, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন উইমেন ফর উইমেন রাইটস’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে : এডভোকেট জেবুন নাহার সেলিম সিলেটে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রির দাবিতে সভা অনুষ্ঠিত আট দফা দাবিতে ১ নভেম্বর থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ সিলেটে অধ্যাপক ফজলুর রহমানের ‘ধর্মনিরপেক্ষ মুসলমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন সিলেটে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন বিশেষ কল্যাণ সভায় হাইওয়ে পুলিশের সেবার মানোন্নয়ন প্রত্যয়ে অঙ্গীকার সিলেটে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের নিয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক পরামর্শ কর্মশালা ১৭ বছর বয়সে বিমানের পাইলট সিলেটের আহনাফ

আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংস্কারসহ সিলেটের যোগাযোগব্যবস্থার দ্রুত প্রতিকার চেয়ে রোববার এক ঘণ্টা সিলেট নগরের দোকানপাট বন্ধ রাখার পাশাপাশি যানবাহনে কর্মবিরতি, প্রতীকী অনশনের ডাক দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী।

সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত এ কর্মসূচী পালিত হবে। কর্মসচী চলাকালে কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশ করা হবে। আরিফুল হকের ডাকা এই কর্মসূচীতে ইতোমধ্যে একাত্মতা পোষন করেছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।

এই কর্মসূচীকে ঘিরে নগরে ব্যাপক প্রচারণা চলছে। শনিবার নগরজুড়ে মাইকিং করা হয়। শনিবার সকাল থেকে সিলেটের বিভিন্ন সামাজিক পেশাজীবী ব্যবসায়ী পরিষদের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আরিফুল হক। পাশাপাশি তাদের হাতে তুলে দেন সিলেটের দাবি দাওয়া সম্বলিত প্রচারপত্র। এ সময় রবিবার সকাল ১১টায় সিলেট কোর্ট পয়েন্টে সমন্বিত প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

প্রচারপত্রে উল্লেখ করা হয়, সড়কপথ, রেলপথ, আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৃহত্তর সিলেটবাসীর জন্য দীর্ঘদিন ধরে চলমান দুর্ভোগ, অনিয়ম ও চরম নৈরাজ্য আজ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, রেলপথে বগি সঙ্কট ও টিকিট কালো-বাজারি আর আকাশপথে বিমানের টিকিট মূল্য আকাশচুম্বী করে সিলেটকে যেন অর্থনৈতিকভাবে শোষণের যাঁতাকালে ফেলা হয়েছে।

প্রচারপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, সিলেটবাসীকে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করতে বর্তমান অন্তবর্তী সরকারেরও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। এ অব্যবস্থাপনা ও অবিচারের প্রতিবাদে রবিবার সকাল ১১টায় সিলেট কোর্ট পয়েন্টে সমন্বিত প্রতিবাদ সমাবেশে সকলের উপস্থিতি কামনা করেন আরিফুল হক।

এর আগে সকালে নগরীর বন্দরবাজার, মহাজনপট্টি, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, হাসান মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করা হয়। এ সময় আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটবাসীর যাতায়াত বিড়ম্বনা ঘোচাতে যথাযথ উন্নয়নমূলক, স্বচ্ছ ও টেকসই যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে সমাবেশে দল-মত নির্বিশেষে সকলের উপস্থিতি কামনা করেন। দাবি দাওয়া মানা না হলে সিলেটবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারেরও এ বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। সিলেটবাসীর যাতায়াতের বিড়ম্বনা চরম পর্যায়ে। তাই উন্নয়ন চাই স্বচ্ছ, টেকসই ও পরিকল্পিত যোগাযোগ ব্যবস্থা চাই।’

সিলেটের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্ববস্থার প্রতিবাদে নিজের আহুত কর্মসূচীর ব্যাপারে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেন আরিফ।

