ন মসজিদে জোহরের নামাজ শেষে মরহুম পীরাজাদা আব্দুল মোছাউয়ীর রুহের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে মরহুমের পুত্র মুশফিকুল ফজল আনসারী পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন মরহুমের ছোট ছেলে বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার এবং যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসে কমর্রত আবু সাঈদ আনসারী।

মরহুমের জামাতা সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক সেলিম আউয়ালের উপস্থাপনায় মোনাজাত পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মুশফিকুল ফজল আনসারী আব্দুল মোছাউয়ীর স্মৃতিচারণ করে এতিমদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমিও আজ থেকে এতিমের দলভুক্ত এবং এতিমরাই আমার স্বজন। আমার বাবা অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। তিনি ব্যক্তগত জীবনে আমাদের সমাজে মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী যে প্রচলিত নানা লৌকিকতা বিদ্যমান, সেই সব কর্মকান্ড এড়িয়ে চলতেন। আমরাও তাঁর মৃত্যুর পর গতানুগতিক লৌকিকতাপূর্ণ কুলখানি অনুষ্ঠানে যাইনি।

মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, আমাদের পরিবার এতিমখানার মতো কিছু দাতব্য প্রতিষ্ঠান বেছে নিয়েছি। পর্যায়ক্রমে যেগুলোতে সেবা ও সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তিনি তাঁর বাবার রুহের মাগফেরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়া চান। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এতিমদের সাথে এক সঙ্গে দুপুরের খাবার খান রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।

পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেডক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতালের পরিচালক নজমুল হোসেন এফসিএমএ, ইউসিবিএল-র সিনিয়র এভিপি আবদুর রহমান আব্বাসী, সাবেক টি-গার্ডেন ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন,একাত্তর টিভির সিলেট ব্যুরো চিফ মুহিত দিদার, জামেয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা লুৎফর রহমান হুমায়দি, শাবিপ্রবি কর্মকর্তা জুবায়ের ফজল আনসারী প্রমুখ।