, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিলেটে ঘর থেকে তুলে নিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১ আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন উইমেন ফর উইমেন রাইটস’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে : এডভোকেট জেবুন নাহার সেলিম সিলেটে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রির দাবিতে সভা অনুষ্ঠিত আট দফা দাবিতে ১ নভেম্বর থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ সিলেটে অধ্যাপক ফজলুর রহমানের ‘ধর্মনিরপেক্ষ মুসলমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন সিলেটে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন বিশেষ কল্যাণ সভায় হাইওয়ে পুলিশের সেবার মানোন্নয়ন প্রত্যয়ে অঙ্গীকার
ছিলেন আত্মগোপনে

দাফনের ১৭ দিন পর ওসমানীনগরের রবিউলকে জীবিত উদ্ধার

সিলেটে নিখোঁজের পর লাশ শনাক্ত করে দাফন করার ১৭ দিন পর রবিউল ইসলাম নাইম (১৪) নামের ওই কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় জীবিত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

জীবিত উদ্ধার হওয়া রবিউল ইসলাম নাইম ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকার গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, গোয়ালাবাজার সংলগ্ন ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটের বগুড়া রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিল রবিউল ইসলাম নাইম। গত ২৬ জুলাই রেস্টুরেন্ট থেকে নিখোঁজ হয়। গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের একটি ডোবা থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার লাশটি তাদের ছেলের বলে শনাক্ত করে এবং পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ দাফন করা হয়। এসময় রবিউলের পরিবার জানায়, বগুড়া রেস্টুরেন্টের মালিক বুলবুল মিয়া তাদের ছেলে রবিউলকে হত্যা করে কুলাউড়ায় লাশ ফেলে রেখেছে। পরে লাশ উদ্ধারের পর ওসমানীনগর ও কুলাউড়া থানায় মামলা করতে চাইলে প্রথমে দুটি থানাই গড়িমসি করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৬ আগস্ট লাশ নিয়ে রবিউলের মা ও স্বজনরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। কিন্তু অবশেষে লাশ দাফন করা হলেও শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। ১৭ দিন পর রবিউলকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলের নানার বাড়ি। রবিউল তার নানার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। শুক্রবার (২২ আগস্ট) হঠাৎ তার পরিবারের লোকজনই তাকে খুঁজে পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রবিউলকে হেফাজতে নিয়ে শনিবার মৌলভীবাজার আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য পাঠানো হয়। ঠিক কি কারণে সে আত্মগোপনে ছিল, তা সে বিজ্ঞ আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানিয়েছে।

তবে ধারণা করা হচ্ছে; তার রেষ্টুরেন্টের মালিকের সাথে মন-মালিন্যতার জন্য সে আত্মগোপনে থাকতে পারে।

এদিকে, গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের একটি ডোবা থেকে যে কিশোরের লাশ উদ্ধার রবিউল বলে করে দাফন করা হয়েছে এখন পর্যন্ত ওই কিশোরের পরিবার বা অন্য কোনো পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়া হয় নি। তবে যদি কেউ ওই কিশোরের খোঁজ নিতে আসেন কিংবা দাবি করেন তাহলে পূর্বের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং তার লাশ পরিবারের হেফাজতে দেওয়া হবে।

অন্যদিকে পুলিশ আরোও জানায়, রবিউলের পরিবার থেকে যে মামলাটি করা হয়েছে তা হয়তো নিঃষ্পত্তি হয়ে যাবে। যেহেতু এটি হত্যা মামলা ছিল এবং এখন রবিউলকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাই মামলাটি শেষ হয়ে যাবে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গত ২৬ জুলাই রেস্টুরেন্ট থেকে নিখোঁজ হওয়া রবিউল আসলে আত্মগোপনে ছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, রেষ্টুরেন্টের মালিকের সাথে মন-মালিন্যতার জন্য সে আত্মগোপনে ছিল। সে বিজ্ঞ আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে সে আত্মগোপনে ছিল বলে স্বীকার করেছে।’ অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, ‘আগের লাশ উদ্ধার ও দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জনপ্রিয়

ছিলেন আত্মগোপনে

দাফনের ১৭ দিন পর ওসমানীনগরের রবিউলকে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫

সিলেটে নিখোঁজের পর লাশ শনাক্ত করে দাফন করার ১৭ দিন পর রবিউল ইসলাম নাইম (১৪) নামের ওই কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় জীবিত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

জীবিত উদ্ধার হওয়া রবিউল ইসলাম নাইম ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকার গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, গোয়ালাবাজার সংলগ্ন ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশন মার্কেটের বগুড়া রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিল রবিউল ইসলাম নাইম। গত ২৬ জুলাই রেস্টুরেন্ট থেকে নিখোঁজ হয়। গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের একটি ডোবা থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার লাশটি তাদের ছেলের বলে শনাক্ত করে এবং পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ দাফন করা হয়। এসময় রবিউলের পরিবার জানায়, বগুড়া রেস্টুরেন্টের মালিক বুলবুল মিয়া তাদের ছেলে রবিউলকে হত্যা করে কুলাউড়ায় লাশ ফেলে রেখেছে। পরে লাশ উদ্ধারের পর ওসমানীনগর ও কুলাউড়া থানায় মামলা করতে চাইলে প্রথমে দুটি থানাই গড়িমসি করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৬ আগস্ট লাশ নিয়ে রবিউলের মা ও স্বজনরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। কিন্তু অবশেষে লাশ দাফন করা হলেও শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। ১৭ দিন পর রবিউলকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলের নানার বাড়ি। রবিউল তার নানার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। শুক্রবার (২২ আগস্ট) হঠাৎ তার পরিবারের লোকজনই তাকে খুঁজে পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রবিউলকে হেফাজতে নিয়ে শনিবার মৌলভীবাজার আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য পাঠানো হয়। ঠিক কি কারণে সে আত্মগোপনে ছিল, তা সে বিজ্ঞ আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানিয়েছে।

তবে ধারণা করা হচ্ছে; তার রেষ্টুরেন্টের মালিকের সাথে মন-মালিন্যতার জন্য সে আত্মগোপনে থাকতে পারে।

এদিকে, গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলস্টেশনের পাশের একটি ডোবা থেকে যে কিশোরের লাশ উদ্ধার রবিউল বলে করে দাফন করা হয়েছে এখন পর্যন্ত ওই কিশোরের পরিবার বা অন্য কোনো পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়া হয় নি। তবে যদি কেউ ওই কিশোরের খোঁজ নিতে আসেন কিংবা দাবি করেন তাহলে পূর্বের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং তার লাশ পরিবারের হেফাজতে দেওয়া হবে।

অন্যদিকে পুলিশ আরোও জানায়, রবিউলের পরিবার থেকে যে মামলাটি করা হয়েছে তা হয়তো নিঃষ্পত্তি হয়ে যাবে। যেহেতু এটি হত্যা মামলা ছিল এবং এখন রবিউলকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাই মামলাটি শেষ হয়ে যাবে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর এলাকায় রবিউলকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গত ২৬ জুলাই রেস্টুরেন্ট থেকে নিখোঁজ হওয়া রবিউল আসলে আত্মগোপনে ছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, রেষ্টুরেন্টের মালিকের সাথে মন-মালিন্যতার জন্য সে আত্মগোপনে ছিল। সে বিজ্ঞ আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে সে আত্মগোপনে ছিল বলে স্বীকার করেছে।’ অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, ‘আগের লাশ উদ্ধার ও দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’