এসময় তিনি বলেন, তিনি বলেন, ‘এখন আর চুপ করে থাকার সময় নয়। সিলেটের জনগণের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্য আজ সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টাদের নিয়ে একবার সড়কপথে সিলেট ঘুরে দেখুন তবেই বুঝতে পারবেন বাস্তব চিত্র।’

এরআগে বৃহস্পতিবার সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তার বাসভবনে এক বৈঠক করেন। এতে নগরের সুশীল সমাজ, শিক্ষক, পরিবহন ও ব্যবসায়ী নেতাসহ সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে আরিফুল হকের প্রস্তাব অনুযায়ী রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতীকী ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজ দ্রুত শেষ করা; সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে নতুন ট্রেন ও বগি চালু এবং সিলেট-ঢাকা রুটে বিমানভাড়া যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার দাবি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জানানো হয়। এ ছাড়া সিলেটের অভ্যন্তরীণ নাজুক যোগাযোগব্যবস্থারও দ্রুত প্রতিকার চাওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আরিফুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতীকী ধর্মঘট চলাকালে নগরের প্রতিটি বিপণিবিতান ও দোকান ব্যবসায়ীরা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ছাড়া ওই এক ঘণ্টা নগরে সব ধরনের যানবাহন চলাচলও বন্ধ থাকবে। সিলেটবাসী ওই দিন নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় এক ঘণ্টার জন্য অবস্থান নিয়ে সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাবেন। পরে ১৫ দিনের জন্য আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে। ওই সময়ের মধ্যে প্রতিকার না পেলে সিলেটবাসী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নাজুক ও বেহাল অবস্থার প্রতিকার চেয়ে ‘মহাসড়কের সূচনাস্থলের দুই পাশে গণ-অবস্থান ও মানববন্ধন’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। সোমবার দুপুর ১২টায় দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশীদ চত্বর এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালিত হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজ আট বছর ধরে চলছে। এতে সম্প্রতি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজট তীব্র রূপ নিয়েছে। কাজটি করছে ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পালাবদলের পর ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দেশে ফিরে যান। তিন মাস পর তাঁরা বাংলাদেশে ফিরে কাজ শুরু করেন। এর মধ্যে তাঁদের অনেক মালামাল খোয়া যায়। এতে কাজের গতি কমে যায়।

জনপ্রিয়

আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন

আজ রোববার সিলেটে একঘন্টার জন্য বন্ধ থাকবে দোকানপাট, চলবে না যানবাহন

প্রকাশের সময় : ৪ ঘন্টা আগে

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংস্কারসহ সিলেটের যোগাযোগব্যবস্থার দ্রুত প্রতিকার চেয়ে রোববার এক ঘণ্টা সিলেট নগরের দোকানপাট বন্ধ রাখার পাশাপাশি যানবাহনে কর্মবিরতি, প্রতীকী অনশনের ডাক দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী।

সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত এ কর্মসূচী পালিত হবে। কর্মসচী চলাকালে কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশ করা হবে। আরিফুল হকের ডাকা এই কর্মসূচীতে ইতোমধ্যে একাত্মতা পোষন করেছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।

এই কর্মসূচীকে ঘিরে নগরে ব্যাপক প্রচারণা চলছে। শনিবার নগরজুড়ে মাইকিং করা হয়। শনিবার সকাল থেকে সিলেটের বিভিন্ন সামাজিক পেশাজীবী ব্যবসায়ী পরিষদের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আরিফুল হক। পাশাপাশি তাদের হাতে তুলে দেন সিলেটের দাবি দাওয়া সম্বলিত প্রচারপত্র। এ সময় রবিবার সকাল ১১টায় সিলেট কোর্ট পয়েন্টে সমন্বিত প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

