, মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে
প্রশাসনের আশ্বাসে প্রত্যাহার

বকেয়া বেতনের দাবিতে সিলেটে চা শ্রমিকদের ৩ ঘন্টা সড়ক অবরোধ

সিলেটে ৩ ঘন্টা সড়ক অবরোধের পর আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন চা শ্রমিকরা। প্রশাসনের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন। বকেয়া বেতন, বোনাস ও রেশন পরিশোধ, বসত বাড়ি নির্মাণ ও মেরামত, চিকিৎসা সেবা চালু ও ঔষধ প্রদান, চা বাগানের গাছ কাটা ও বিক্রি বন্ধসহ বেশ কযেকটি দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন চা শ্রমিকরা।

রোববার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিমানবন্দর-আম্বরখানা সড়কের মালনীছড়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন তারা।

অবরোধ চলাকালে শ্রমিকরা বলেন, বেতন ও রেশন না পাওয়ায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তারা। বুরজান চা-কোম্পানির অধীনে থাকা আড়াই হাজার শ্রমিকের বেতন-রেশন ও বোনাস বকেয়া পড়েছে। তাদের ছেলে-মেয়েরা তিন বেলা খাবার খেতে পারছে না। পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। মলিকপক্ষ বেতন দিচ্ছে-দিচ্ছে বলে যাচ্ছে। কবে তাদের বেতন দেবে তার ঠিক নেই।

অবরোধের ফলে বন্ধ হয়ে যায় আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল। আটকা পড়ে শত শত গাড়ি, সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালায়।

পরে বিকেল ৩টায় স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন চা শ্রমিকরা। ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে গিয়ে লিখিতভাবে তাদের দাবি জানান। এসময় ইউএনও আশ্বাস দিলে চা শ্রমিকরা তাদের দাবি পূরণে এক সপ্তাহের সময় বেধে দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।

জনপ্রিয়

প্রশাসনের আশ্বাসে প্রত্যাহার

বকেয়া বেতনের দাবিতে সিলেটে চা শ্রমিকদের ৩ ঘন্টা সড়ক অবরোধ

প্রকাশের সময় : ০১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

সিলেটে ৩ ঘন্টা সড়ক অবরোধের পর আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন চা শ্রমিকরা। প্রশাসনের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন। বকেয়া বেতন, বোনাস ও রেশন পরিশোধ, বসত বাড়ি নির্মাণ ও মেরামত, চিকিৎসা সেবা চালু ও ঔষধ প্রদান, চা বাগানের গাছ কাটা ও বিক্রি বন্ধসহ বেশ কযেকটি দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন চা শ্রমিকরা।

রোববার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিমানবন্দর-আম্বরখানা সড়কের মালনীছড়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন তারা।

অবরোধ চলাকালে শ্রমিকরা বলেন, বেতন ও রেশন না পাওয়ায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তারা। বুরজান চা-কোম্পানির অধীনে থাকা আড়াই হাজার শ্রমিকের বেতন-রেশন ও বোনাস বকেয়া পড়েছে। তাদের ছেলে-মেয়েরা তিন বেলা খাবার খেতে পারছে না। পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। মলিকপক্ষ বেতন দিচ্ছে-দিচ্ছে বলে যাচ্ছে। কবে তাদের বেতন দেবে তার ঠিক নেই।

অবরোধের ফলে বন্ধ হয়ে যায় আম্বরখানা-বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল। আটকা পড়ে শত শত গাড়ি, সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। খবর পেয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালায়।

পরে বিকেল ৩টায় স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন চা শ্রমিকরা। ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে গিয়ে লিখিতভাবে তাদের দাবি জানান। এসময় ইউএনও আশ্বাস দিলে চা শ্রমিকরা তাদের দাবি পূরণে এক সপ্তাহের সময় বেধে দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।