, সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাস চালক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিলেটের ৩ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ জুলাই বৈষম্যহীন দেশ গড়ার চেতনা : খান মো. রেজা-উন-নবী ‘সিলেট নগরীকে পর্যায়ক্রমে ভিক্ষুক মুক্ত করা হবে’ সিলেটে পুলিশের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ আফজল মিয়ার ইন্তেকাল : বিভিন্ন মহলের শোক সিলেট-চারখাই-শেওলা চারলেন প্রকল্প বাতিলের ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবেনা : ড. মো: এনামুল হক চৌধুরী বিশ্বনাথে এসএসসি ও দাখিল কৃতি শিক্ষার্থীকে ছাত্র মজলিসের সংবর্ধনা তারেক রহমানকে নিয়ে নাদেলের কটুক্তির প্রতিবাদে সিলেট জুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় গোলাপগঞ্জে মাদকসহ একই পরিবারের ৪ জনসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার জকিগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
বিজ্ঞাপন :
সকল জেলায় সাংবাদিক নিয়োগ চলছে

ওসমানীনগরে বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে রহস্য, অভিযুক্তরা পলাতক

সিলেটের ওসমানীনগরে মারামারির ঘটনায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে! বৃদ্ধ উপজেলার দয়ামীরর ইউনিয়নের শরিষপুর গ্রামের ছমেদ উল্লার ছেলে গৌছ আলী (৫৫)। তবে পরিবারের অভিযোগ আপন ভাই আঙ্গুর আলীর সাথে মারামারির সময় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। তার মৃত্যুর পর অভিযুক্তরা ঘরে তালা দিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ির ভূমি নিয়ে আপন ভাই আঙ্গুর আলীর সাথে গৌছ আলীর বিরুধ চলে আসছে। এনিয়ে গত ২৯ জুন নিজ বাড়িতে দু’ভাইয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। ওইদিন আহত অবস্থায় গৌছ আলীকে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন স্বজনরা। মারামারির ঘটনায় ওইদিন রাতেই ওসমানীনগর থানায় আঙ্গুর আলী ও তার স্ত্রীকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গৌছ আলীর স্ত্রী রেজিয়া বেগম (৫০)। তবে পরবর্তিতে এঘটনায় আঙ্গুর আলীও বাদি হয়ে ওসমানীনগর থানায় গৌছ আলী ও তার স্ত্রী রেজিয়া বেগমকে আসামি করে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন।

কিন্তু ১জুলাই বাদ মাগরিব গৌছ আলীকে বাড়ির দক্ষিনের রাস্তায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন লোকজন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। পরদিন ২জুলাই ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে গ্রামের কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

কিন্তু স্ত্রী রেজিয়া বেগমের দাবি ওইদিন দুই দেবর আঙ্গুর আলী ও রইছ আলী তার ঘরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছে যে তার স্বামী গৌছ আলী কোথায়। তিনি বলেছেন মসজিদে গেছেন। তখন আঙ্গুর আর রইছ আলী প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তার স্বামীকে বাড়ির পাশের রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পেয়ে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত্যু ঘোষণা করে। এঘটনায় তিনি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বর্তমানে অসহায় অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে দুই মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে রয়েছেন।

এদিকে আঙ্গুর আলীকে বাড়িতে না পেয়ে তার মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে ওসমানীনগর থানার ওসি মোনায়েম মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, মারামারির দু’দিন পর গৌছ আলীকে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে ময়না তদন্তের পর লাশ দাফন করা হয়েছে। পারিবার যদি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তাহলে তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

জনপ্রিয়

বাস চালক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সিলেটের ৩ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ

ওসমানীনগরে বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে রহস্য, অভিযুক্তরা পলাতক

প্রকাশের সময় : ০১:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

সিলেটের ওসমানীনগরে মারামারির ঘটনায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে! বৃদ্ধ উপজেলার দয়ামীরর ইউনিয়নের শরিষপুর গ্রামের ছমেদ উল্লার ছেলে গৌছ আলী (৫৫)। তবে পরিবারের অভিযোগ আপন ভাই আঙ্গুর আলীর সাথে মারামারির সময় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। তার মৃত্যুর পর অভিযুক্তরা ঘরে তালা দিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ির ভূমি নিয়ে আপন ভাই আঙ্গুর আলীর সাথে গৌছ আলীর বিরুধ চলে আসছে। এনিয়ে গত ২৯ জুন নিজ বাড়িতে দু’ভাইয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। ওইদিন আহত অবস্থায় গৌছ আলীকে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন স্বজনরা। মারামারির ঘটনায় ওইদিন রাতেই ওসমানীনগর থানায় আঙ্গুর আলী ও তার স্ত্রীকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গৌছ আলীর স্ত্রী রেজিয়া বেগম (৫০)। তবে পরবর্তিতে এঘটনায় আঙ্গুর আলীও বাদি হয়ে ওসমানীনগর থানায় গৌছ আলী ও তার স্ত্রী রেজিয়া বেগমকে আসামি করে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন।

কিন্তু ১জুলাই বাদ মাগরিব গৌছ আলীকে বাড়ির দক্ষিনের রাস্তায় অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন লোকজন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। পরদিন ২জুলাই ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে গ্রামের কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

কিন্তু স্ত্রী রেজিয়া বেগমের দাবি ওইদিন দুই দেবর আঙ্গুর আলী ও রইছ আলী তার ঘরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছে যে তার স্বামী গৌছ আলী কোথায়। তিনি বলেছেন মসজিদে গেছেন। তখন আঙ্গুর আর রইছ আলী প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তার স্বামীকে বাড়ির পাশের রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পেয়ে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত্যু ঘোষণা করে। এঘটনায় তিনি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বর্তমানে অসহায় অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে দুই মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে রয়েছেন।

এদিকে আঙ্গুর আলীকে বাড়িতে না পেয়ে তার মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে ওসমানীনগর থানার ওসি মোনায়েম মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, মারামারির দু’দিন পর গৌছ আলীকে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে ময়না তদন্তের পর লাশ দাফন করা হয়েছে। পারিবার যদি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তাহলে তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।