, রবিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাস চালক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিলেটের ৩ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ জুলাই বৈষম্যহীন দেশ গড়ার চেতনা : খান মো. রেজা-উন-নবী ‘সিলেট নগরীকে পর্যায়ক্রমে ভিক্ষুক মুক্ত করা হবে’ সিলেটে পুলিশের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ আফজল মিয়ার ইন্তেকাল : বিভিন্ন মহলের শোক সিলেট-চারখাই-শেওলা চারলেন প্রকল্প বাতিলের ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবেনা : ড. মো: এনামুল হক চৌধুরী বিশ্বনাথে এসএসসি ও দাখিল কৃতি শিক্ষার্থীকে ছাত্র মজলিসের সংবর্ধনা তারেক রহমানকে নিয়ে নাদেলের কটুক্তির প্রতিবাদে সিলেট জুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় গোলাপগঞ্জে মাদকসহ একই পরিবারের ৪ জনসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার জকিগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

ওসমানীনগরে সরকারি জায়গার গাছ কেটে নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা

সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে দাসপাড়া-গয়নাঘাট নামক খালের পাড় থেকে দীর্ঘদিন ধরে বেড়ে উঠা আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রায় ৩০টি গাছ কেটে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে গাছগুলো খালের পাড়ের জমির মালিক গ্রামতলা (দাসপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজি ইয়াওর মিয়ার নিকট থেকে ক্রয় করে গাছ কাটা শুরু করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাদল দেব। এঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুরাতন এসব গাছ কাটার কারণে পরিবেশ বিনষ্টসহ সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের গয়নাঘাটস্থ দাসপাড়া-গয়নাঘাট খালের পাড়ে সরকারি ভূমির উপর বেড়ে উঠে ইউক্লিপটাস, রেইন্ট্রি ও একাশি জাতের বড় প্রায় ৩০টি গাছ। সম্প্রতি খালের পাড়ে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক স্থানীয় গ্রামতলা (দাসপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজি ইয়াওর মিয়া আওয়ামীলীগ নেতা বাদল দেবের কাছে এই গাছগুলো বিক্রি করেন বলে বাদল দেব দাবি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা ছোট বেলায় এ খাল দিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলতে দেখেছি। খালটি যথাযথ কর্তৃপক্ষ পরিমাপ করলে এ গাছগুলো সরকারি ভূমিতেই পড়বে।

হাজি ইয়াওর মিয়ার শ্যালক আবেদুল বলেন, হাজি ইয়াওর মিয়া লন্ডন চলে গেছেন। তার কোন মোবাইল নাম্বারও আমার কাছে নেই। এ ব্যাপারে আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবো না।

বাদল দেব বলেন, আমরা ভূমি পরিমাপ করে ৩০টি গাছ কিনেছি। এ গাছ সরকারের জায়গায় পড়েনি। ব্যক্তি মালিকানার জেনেই আমি কিনেছি।

গোয়ালাবাজার ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহিন মিয়া বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না, ইউএনও স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন।

তাজপুর তহশিল অফিসের তহশিলদার হুসনে আরা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরকারি জায়গার গাছ কাটা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয়

বাস চালক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিলেটের ৩ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ

ওসমানীনগরে সরকারি জায়গার গাছ কেটে নিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা

প্রকাশের সময় : ০৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে দাসপাড়া-গয়নাঘাট নামক খালের পাড় থেকে দীর্ঘদিন ধরে বেড়ে উঠা আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রায় ৩০টি গাছ কেটে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে গাছগুলো খালের পাড়ের জমির মালিক গ্রামতলা (দাসপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজি ইয়াওর মিয়ার নিকট থেকে ক্রয় করে গাছ কাটা শুরু করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাদল দেব। এঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুরাতন এসব গাছ কাটার কারণে পরিবেশ বিনষ্টসহ সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের গয়নাঘাটস্থ দাসপাড়া-গয়নাঘাট খালের পাড়ে সরকারি ভূমির উপর বেড়ে উঠে ইউক্লিপটাস, রেইন্ট্রি ও একাশি জাতের বড় প্রায় ৩০টি গাছ। সম্প্রতি খালের পাড়ে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক স্থানীয় গ্রামতলা (দাসপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজি ইয়াওর মিয়া আওয়ামীলীগ নেতা বাদল দেবের কাছে এই গাছগুলো বিক্রি করেন বলে বাদল দেব দাবি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা ছোট বেলায় এ খাল দিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলতে দেখেছি। খালটি যথাযথ কর্তৃপক্ষ পরিমাপ করলে এ গাছগুলো সরকারি ভূমিতেই পড়বে।

হাজি ইয়াওর মিয়ার শ্যালক আবেদুল বলেন, হাজি ইয়াওর মিয়া লন্ডন চলে গেছেন। তার কোন মোবাইল নাম্বারও আমার কাছে নেই। এ ব্যাপারে আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবো না।

বাদল দেব বলেন, আমরা ভূমি পরিমাপ করে ৩০টি গাছ কিনেছি। এ গাছ সরকারের জায়গায় পড়েনি। ব্যক্তি মালিকানার জেনেই আমি কিনেছি।

গোয়ালাবাজার ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহিন মিয়া বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না, ইউএনও স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন।

তাজপুর তহশিল অফিসের তহশিলদার হুসনে আরা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরকারি জায়গার গাছ কাটা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।