, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গুমের ডকুমেন্টারির শ্যুটিংয়ের জন্যে সিলেটে বিএনপির সালাউদ্দিন বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন ডাক্তার জহির সিলেট জেলা যুবদল নেতাকে দেখতে হাসপাতালে এম এ মালিক জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া ফ্যাসিবাদ নির্মূল হবে না: সিলেটে খেলাফত মজলিসের গণমিছিল বিশ্বনাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান লুনার রক্তের ঋণ পরিশোধের জন্য জাতি পরবর্তী সরকারের জন্য অপেক্ষা করবেনা : এডভোকেট জুবায়ের সিলেটে কিশোর গ্যাং লিডার বুলেট মামুন ২ সহযোগীসহ গ্রেফতার যুদ্ধবিরতি কার্যকর : থেমেছে ইসরাইলি হামলা, দলে দলে ঘরে ফিরছেন গাজার মানুষ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ১৮-২০ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছাতে হয় : সংবাদ সম্মেলনে আরিফুল হক  জনগণের সেবা সহজীকরণের উদ্দেশ্যে ‘জিনিয়া অ্যাপ’ চালু করা হয়েছে : আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী, পিপিএম

এমসি কলেজে তালামীয কর্মীর ওপর হামলায় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পায়নি তদন্ত কমিটি

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তালামীয কর্মীর ওপর হামলার ঘটনা দুজনের আক্রোশে ঘটেছে। এ ঘটনায় কোনো ছাত্র সংগঠনের সম্পৃক্ততা পায়নি তদন্ত কমিটি। ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত এক শিক্ষার্থীর ছাত্রাবাসের সিট বাতিল করা হয়েছে। এছড়া অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিতদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

ছাত্রাবাসে অনাকাঙ্খিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো. রিয়াজ সোমবার (১০মার্চ) জানান, গত রোববার কলেজের শিক্ষাবিদ সম্মেলন কক্ষে কাউন্সিল মিটিংয়ে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন পেশ করেন।

প্রতিবেদনে জানা গেছে, রিয়াদ ও হৃদয়ের আগে থেকেই ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা চলছিল। পরে ফেসবুকের একটি কমেন্টের জেরে হৃদয় আর রিয়াদের মধ্যে ওই রাতে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে দুজনেই আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি এ ঘটনার সাথে কোনো দল বা গোষ্ঠীর জড়িত থাকার প্রমাণ পায়নি। এটি মূলত রিয়াদ ও হৃদয়ের মধ্যে হয়েছে। তালামীয তাদের সংগঠনকে সাংস্কৃতিক সংগঠন বলে জানিয়েছে। আর শিবিরেরও কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। আহত তালামীয কর্মী রিয়াদ প্রথমে ছাত্রশিবির জড়িত থাকার অভিযোগ করলেও পরে তদন্ত কমিটির কাছে এরকম কিছু বলেনি।

তার কথার মধ্যেও বেশকিছু গড়মিল পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হৃদয় এ সমস্যার কথা আমাদের জানাতে পারতো। এভাবে মধ্যরাতে তার সিনিয়রের রুমে গিয়ে এই হাতাহাতির ঘটনা না ঘটালে এমন ঘটতো না। আমরা সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি। আর হৃদয় যেহেতু এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে, সেহেতু তার ছাত্রাবাসের সিট বাতিল করা হয়েছে।’

জানা গেছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের প্রথম ব্লকে দুই শিক্ষার্থীর মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে হৃদয় ও রিয়াদ নামে দুই শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় আহত রিয়াদ তার ওপর ছাত্রশিবির হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন। এছাড়া তার পায়ের রগ কাটার চেষ্টা হয়েছে বলেও প্রচার চালান।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিনই কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর চৌধুরীকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন এমসি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো. রিয়াজ।

এ ঘটনায় আহত মিজানুর রহমান রিয়াদ ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কলেজ শাখার তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক। তিনি তখন দাবি করেন, তিনি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। অপর আহতের নাম জাকিরুল ইসলাম হৃদয়। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য।

