হলি সিলেট হোল্ডিং লিমিটেড এর ভাইস চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ডাক্তারী পেশা পৃথিবীর অন্যতম মহৎ ও মানবিক পেশা। এই পেশার মাধ্যমে মানুষ সরাসরি মানবসেবার সুযোগ পায়। একজন ডাক্তার কেবল রোগ নিরাময়ই করেন না, তিনি সমাজে আশার আলো জ্বালান, মানুষের জীবন বাঁচিয়ে মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেন। অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, তাদের কষ্ট লাঘব করে ও সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে এনে একজন ডাক্তার সমাজে অপরিসীম অবদান রাখেন।
তিনি বলেন, এই পেশায় কর্মরত ব্যক্তিদের জ্ঞান, নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ ও মানবিক মূল্যবোধ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়। ডাক্তাররা দিন-রাত পরিশ্রম করে মানুষের জীবন রক্ষায় কাজ করেন। অনেক সময় নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ, বিশ্রাম বা পরিবারের সময় ত্যাগ করে তারা অন্যের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। রোগীর মুখে হাসি ফুটানোই একজন ডাক্তারের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আজকে যারা ডাক্তার হয়েছেন তারা রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের হলরুমে আয়োজিত ১৫ তম ব্যাচের হোয়াইট কোট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মেজর জেনারেল (অব:) ডা. সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, একজন দক্ষ ও সৎ ডাক্তার সমাজে সম্মানের স্থান পান। কারণ তিনি শুধু ওষুধ দেন না, মানুষকে আশ্বাস ও সাহসও দেন। ডাক্তারী পেশা শুধু একটি চাকরি নয়; এটি এক মহান দায়িত্ব, এক মানবিক ব্রত। এই পেশায় যারা কাজ করেন, তারা সত্যিই সমাজের প্রকৃত সেবক ও মানবতার রক্ষক। তিনি আরো বলেন, অসুস্থ রোগীদের ভালো সেবা দিয়ে দিয়ে সুস্থ্য করা হচ্ছে ডাক্তারের দায়িত্ব। রোগীদের সাথে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসা দিতে হবে। একজন ডাক্তার হওয়া মানে দেশকে এগিয়ে নেওয়া এবং অসুস্থ রোগীদের সেবা দেওয়া। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানী ও ডায়াগনিস্ট সেন্টার থেকে আপনাদেরকে বিভিন্ন অফার দিবে সেইদিকে না গিয়ে রোগীদের ভালো সেবা দেওয়া হবে আপনাদের দায়িত্ব। সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। এই মেডিকেল কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা অর্জন করে ডাক্তার হয়ে মানবসেবায় নিয়োজিত হচ্ছে শত শত ডাক্তার। যার ফলে বিশ্বজুরে ছড়িয়ে পড়েছে এই মেডিকেল কলেজের সুনাম।
সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মৃদুল গুপ্ত এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য এবং ইন্টার্ণ ডাক্তারদের কর্তব্য এবং করণীয় শীর্ষ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেসেন্টেশন করেন সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম মাওলা, দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর অধ্যাপক ডা. ডি এ হাসান চৌধুরী, গাইনী ও অবস বিভাগের অধ্যাপক ডা. রীনা আক্তার, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক মো. গোলাম রব সুয়েব, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হলি সিলেট হোল্ডিং লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. ওয়েছ আহমদ চৌধুরী, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. তহুর আব্দুল্লাহ চৌধুরী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. দেওয়ান আলী হাসান চৌধুরী, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. তাফহিম আহমেদ রিফাত, সহকারী পরিচালক ডা. এ টি এম রাসেল মিশু।
নতুন ইন্টার্ণ ডাক্তারদের শপথবাক্য পাঠ করান সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মেজর জেনারেল (অব:) ডা. সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।
অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মো. শিহাবুল হক ও নিমার আলী। নতুন ইন্টার্ণ ডাক্তারদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ডা. খন্দকার তাশরীকা এরিকা। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাসপাতাল মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. জাদুল আহমদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে এই প্রথম অভিভাবকরা ডাক্তার হওয়া তাদের সন্তানদের নিজ হাতে হোয়াইট কোট পরিয়ে দেন।