প্রচারপত্রে উল্লেখ করা হয়, সড়কপথ, রেলপথ, আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৃহত্তর সিলেটবাসীর জন্য দীর্ঘদিন ধরে চলমান দুর্ভোগ, অনিয়ম ও চরম নৈরাজ্য আজ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, রেলপথে বগি সঙ্কট ও টিকিট কালো-বাজারি আর আকাশপথে বিমানের টিকিট মূল্য আকাশচুম্বী করে সিলেটকে যেন অর্থনৈতিকভাবে শোষণের যাঁতাকালে ফেলা হয়েছে।

প্রচারপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, সিলেটবাসীকে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করতে বর্তমান অন্তবর্তী সরকারেরও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। এ অব্যবস্থাপনা ও অবিচারের প্রতিবাদে রবিবার সকাল ১১টায় সিলেট কোর্ট পয়েন্টে সমন্বিত প্রতিবাদ সমাবেশে সকলের উপস্থিতি কামনা করেন আরিফুল হক।

এর আগে সকালে নগরীর বন্দরবাজার, মহাজনপট্টি, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, হাসান মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করা হয়। এ সময় আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটবাসীর যাতায়াত বিড়ম্বনা ঘোচাতে যথাযথ উন্নয়নমূলক, স্বচ্ছ ও টেকসই যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে সমাবেশে দল-মত নির্বিশেষে সকলের উপস্থিতি কামনা করেন। দাবি দাওয়া মানা না হলে সিলেটবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারেরও এ বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। সিলেটবাসীর যাতায়াতের বিড়ম্বনা চরম পর্যায়ে। তাই উন্নয়ন চাই স্বচ্ছ, টেকসই ও পরিকল্পিত যোগাযোগ ব্যবস্থা চাই।’

সিলেটের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্ববস্থার প্রতিবাদে নিজের আহুত কর্মসূচীর ব্যাপারে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেন আরিফ।

এসময় তিনি বলেন, তিনি বলেন, ‘এখন আর চুপ করে থাকার সময় নয়। সিলেটের জনগণের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্য আজ সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টাদের নিয়ে একবার সড়কপথে সিলেট ঘুরে দেখুন তবেই বুঝতে পারবেন বাস্তব চিত্র।’

এরআগে বৃহস্পতিবার সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তার বাসভবনে এক বৈঠক করেন। এতে নগরের সুশীল সমাজ, শিক্ষক, পরিবহন ও ব্যবসায়ী নেতাসহ সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে আরিফুল হকের প্রস্তাব অনুযায়ী রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতীকী ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাজ দ্রুত শেষ করা; সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে নতুন ট্রেন ও বগি চালু এবং সিলেট-ঢাকা রুটে বিমানভাড়া যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার দাবি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জানানো হয়। এ ছাড়া সিলেটের অভ্যন্তরীণ নাজুক যোগাযোগব্যবস্থারও দ্রুত প্রতিকার চাওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আরিফুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতীকী ধর্মঘট চলাকালে নগরের প্রতিটি বিপণিবিতান ও দোকান ব্যবসায়ীরা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ছাড়া ওই এক ঘণ্টা নগরে সব ধরনের যানবাহন চলাচলও বন্ধ থাকবে। সিলেটবাসী ওই দিন নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় এক ঘণ্টার জন্য অবস্থান নিয়ে সড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাবেন। পরে ১৫ দিনের জন্য আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে। ওই সময়ের মধ্যে প্রতিকার না পেলে সিলেটবাসী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নাজুক ও বেহাল অবস্থার প্রতিকার চেয়ে ‘মহাসড়কের সূচনাস্থলের দুই পাশে গণ-অবস্থান ও মানববন্ধন’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। সোমবার দুপুর ১২টায় দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশীদ চত্বর এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালিত হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজ আট বছর ধরে চলছে। এতে সম্প্রতি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজট তীব্র রূপ নিয়েছে। কাজটি করছে ভারতীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পালাবদলের পর ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দেশে ফিরে যান। তিন মাস পর তাঁরা বাংলাদেশে ফিরে কাজ শুরু করেন। এর মধ্যে তাঁদের অনেক মালামাল খোয়া যায়। এতে কাজের গতি কমে যায়।