ঘটনাটিকে ‘ছাত্রশিবিরের ঘৃণ্য হামলা’ আখ্যা দিয়ে নগরে বিক্ষোভ মিছিল করে আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার সিলেট মহানগর শাখা। তখনই এঘটনায় শিবির জড়িত নয় দাবি করে বিবৃতি দেয় শিবিরের কেন্দ্রীয় শাখা। প্রতিবাদে নগরে পাল্টা মিছিল করে ছাত্রশিবিরও।

জনপ্রিয়

গুমের ডকুমেন্টারির শ্যুটিংয়ের জন্যে সিলেটে বিএনপির সালাউদ্দিন

এমসি কলেজে তালামীয কর্মীর ওপর হামলায় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পায়নি তদন্ত কমিটি

প্রকাশের সময় : ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তালামীয কর্মীর ওপর হামলার ঘটনা দুজনের আক্রোশে ঘটেছে। এ ঘটনায় কোনো ছাত্র সংগঠনের সম্পৃক্ততা পায়নি তদন্ত কমিটি। ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত এক শিক্ষার্থীর ছাত্রাবাসের সিট বাতিল করা হয়েছে। এছড়া অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিতদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

ছাত্রাবাসে অনাকাঙ্খিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো. রিয়াজ সোমবার (১০মার্চ) জানান, গত রোববার কলেজের শিক্ষাবিদ সম্মেলন কক্ষে কাউন্সিল মিটিংয়ে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন পেশ করেন।

প্রতিবেদনে জানা গেছে, রিয়াদ ও হৃদয়ের আগে থেকেই ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা চলছিল। পরে ফেসবুকের একটি কমেন্টের জেরে হৃদয় আর রিয়াদের মধ্যে ওই রাতে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে দুজনেই আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি এ ঘটনার সাথে কোনো দল বা গোষ্ঠীর জড়িত থাকার প্রমাণ পায়নি। এটি মূলত রিয়াদ ও হৃদয়ের মধ্যে হয়েছে। তালামীয তাদের সংগঠনকে সাংস্কৃতিক সংগঠন বলে জানিয়েছে। আর শিবিরেরও কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। আহত তালামীয কর্মী রিয়াদ প্রথমে ছাত্রশিবির জড়িত থাকার অভিযোগ করলেও পরে তদন্ত কমিটির কাছে এরকম কিছু বলেনি।

তার কথার মধ্যেও বেশকিছু গড়মিল পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হৃদয় এ সমস্যার কথা আমাদের জানাতে পারতো। এভাবে মধ্যরাতে তার সিনিয়রের রুমে গিয়ে এই হাতাহাতির ঘটনা না ঘটালে এমন ঘটতো না। আমরা সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি। আর হৃদয় যেহেতু এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে, সেহেতু তার ছাত্রাবাসের সিট বাতিল করা হয়েছে।’

জানা গেছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের প্রথম ব্লকে দুই শিক্ষার্থীর মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে হৃদয় ও রিয়াদ নামে দুই শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় আহত রিয়াদ তার ওপর ছাত্রশিবির হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন। এছাড়া তার পায়ের রগ কাটার চেষ্টা হয়েছে বলেও প্রচার চালান।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিনই কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর চৌধুরীকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন এমসি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো. রিয়াজ।

এ ঘটনায় আহত মিজানুর রহমান রিয়াদ ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কলেজ শাখার তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক। তিনি তখন দাবি করেন, তিনি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। অপর আহতের নাম জাকিরুল ইসলাম হৃদয়। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য।

ঘটনাটিকে ‘ছাত্রশিবিরের ঘৃণ্য হামলা’ আখ্যা দিয়ে নগরে বিক্ষোভ মিছিল করে আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার সিলেট মহানগর শাখা। তখনই এঘটনায় শিবির জড়িত নয় দাবি করে বিবৃতি দেয় শিবিরের কেন্দ্রীয় শাখা। প্রতিবাদে নগরে পাল্টা মিছিল করে ছাত্রশিবিরও।