সিলেটের জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে নতুন নতুন রহস্য যোগ হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী, দুই মেয়ে, শ্যালকসহ অন্তত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ জমা হয়নি।
গত বুধবার বিকেলে শায়লা স্মৃতি হাসপাতালের পেছনের ধানক্ষেত থেকে ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিনের (৫০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবার জানায়, নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে অজ্ঞাত নম্বর থেকে মুক্তিপণ দাবি আসে। বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে আরও সন্দেহজনক মনে হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যা। তারা প্রকাশ্যে দাবি করেছেন—নোমান উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, শ্যালক হানিফ আহমদ সুমনসহ পরিবারের সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। স্থানীয়দের ভাষ্য, হত্যার পর পরিবারের আচরণ ছিল অস্বাভাবিক। এমনকি সিসি ক্যামেরা সরিয়ে ফেলা ও লাশ উদ্ধারের পর থানায় তাদের অনুপস্থিতিও রহস্য ঘনীভূত করেছে।
জকিগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, “ঘটনার পর থেকে নিহতের স্ত্রী, সন্তান, শ্যালক ও নিকটাত্মীয়সহ অন্তত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একাধিক দিক মাথায় রেখে তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবেই দেখা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, নিহত নোমান উদ্দিন দীর্ঘদিন সৌদি প্রবাসে ছিলেন। দুই বছর আগে দেশে ফিরে কালিগঞ্জ বাজারে মুদি ব্যবসা শুরু করেন।